alt

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী) : শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। দিবসটি এলেই এলাকায় নেমে আসে এলাকায় শোকের ছায়া। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৯দিন বাকি। দেশজুড়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরই তৎকালীন ঢাকার কালীগঞ্জ থানাধীন মধ্যে ঘোড়াশালের আঁটিয়াগাওয়ে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। আঁটিয়াগাওয়ের আবুল কাসেমের বাড়িতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। আজো এই দিনটি এলে বিজয়ের মাসে এলাকাবাসী শোকে বিহবল হয় পড়ে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ঘোড়াশালের সাবেক কাউন্সিলর মো. রফিক ভূইয়া জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সবেমাত্র মাগরিবের আযান হয়েছে। হানাদার বাহিনী আবুল কাসেমের বাড়ি দুইদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি আসেপাশে ১০-১২টি বাড়িতে করে অগ্নিসংযোগ। ঘটনা আঁচ করতে পেরে আবুল

কাসেম পরিবারসহ ঘরের ভিতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়ে। হানাদাররা বাড়ির বিভিন্ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ৩২ জন নারী পুরুষ শিশুকে উঠানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায়। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে উঠে। ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় ১৮ জন, ৪ জন হয় মারাত্মকভাবে জখম। বাকিরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। মাটির গর্তে জ্ঞান হারায় আবুল কাসেম। তিনি প্রাণে বাঁচলেও ঐদিন শহীদ হয় আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, আলিমুন বেগম, মালা বেগম, আকমন আলী, মোকছেদ আলী, শিশুপুত্রসহ আয়েশা বেগম, হযরত আলী, নেহাজ উদ্দিন, শাহাজদ্দিন, শাহাজাহান, রহম আলী,আ. হেকিমসহ আরো ৪ জন। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪বছর, আজ পর্যন্ত আবুল কাসেমের বাড়িতে ঘটে যাওয়া শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে আজো

নেওয়া হয়নি কোন সরকারি পদক্ষেপ। আবুল কাসেম পরলোকগমন করেন ৭ বছর হলো। মৃত্যুর আগে তিনি প্রায়ই আফসোস করে বলতেন কত সরকার আসলো গেল কেউই আমার বাড়ির এই ১৮ জন শহীদের নামে কোন একটি স্মৃতি ফলকও করে দিল না। আবুল কাসেমের ছেলে সাত্তার বাবুল বলেন আমি তখন ছোট হলেও সবই পরিষ্কার মনে আছে। আমাদের উঠানে ১৮ জনের মৃতদেহ আহতদের চিৎকারে আমরাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। তবে আক্ষেপ আমাদের বাড়ির শহীদদের নামে স্মৃতি রক্ষার্থে কোনকিছু আজো হলো না।এমনকি শহীদ পরিবারের মর্যাদাটুকু পেলামনা। আমরা চাই বাড়ির পাশে ১৮ জন শহীদ যে ‘গোরস্তানে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে, তাদের সম্মান রক্ষায় সরকারের পক্ষ হতে একটা কিছু হোক।

এদিকে শহীদদের গোরস্তানে ছবি তুলতে গেলে দেখা যায় নিরব নিথর এক গোরস্তান। তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবী সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুতসময়ে এই ১৮ জন শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মহল বা সরকার যেন দ্রুত উদ্যোগ গ্রহন করে।

ছবি

কটিয়াদীতে আগাম শিম চাষে সফল্যের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

ছবি

পলাশে এতিমদের মাঝে ছাত্রদলের কম্বল বিতরণ

ছবি

ফরিদপুরে খামারিদের মাঝে হাস বিতরণ

ছবি

নোয়াখালীতে গভীর রাতে বিআরটিসির ২ বাসে আগুন

ছবি

কলারোয়ায় ফিড মার্কেটিং পরিদর্শনে চীনা প্রতিনিধি দল

ছবি

২১৩টি ইটভাটার মধ্যে ১৯৬টি অবৈধ ইটভাটা

ছবি

চরফ্যাসনে শীতের সন্ধ্যায় জমে উঠেছে বাহারি পিঠার বাজার

ছবি

মোরেলগঞ্জে স্বামীর মারপিঠে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন নির্যাতিত গৃহবধু

ছবি

বাগেরহাট কাড়াপাড়ায় ইউনিয়ন নাগরিক ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা

ছবি

বেগমগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও এর মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত

ছবি

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

কর্ণফুলী নদীতে জব্দ নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

শেরপুরে শ্রমিকের হাট জমজমাট

ছবি

রূপগঞ্জে ছাত্রদলের কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা ও ভাঙচুর, আহত-৮

ছবি

সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

যশোরে দুই কোটি টাকার স্বর্ণেরবারসহ দুই পাচারকারী আটক

ছবি

দশমিনায় মৃত্তিকা বিষয়ক সচেতনমূলক আলোচনা সভা

ছবি

দশমিনায় কৃষকের নবান্ন উৎসব আধুনিকতার স্পর্শে হারিয়ে যাচ্ছে

ছবি

রায়পুর উপজেলায় সম্প্রতি বেড়েছে চোরের উপদ্রব

ছবি

মেহেরপুর মুক্ত দিবস শনিবার

ছবি

ফরিদপুরের সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা

ছবি

শরণখোলায় সোনালী ধান কাটার মহা উৎসব

ছবি

দশমিনায় রস সংগ্রহের আশায় গাছিরা খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত

ছবি

মাদারীপুরে ক্লিনিকের বাথরুম থেকে রক্তাক্ত নবজাতক উদ্ধার

ছবি

৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী নেই

ছবি

নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের দোকান

ছবি

রূপগঞ্জে বিদেশে নারী পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয়

ডিমলায় এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার

ছবি

চার অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দোয়ারাবাজারে রাতের আঁধারে চেলা নদীর বালু উত্তোলন

ছবি

আট বছরেও শেষ হয়নি ইছাপুরা সেতুর নির্মাণকাজ

ছবি

বাগাতিপাড়ায় ৭০ পিস ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক

ছবি

ভেড়ামারায় পুকুরে বৃদ্ধার মরদেহ

ছবি

৫৯ বিজিবির উদ্যোগে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ দেখতে পেল বাংলাদেশী স্বজনরা

ডিমলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার

এক মোটরসাইকেলে ৪ বন্ধু, দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

tab

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী)

শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। দিবসটি এলেই এলাকায় নেমে আসে এলাকায় শোকের ছায়া। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৯দিন বাকি। দেশজুড়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরই তৎকালীন ঢাকার কালীগঞ্জ থানাধীন মধ্যে ঘোড়াশালের আঁটিয়াগাওয়ে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। আঁটিয়াগাওয়ের আবুল কাসেমের বাড়িতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। আজো এই দিনটি এলে বিজয়ের মাসে এলাকাবাসী শোকে বিহবল হয় পড়ে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ঘোড়াশালের সাবেক কাউন্সিলর মো. রফিক ভূইয়া জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সবেমাত্র মাগরিবের আযান হয়েছে। হানাদার বাহিনী আবুল কাসেমের বাড়ি দুইদিক থেকে ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি আসেপাশে ১০-১২টি বাড়িতে করে অগ্নিসংযোগ। ঘটনা আঁচ করতে পেরে আবুল

কাসেম পরিবারসহ ঘরের ভিতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়ে। হানাদাররা বাড়ির বিভিন্ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ৩২ জন নারী পুরুষ শিশুকে উঠানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায়। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে উঠে। ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় ১৮ জন, ৪ জন হয় মারাত্মকভাবে জখম। বাকিরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। মাটির গর্তে জ্ঞান হারায় আবুল কাসেম। তিনি প্রাণে বাঁচলেও ঐদিন শহীদ হয় আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, আলিমুন বেগম, মালা বেগম, আকমন আলী, মোকছেদ আলী, শিশুপুত্রসহ আয়েশা বেগম, হযরত আলী, নেহাজ উদ্দিন, শাহাজদ্দিন, শাহাজাহান, রহম আলী,আ. হেকিমসহ আরো ৪ জন। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪বছর, আজ পর্যন্ত আবুল কাসেমের বাড়িতে ঘটে যাওয়া শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে আজো

নেওয়া হয়নি কোন সরকারি পদক্ষেপ। আবুল কাসেম পরলোকগমন করেন ৭ বছর হলো। মৃত্যুর আগে তিনি প্রায়ই আফসোস করে বলতেন কত সরকার আসলো গেল কেউই আমার বাড়ির এই ১৮ জন শহীদের নামে কোন একটি স্মৃতি ফলকও করে দিল না। আবুল কাসেমের ছেলে সাত্তার বাবুল বলেন আমি তখন ছোট হলেও সবই পরিষ্কার মনে আছে। আমাদের উঠানে ১৮ জনের মৃতদেহ আহতদের চিৎকারে আমরাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। তবে আক্ষেপ আমাদের বাড়ির শহীদদের নামে স্মৃতি রক্ষার্থে কোনকিছু আজো হলো না।এমনকি শহীদ পরিবারের মর্যাদাটুকু পেলামনা। আমরা চাই বাড়ির পাশে ১৮ জন শহীদ যে ‘গোরস্তানে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে, তাদের সম্মান রক্ষায় সরকারের পক্ষ হতে একটা কিছু হোক।

এদিকে শহীদদের গোরস্তানে ছবি তুলতে গেলে দেখা যায় নিরব নিথর এক গোরস্তান। তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবী সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুতসময়ে এই ১৮ জন শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মহল বা সরকার যেন দ্রুত উদ্যোগ গ্রহন করে।

back to top