alt

ভূমিকম্পে দামুড়হুদায় নালা ধসে সেচ কার্যক্রম বন্ধ, দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা : ভূমিকম্পে সেচনালায় ধস -সংবাদ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের অভিঘাতে সেচ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ১নং বৈদ্যুতিক সেচপাম্পের প্রধান নালা হঠাৎ ধসে পড়ায় পুরো পাম্পই অচল হয়ে পড়েছে। ফলে এই সেচনালার ওপর নির্ভরশীল প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমির ভুট্টা, গম, ড্রাগন, মাল্টা এবং বারা-উফশী ধানের আবাদ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাঠের মাটি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে, আর তা দেখেই কৃষকদের চোখে হতাশার ছায়া ঘন হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকদের তথ্য অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর ঢাকাকে কেন্দ্র করে অনুভূত হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের দোলনে সুবলপুর সড়কের হাউলি মাঠসংলগ্ন অংশ এবং সেচপাম্পের পাকা মেইন নালার বেশ বড় অংশ নিচে নেমে যায়। মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পানি তুলে এই নালার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হতো।

কিন্তু নালা ধসে যাওয়ার পরপরই পানি আসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে জমির উপরের স্তর দ্রুত শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেছে, ভুট্টা ও গমের চারাগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে এবং মাল্টা বাগানেও পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

বর্তমান সময়টি বারা-উফশী ও বারা-হাইব্রিড ধানের চারা রোপণের শীর্ষ মৌসুম। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না থাকায় অনেকেই চারা তৈরি করেও জমিতে নামাতে পারছেন না।

কৃষক মনজু, আব্দুল হামিদ ও আবুবকর জানান,ফসল এখন পুরোপুরি পানির অপেক্ষায়। সেচ না পেলে দিন দিন জমি পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছে, এভাবে আবাদ বাচানো অসম্ভব।

সেচপাম্প পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান, নালার পাকা কাঠামো এবং রাস্তার একটি অংশ ভূমিকম্পে ভেঙে যাওয়ায় পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এটা ছোট খরচ নয়। নালা মেরামত করতে কৃষকদের পক্ষে অর্থ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। তার দাবি, নালা এবং আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭০০ মিটার অংশ সংস্কার করা গেলে সেচ কার্যক্রম আবার স্বাভাবিকভাবে চালু করা যাবে।

পাম্প পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল করিম জানান, পুরো নালাটি নদীর তলা থেকে অনেক ওপরে তৈরি হওয়ায় নিচ থেকে নতুন পিলার বসিয়ে পুনর্নিমাণ ছাড়া স্থায়ী সমাধাণ সম্ভব নয়। তার ভাষায়, এ কাজে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। কৃষকেরা এই ব্যয় সামলাতে পারবেন না ফলে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে দ্রুত সহায়তা না পেলে বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

ক্ষেতে দাঁড়িয়ে থাকা ভুট্টা, গম, ধান ও ফলের বাগান, সবই এখন সেচ সংকটের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। কৃষকেরা বলছেন, দ্রুত নালা সংস্কার না হলে চলতি রবি মৌসুমের আবাদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রভাব পুরো এলাকার কৃষি অর্থনীতিতেও পড়বে।

শাহরাস্তিতে খাদ্য শস্য সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম উদ্বোধন

ছবি

শাহজাদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত

ছবি

পটিয়া ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, অসহায় পরিবহন শ্রমিকরা

ছবি

রায়গঞ্জে পুকুরে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সাঘাটায় সাতদিন ধরে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

ছবি

মীরসরাইয়ে গোলমরিচ প্রসেসিং অপারেটর প্রশিক্ষণ

ছবি

দশমিনায় খালগুলোতে কচুরিপানায় পূর্ণ, ব্যাহত হচ্ছে পানি প্রবাহ

ছবি

নোয়াখালীতে সুদের টাকার জন্য ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ছবি

সিলেটে তুচ্ছ ঘটনায় ফের যুবক খুন

ছবি

সাগর কুলের দ্বীপগুলো প্রকৃতির সৌন্দর্য

মহেশপুরে ছিনতাইচক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

পালিয়ে যাওয়া দুই কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

ছবি

খেজুর রসের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দুমকিতে নেই পর্যাপ্ত গাছিয়া

ছবি

সভাপতি মোমেন সম্পাদক রোবেল

ছবি

গোয়ালন্দে পূর্ব বিরোধেকে কেন্দ্র করে পরিবারের ওপর হামলায় আহত ৫

ছবি

রূপগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

ছবি

সাঁথিয়ায় কৃষকের বসতঘর ভষ্মীভুত

ছবি

পলাশকান্দা ট্র্র্যাজেডি দিবস পালিত

ছবি

ডিমলায় অবৈধভাবে মাটি কাটায় জরিমানা

ছবি

শরণখোলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে চর্ম রোগ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন উৎসব

ছবি

স্কুলের ছাদে সৃজিত ‘সবুজ স্বর্গ’ সফেদায় শোভা পাচ্ছে ছাদবাগান

ছবি

সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫০ জনের পদত্যাগ

ছবি

হিলিতে সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মাঝে ছাগল বিতরণ

ছবি

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে স্পিডবোট ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু

ছবি

ঘিওরে যত্রতত্র রোগাকান্ত গবাদি পশু জবাই

ছবি

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

ছবি

আত্রাইয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

দেশের ১৬ স্থলবন্দরে আমদানি বাড়লেও দিন দিন কমছে রপ্তানি

ছবি

দেড় বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ছবি

বাল্কহেড থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ

ছবি

জামালপুরে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ছবি

৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের

ছবি

কৃষক হত্যা: চার্জশিটে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ছবি

সেন্টমার্টিন: আজ থেকে শুরু জাহাজ চলাচল, থাকছে রাত যাপনের সুযোগ

tab

ভূমিকম্পে দামুড়হুদায় নালা ধসে সেচ কার্যক্রম বন্ধ, দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা : ভূমিকম্পে সেচনালায় ধস -সংবাদ

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের অভিঘাতে সেচ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ১নং বৈদ্যুতিক সেচপাম্পের প্রধান নালা হঠাৎ ধসে পড়ায় পুরো পাম্পই অচল হয়ে পড়েছে। ফলে এই সেচনালার ওপর নির্ভরশীল প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমির ভুট্টা, গম, ড্রাগন, মাল্টা এবং বারা-উফশী ধানের আবাদ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাঠের মাটি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে, আর তা দেখেই কৃষকদের চোখে হতাশার ছায়া ঘন হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকদের তথ্য অনুযায়ী, ২১ নভেম্বর ঢাকাকে কেন্দ্র করে অনুভূত হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের দোলনে সুবলপুর সড়কের হাউলি মাঠসংলগ্ন অংশ এবং সেচপাম্পের পাকা মেইন নালার বেশ বড় অংশ নিচে নেমে যায়। মাথাভাঙ্গা নদী থেকে পানি তুলে এই নালার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া হতো।

কিন্তু নালা ধসে যাওয়ার পরপরই পানি আসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে জমির উপরের স্তর দ্রুত শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেছে, ভুট্টা ও গমের চারাগুলো ঝিমিয়ে পড়েছে এবং মাল্টা বাগানেও পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

বর্তমান সময়টি বারা-উফশী ও বারা-হাইব্রিড ধানের চারা রোপণের শীর্ষ মৌসুম। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না থাকায় অনেকেই চারা তৈরি করেও জমিতে নামাতে পারছেন না।

কৃষক মনজু, আব্দুল হামিদ ও আবুবকর জানান,ফসল এখন পুরোপুরি পানির অপেক্ষায়। সেচ না পেলে দিন দিন জমি পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছে, এভাবে আবাদ বাচানো অসম্ভব।

সেচপাম্প পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান, নালার পাকা কাঠামো এবং রাস্তার একটি অংশ ভূমিকম্পে ভেঙে যাওয়ায় পানি প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এটা ছোট খরচ নয়। নালা মেরামত করতে কৃষকদের পক্ষে অর্থ জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। তার দাবি, নালা এবং আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭০০ মিটার অংশ সংস্কার করা গেলে সেচ কার্যক্রম আবার স্বাভাবিকভাবে চালু করা যাবে।

পাম্প পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল করিম জানান, পুরো নালাটি নদীর তলা থেকে অনেক ওপরে তৈরি হওয়ায় নিচ থেকে নতুন পিলার বসিয়ে পুনর্নিমাণ ছাড়া স্থায়ী সমাধাণ সম্ভব নয়। তার ভাষায়, এ কাজে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। কৃষকেরা এই ব্যয় সামলাতে পারবেন না ফলে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে দ্রুত সহায়তা না পেলে বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

ক্ষেতে দাঁড়িয়ে থাকা ভুট্টা, গম, ধান ও ফলের বাগান, সবই এখন সেচ সংকটের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। কৃষকেরা বলছেন, দ্রুত নালা সংস্কার না হলে চলতি রবি মৌসুমের আবাদ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার প্রভাব পুরো এলাকার কৃষি অর্থনীতিতেও পড়বে।

back to top