শনিবার ৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুর ৫৩ বছর আগে জঘন্য পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল। সৈন্য ও মুক্তি বাহিনী দক্ষতার সাথে রণকৌশল করে ১৯৭১ সালে নভেম্বর মাসে যুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য গ্যারিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে। সে সময় সদর উপজেলার ইচাখালি-বুড়িপোতা সীমান্তে প্রচন্ড যুদ্ধ হয় এবং পাক বাহিনীরা যথেষ্ঠ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসময় ৫০ জন পাক বাহিনী সদস্য গ্যারিলা আক্রমণে নিহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা ডিসেম্বরের ৬ তারিখে তখনকার মেহেরপুর মহকুমাকে সম্পূর্ণভাবে হানাদার মুক্ত করে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। গ্যারিলারা মিত্রবাহিনীসহ মেহেরপুরের দিকে অগ্রসর হয় এবং প্রচন্ড আক্রমণের মুখে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভাঙতে সক্ষম হয় ফলে তারা পিছু হটতে থাকে। ৬ডিসেম্বর গভীর রাতে পাক হানাদাররা এলাকা ছাড়তে শুরু করে এবং পিছু হটে যাবার সময় সদর উপজেলার ঐতিহাসিক আমঝুপি গ্রামে বহে যাওয়া কাজলা নদীর উপরের ব্রিজ ও ছেউটিয়া নদীর উপরের ব্রিজ দুটি ভেঙে দিয়ে প্রতিবেশী বর্তমান জেলা চুয়াডাঙ্গার দিকে চলে যায়। এ এলাকার জনগণ ঐ বিভীষিকাময় রাত্রি দুরুদুরু কম্পিত হৃদয়ে পার করে। মনে ছিল মুক্তির স্বাদ।
মেহেরপুরে ৬ ডিসেম্বর সকালে উঠেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য। প্রতিটি সরকারী বেসরকারী ভবনের শিখরে উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
সমস্ত শহর ও আশে পাশের এলাকা ঘিরে নেয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং উৎসব মুখর পরিবেশে জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল সমগ্র এলাকা। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কমসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার ৬ ডিসেম্বর দেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুর ৫৩ বছর আগে জঘন্য পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল। সৈন্য ও মুক্তি বাহিনী দক্ষতার সাথে রণকৌশল করে ১৯৭১ সালে নভেম্বর মাসে যুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য গ্যারিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে। সে সময় সদর উপজেলার ইচাখালি-বুড়িপোতা সীমান্তে প্রচন্ড যুদ্ধ হয় এবং পাক বাহিনীরা যথেষ্ঠ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসময় ৫০ জন পাক বাহিনী সদস্য গ্যারিলা আক্রমণে নিহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা ডিসেম্বরের ৬ তারিখে তখনকার মেহেরপুর মহকুমাকে সম্পূর্ণভাবে হানাদার মুক্ত করে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। গ্যারিলারা মিত্রবাহিনীসহ মেহেরপুরের দিকে অগ্রসর হয় এবং প্রচন্ড আক্রমণের মুখে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবল ভাঙতে সক্ষম হয় ফলে তারা পিছু হটতে থাকে। ৬ডিসেম্বর গভীর রাতে পাক হানাদাররা এলাকা ছাড়তে শুরু করে এবং পিছু হটে যাবার সময় সদর উপজেলার ঐতিহাসিক আমঝুপি গ্রামে বহে যাওয়া কাজলা নদীর উপরের ব্রিজ ও ছেউটিয়া নদীর উপরের ব্রিজ দুটি ভেঙে দিয়ে প্রতিবেশী বর্তমান জেলা চুয়াডাঙ্গার দিকে চলে যায়। এ এলাকার জনগণ ঐ বিভীষিকাময় রাত্রি দুরুদুরু কম্পিত হৃদয়ে পার করে। মনে ছিল মুক্তির স্বাদ।
মেহেরপুরে ৬ ডিসেম্বর সকালে উঠেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য। প্রতিটি সরকারী বেসরকারী ভবনের শিখরে উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
সমস্ত শহর ও আশে পাশের এলাকা ঘিরে নেয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং উৎসব মুখর পরিবেশে জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল সমগ্র এলাকা। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কমসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।