ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোরগাঁও চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার ছাত্রদল কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে জিয়া পরিবারের ছবি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩৫/৪০ সদস্যের একদল যুবক এ হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রদলের ৮নেতাকর্মী আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাব বিস্তার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান ও ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসানের সমর্থিদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ৩৫ থেকে ৪০ সদস্যের একদল যুবক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাজ্জাদ মাওলানার বিন মিজানের নিয়ন্ত্রণাধীন গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আট জন আহত হয়।
ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান বলেন, গত বুধবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। এ সময় মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর কর্মী ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান ওই কার্যালয়ে এসে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি নামিয়ে কার্যালয় খালি করে দেওয়ার জন্য বলে আসে। এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। হামলাকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কাজী মনিরুজ্জামানের ছবি ভাংচুর করে। এছাড়া ওই কার্যালয়ে থাকা টেলিভিশন ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। হামলায় ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন সিয়াম, জুবার হোসেন, আব্দুল্লাহ, আবু সায়েম, জুবায়ের শাহরিয়ার নাসিম ও গোলাম মাওলা নয়ন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান বলেন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়।
রূপগঞ্জ থানা ওসি মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোরগাঁও চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার ছাত্রদল কার্যালয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে জিয়া পরিবারের ছবি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩৫/৪০ সদস্যের একদল যুবক এ হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রদলের ৮নেতাকর্মী আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাব বিস্তার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান ও ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসানের সমর্থিদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ৩৫ থেকে ৪০ সদস্যের একদল যুবক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাজ্জাদ মাওলানার বিন মিজানের নিয়ন্ত্রণাধীন গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আট জন আহত হয়।
ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান বলেন, গত বুধবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। এ সময় মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর কর্মী ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান ওই কার্যালয়ে এসে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি নামিয়ে কার্যালয় খালি করে দেওয়ার জন্য বলে আসে। এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। হামলাকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কাজী মনিরুজ্জামানের ছবি ভাংচুর করে। এছাড়া ওই কার্যালয়ে থাকা টেলিভিশন ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। হামলায় ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন সিয়াম, জুবার হোসেন, আব্দুল্লাহ, আবু সায়েম, জুবায়ের শাহরিয়ার নাসিম ও গোলাম মাওলা নয়ন আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান বলেন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়।
রূপগঞ্জ থানা ওসি মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।