শেরপুর (বগুড়া): শ্রমিকের হাট -সংবাদ
বগুড়ার শেরপুরে শ্রমিকের হাট এখন বেশ জমে উঠছে । এখানে কেউ আসে শ্রম বেচতে, আর কেউ আসে শ্রম কিনতে। সারা বছরই এই হাটে শ্রম কেনা বেচা হলেও ধান কাটা মৌসুমে জমে উঠে এই শ্রমিকের হাট। এ সময় মৌসুমী শ্রমিকের আনাগোনা বেড়ে যায়, কেউ কেউ বাড়তি আয়ের আশায় এই সময়ে শ্রম বিক্রি করেন। ভোরে আলো ফুটে ওঠার আগেই শ্রমিকের হাটে শ্রম বেচা কেনা শুরু হয়।
শেরপুর পৌরশহরের আলীয়া মাদ্রাসা গেট ও করতোয়া ব্রিজের পূর্বপাড়ে শ্রমিকের হাটে গিয়ে দেখা যায় ধান কাটার সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত শ্রমিক। বিভিন্ন কৃষি উপকরণ নিয়ে শ্রম বিক্রির আশায় রয়েছেন। অনেকেই এসে দরদাম মিটিয়ে পছন্দের শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছেন।
এখন ধানকাটা শ্রমিকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়াও আলু রোপন, ভুট্রা জমিতে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির জমিতে কাজের জন্য শ্রমিকের চাহিদাও রয়েছে। উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ফজল হক বলেন, নিজের সামান্য জমি রয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই আগেই শেষ করেছি। বাড়তি আয়ের জন্য এখানে এসেছি নিজের শ্রম বিক্রি করতে। ৭ দিন আগে ৯শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় কাজ করেছি এখন ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা পাওয়া যায়। এখানে যুবক ও শক্তিশালী শ্রমিকের চাহিদা ও দাম বেশি। পাখিডাকা ভোর থেকে ৭টা পর্যন্ত চলে এই শ্রমিকের হাট। অনেকেই আবার চুক্তিতে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বিঘা ধান কেটে মাড়াই করে দিচ্ছেন।
একই এলাকার আতোয়ার জানান, তিনিসহ আরও কয়েকজন শুধুমাত্র ধান কাটা মৌসুমেই শ্রম বিক্রি করেন, এ মাসে তাদের ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হবে। বৃদ্ধ রহমত আলী বলেন, আমাদের শ্রমের দাম একেবারেই কম, কোনদিন কাজ জোটে আবার কোন দিন জোটে না। আমি জমি নিড়ানোর কাজ করি, শক্ত কাজ করতে পারিনা।
ভাদড়া গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, প্রতিবছরই ধান কাটার মৌসুম এলে আলীয়া মাদ্রাসা গেট থেকে ধানকাটার শ্রমিক নিয়ে গিয়ে ধান কাটি। এখানে এসে পছন্দমত বাছাই করে শ্রমিক নিতে পারি। উপজেলার কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার, এবার এই উপজেলায় ১৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে উফসি জাত ও ৩ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশির ভাগ জমিতে ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন আলু, ভুট্টা ও সরিষা রোপণের কাজ চলছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শেরপুর (বগুড়া): শ্রমিকের হাট -সংবাদ
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বগুড়ার শেরপুরে শ্রমিকের হাট এখন বেশ জমে উঠছে । এখানে কেউ আসে শ্রম বেচতে, আর কেউ আসে শ্রম কিনতে। সারা বছরই এই হাটে শ্রম কেনা বেচা হলেও ধান কাটা মৌসুমে জমে উঠে এই শ্রমিকের হাট। এ সময় মৌসুমী শ্রমিকের আনাগোনা বেড়ে যায়, কেউ কেউ বাড়তি আয়ের আশায় এই সময়ে শ্রম বিক্রি করেন। ভোরে আলো ফুটে ওঠার আগেই শ্রমিকের হাটে শ্রম বেচা কেনা শুরু হয়।
শেরপুর পৌরশহরের আলীয়া মাদ্রাসা গেট ও করতোয়া ব্রিজের পূর্বপাড়ে শ্রমিকের হাটে গিয়ে দেখা যায় ধান কাটার সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত শ্রমিক। বিভিন্ন কৃষি উপকরণ নিয়ে শ্রম বিক্রির আশায় রয়েছেন। অনেকেই এসে দরদাম মিটিয়ে পছন্দের শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছেন।
এখন ধানকাটা শ্রমিকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়াও আলু রোপন, ভুট্রা জমিতে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির জমিতে কাজের জন্য শ্রমিকের চাহিদাও রয়েছে। উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ফজল হক বলেন, নিজের সামান্য জমি রয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই আগেই শেষ করেছি। বাড়তি আয়ের জন্য এখানে এসেছি নিজের শ্রম বিক্রি করতে। ৭ দিন আগে ৯শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় কাজ করেছি এখন ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা পাওয়া যায়। এখানে যুবক ও শক্তিশালী শ্রমিকের চাহিদা ও দাম বেশি। পাখিডাকা ভোর থেকে ৭টা পর্যন্ত চলে এই শ্রমিকের হাট। অনেকেই আবার চুক্তিতে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বিঘা ধান কেটে মাড়াই করে দিচ্ছেন।
একই এলাকার আতোয়ার জানান, তিনিসহ আরও কয়েকজন শুধুমাত্র ধান কাটা মৌসুমেই শ্রম বিক্রি করেন, এ মাসে তাদের ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হবে। বৃদ্ধ রহমত আলী বলেন, আমাদের শ্রমের দাম একেবারেই কম, কোনদিন কাজ জোটে আবার কোন দিন জোটে না। আমি জমি নিড়ানোর কাজ করি, শক্ত কাজ করতে পারিনা।
ভাদড়া গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, প্রতিবছরই ধান কাটার মৌসুম এলে আলীয়া মাদ্রাসা গেট থেকে ধানকাটার শ্রমিক নিয়ে গিয়ে ধান কাটি। এখানে এসে পছন্দমত বাছাই করে শ্রমিক নিতে পারি। উপজেলার কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার, এবার এই উপজেলায় ১৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে উফসি জাত ও ৩ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশির ভাগ জমিতে ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন আলু, ভুট্টা ও সরিষা রোপণের কাজ চলছে।