ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরের কুলে জেগে ওঠা দ্বীপগুলো প্রকৃতির সৌন্দর্য। বন বিভাগের সবুজ বেষ্টনী, রংবেরঙের পাখপাখালি,লাল কাঁকড়ার ছুটাছুটি,সুর্যদয় সুর্যাস্তের মনমুগ্ধকর দৃশ্য হাতছানি দেয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরাও যায় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। সম্প্রতি ঘুরে এসে সংবাদ প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য চিত্র।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ১০-১২ কিলোমিটার দক্ষিন, দক্ষিণপূর্বে বঙ্গোপসাগরের কুলে দারছিরা ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদের মোহনায় জেগে ওঠা, চর হেয়ার, সোনারচর, তুফানিয়ার চর, জাহাজমারা প্রকৃতির সৌন্দর্যের নাম। নামগুলো রেখেছে জেলেরা। সম্ভবত দ্বীপ আর চরের পার্থক্য বুঝতে না পেরে, দ্বীপগুলো চর নামে আখ্যায়িত করেছে তারা। বন বিভাগের সবুজ বেষ্টনী, সুর্যদয় সুর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, রং বেরংএর সামুদ্রিক পাখির উরাউরি, লাল কাঁকড়ার দৌরাদৌরি, ইলিশ ধরায় জেলেদের ব্যস্ততা, যেন এক ভিন্ন জগত। সাগর পারের মুরব্বী শ্রেণীর লোকেরা জানিয়েছেন, পঞ্চাশ ষাটের দশকে জেগে ওঠা এইসব দ্বীপ যখন বালুর ধুম, তখন সামুদ্রিক পাখিরা বালুর উপর ডিম পেরে বাচ্চা ফুটাতো । ১৯৭২ সালে দ্বীপগুলো নেয়া হয় বন বিভাগের আওতায়। তৈরী হয় সবুজ বেষ্টনী। দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে উপকূলীয় এলাকা। এর আশপাশেই রয়েছে নামকরন হয়নি এমন অনেক ডুবোচর। ভাটার সময় রং বেরংএর পাখীরা খাদ্যের সন্ধানে এসে মেলা বসায় ডুবোচরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে দলবেধে উরে গিয়ে রাত কাটায় সবুজ বেষ্টনীর ডালে ডালে। রাত কালে কানা কুয়া পাখির ডাক আর ডাহুক ডাহুকির সুর ইঙ্গিত দেয় জোয়ার ভাটার। জোয়ার এলে জাল ফেলার তাগিদে ব্যস্ত হয়ে ওঠে জেলেরা। ঢেউয়ের সাথে দোল খাওয়া তাদের নিত্যদিনের কাজ। রাত পোহালেই দেখা যায় সুর্যদয়ের মনোরম দৃশ্য। প্রকৃতির এইসব সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন আগমন ঘটে দর্শনার্থীদের। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না থাকায় নিজেদের মত করে নৌকা বা ট্রলার নিয়ে যায় প্রকৃতি প্রেমিরা।
সাগর পারবাসীরা জানিয়েছেন , সনাতন ধর্মালম্বীরা এবছর রাশ পুর্নিমা উৎসব পালন করেছে চর হেয়ারে। এতে অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়। উৎসব মুখর পরিবেশে দিবসটি পালন করেছে তারা। সাথে উপভোগ করেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য। প্রতি বছরই এই চরে রাশ পুর্নিমার উৎসব পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
বঙ্গোপসাগরের কুলে জেগে ওঠা দ্বীপগুলো প্রকৃতির সৌন্দর্য। বন বিভাগের সবুজ বেষ্টনী, রংবেরঙের পাখপাখালি,লাল কাঁকড়ার ছুটাছুটি,সুর্যদয় সুর্যাস্তের মনমুগ্ধকর দৃশ্য হাতছানি দেয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীরাও যায় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। সম্প্রতি ঘুরে এসে সংবাদ প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য চিত্র।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ১০-১২ কিলোমিটার দক্ষিন, দক্ষিণপূর্বে বঙ্গোপসাগরের কুলে দারছিরা ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদের মোহনায় জেগে ওঠা, চর হেয়ার, সোনারচর, তুফানিয়ার চর, জাহাজমারা প্রকৃতির সৌন্দর্যের নাম। নামগুলো রেখেছে জেলেরা। সম্ভবত দ্বীপ আর চরের পার্থক্য বুঝতে না পেরে, দ্বীপগুলো চর নামে আখ্যায়িত করেছে তারা। বন বিভাগের সবুজ বেষ্টনী, সুর্যদয় সুর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, রং বেরংএর সামুদ্রিক পাখির উরাউরি, লাল কাঁকড়ার দৌরাদৌরি, ইলিশ ধরায় জেলেদের ব্যস্ততা, যেন এক ভিন্ন জগত। সাগর পারের মুরব্বী শ্রেণীর লোকেরা জানিয়েছেন, পঞ্চাশ ষাটের দশকে জেগে ওঠা এইসব দ্বীপ যখন বালুর ধুম, তখন সামুদ্রিক পাখিরা বালুর উপর ডিম পেরে বাচ্চা ফুটাতো । ১৯৭২ সালে দ্বীপগুলো নেয়া হয় বন বিভাগের আওতায়। তৈরী হয় সবুজ বেষ্টনী। দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে উপকূলীয় এলাকা। এর আশপাশেই রয়েছে নামকরন হয়নি এমন অনেক ডুবোচর। ভাটার সময় রং বেরংএর পাখীরা খাদ্যের সন্ধানে এসে মেলা বসায় ডুবোচরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে দলবেধে উরে গিয়ে রাত কাটায় সবুজ বেষ্টনীর ডালে ডালে। রাত কালে কানা কুয়া পাখির ডাক আর ডাহুক ডাহুকির সুর ইঙ্গিত দেয় জোয়ার ভাটার। জোয়ার এলে জাল ফেলার তাগিদে ব্যস্ত হয়ে ওঠে জেলেরা। ঢেউয়ের সাথে দোল খাওয়া তাদের নিত্যদিনের কাজ। রাত পোহালেই দেখা যায় সুর্যদয়ের মনোরম দৃশ্য। প্রকৃতির এইসব সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন আগমন ঘটে দর্শনার্থীদের। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না থাকায় নিজেদের মত করে নৌকা বা ট্রলার নিয়ে যায় প্রকৃতি প্রেমিরা।
সাগর পারবাসীরা জানিয়েছেন , সনাতন ধর্মালম্বীরা এবছর রাশ পুর্নিমা উৎসব পালন করেছে চর হেয়ারে। এতে অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়। উৎসব মুখর পরিবেশে দিবসটি পালন করেছে তারা। সাথে উপভোগ করেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য। প্রতি বছরই এই চরে রাশ পুর্নিমার উৎসব পালন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।