পলাশ
পলাশ (নরসিংদী) : পলাশে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা -সংবাদ
শীতের আগমনে পলাশে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। শীত নিবারণের জন্য লেপ-তোষক বানাতে ক্রেতারা ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। উপজেলার ঘোড়াশাল বাজার এলাকার একটি দোকানে লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসে আফজাল হোসেন নামে ক্রেতা বলেন, সারাদিনে হালকা কাপড় পড়লেও সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পড়তে হয়। আর রাতে কাঁথা বা চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়। কয়েকদিন আগেও রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়েছে। তাছাড়া লেপ হল বাঙালির শীত নিবারনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এখন যে শীত শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে অচিরেই প্রচুর ঠাণ্ডা পড়বে। তাই শীতের প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসেছি।
ঘোড়াশালে মেসার্স বিসমিল্লাহ বেডিং হাউসের মালিক রুবেল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় কাপর ও তুলার দাম একটু বেশি। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে লেপ-তোষক গতবছরের দাম অনুযায়ী বিক্রি করে যাচ্ছি। শীতের এই সময়ে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছি। কারিগররা জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ১৬ থেকে ৩৩ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল (উল) ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, সাদা তুলা ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকা করে দাম চলছে। আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে একটি ভালো মানের লেপ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০টি লেপ-তোষকের অগ্রিম অর্ডার পেয়েছি। তাই সার্বক্ষণিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।পাশাপাশি গরম কাপড় ও কম্বলের বিক্রিও পলাশে বেড়ে গেছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
পলাশ
পলাশ (নরসিংদী) : পলাশে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা -সংবাদ
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতের আগমনে পলাশে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। শীত নিবারণের জন্য লেপ-তোষক বানাতে ক্রেতারা ভিড় করছেন দোকানগুলোতে। উপজেলার ঘোড়াশাল বাজার এলাকার একটি দোকানে লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসে আফজাল হোসেন নামে ক্রেতা বলেন, সারাদিনে হালকা কাপড় পড়লেও সন্ধ্যার পর গরম কাপড় পড়তে হয়। আর রাতে কাঁথা বা চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হয়। কয়েকদিন আগেও রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়েছে। তাছাড়া লেপ হল বাঙালির শীত নিবারনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এখন যে শীত শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে অচিরেই প্রচুর ঠাণ্ডা পড়বে। তাই শীতের প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসেছি।
ঘোড়াশালে মেসার্স বিসমিল্লাহ বেডিং হাউসের মালিক রুবেল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় কাপর ও তুলার দাম একটু বেশি। গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে লেপ-তোষক গতবছরের দাম অনুযায়ী বিক্রি করে যাচ্ছি। শীতের এই সময়ে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছি। কারিগররা জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ১৬ থেকে ৩৩ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল (উল) ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, সাদা তুলা ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকা করে দাম চলছে। আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে একটি ভালো মানের লেপ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০টি লেপ-তোষকের অগ্রিম অর্ডার পেয়েছি। তাই সার্বক্ষণিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।পাশাপাশি গরম কাপড় ও কম্বলের বিক্রিও পলাশে বেড়ে গেছে।