alt

সারাদেশ

এখনই বাঁধ নির্মাণ না হলে বর্ষায় হারিয়ে যাবে পদ্মাপাড়ের জনপদ

মো. পলাশ খান, জাজিরা (শরীয়তপুর) : শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

জাজিরা (শরীয়তপুর) : প্রমত্তা পদ্মার গ্রাসে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে জনবসতি। দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি বিপন্ন মানুষদের -সংবাদ

বর্ষাকাল যত ঘনিয়ে আসছে ততই চিন্তিত হয়ে পড়ছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিভক্ত হয়ে যাওয়া সিডারচর-বাবুরচর (সিডল্যান্ড) এর বাসিন্দারা।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সম্পূর্ণ ও বড়কান্দি ইউনিয়নের কিছু অংশ শেষবারের পদ্মা ভাঙ্গনে উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখন উপজেলা সদর থেকে সেখানে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা-মাঝে পাড়ি দিতে হয় প্রমত্ত পদ্মা নদী। আর নদী পাড় হতেই সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। স্থানীয়রা কুন্ডেরচর অংশের নাম দিয়েছে বাবুরচর এবং বড়কান্দি অংশের নাম দিয়েছে সিডারচর। দুটি এলাকা পাশাপাশি হওয়ায় একসাথে বলা হয় সিডল্যান্ড। এখানে আছে একটি হাইস্কুল, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০-১২টি মসজিদ এবং একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান কর্ম কৃষি ও মৎসজীবী। এই জনপথে বসবাসকারীদের যদিও বছরের পর বছর বার বার পদ্মা ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তবুও তারা নিজেদের বর্তমান ভিটেমাটি নিয়ে সুখে থাকার অনুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু সেই অনুভূতি প্রকাশের সুযোগটিও হারাতে বসেছে প্রমত্তা পদ্মানদীর ভাঙ্গনের আশংকায়। এই জনপথটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার পরিবার বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা আট হাজারের অধিক।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এলাকাটি নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা সম্ভব। যদি বর্ষার আগে অন্তত ৮ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তা না হলে এই জনপথটি এবার পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মল্লিক বলেন, নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া আমাদের জন্য নতুন কিছু না। কিন্তু এবার যদি ভাঙ্গনের শিকার হই, তাহলে মাথা গুজার জায়গা থাকবে না। আমাদের দাবি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী যেহেতু আমাদের শরীয়তপুরের সন্তান, সেহেতু তিনি আমাদের অতিনিকটতম চরম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের নজরে এনে আমাদের জন্য একটি টেকসই বাঁধের ব্যবস্থা করবেন।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রাজিব আকন বলেন, আমরা এলাকাবাসী আশা করি আমাদের জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়েই বসে থাকবেন না, বর্ষার আগেই এই এলাকায় একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে আমাদের শেষ সম্বলটুকু পদ্মানদীতে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।

লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ দুজন নিহত

ছবি

শেরপুরে নারী পোশাক শ্রমিকের লাশ

মোংলায় আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের জরিমানা

ছবি

চন্দনা কমিউটার থামবে ফরিদপুরে : রেলমন্ত্রী

ছবি

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁর মটকা চা

রিকশা চালককে পিঠিয়ে পা ভাঙার ঘটনায় সেই ট্রাফিক পুলিশ ক্লোজড

বছর পার হলেও শুরু হয়নি জাজিরা পৌরসভার আলোকসজ্জা প্রকল্পের কাজ

ছবি

জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব

ছবি

গোপালগঞ্জে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদীতে নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে পুকুরে বৃদ্ধের মরদেহ, পকেটে ঘুমের ঔষধ

চিকিৎসা আর পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে অতিরিক্ত খরচের প্রবনতা থেকে সরে আসার আহবান

ছবি

চাঁদপুরে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে বিশেষ অভিযান শুরু

নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

ধান শুকানোর কাজ করতে গিয়ে গাজীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল নারীর

ছবি

চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় শিশুসহ ২ জন নিহত

ছবি

কেএনএফের আঞ্চলিক নারী সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

ছবি

মদিনায় এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি

চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় পুকুরে পড়ে ১ শিশু নিখোঁজ, আহত ৩

ছবি

ট্রাফিক পুলিশ লোহার পাইপে দিয়ে পিঠিয়ে পা ভাঙলো রিকশা চালককের

ছবি

টেকনাফে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করল বিজিবি

ছবি

বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ছবি

কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ৫

ছবি

কিশোরগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ

ছবি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কাজের সময় গ্যাস লাইনে লিকেজ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর

ছবি

চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দেশে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এক কোটি ২৯ লাখ পশু

ছবি

হোসেনপুরে গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ প্রাইমারী শিক্ষার্থী

ছবি

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের আম পাড়া শুরু

ছবি

বিলীনের পথে জলকদর খাল

ছবি

উখিয়ায় বাসা থেকে এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার

ছবি

গাজীপুরে টিনশেড মার্কেট ও বসতবাড়িতে আগুন

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস থেকে ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ চান :মেয়র

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য আসামের গুয়াহাটিতে মানসম্মত চিকিৎসাসেবার উদ্যোগ

ছবি

নতুন দুই জাতের শিম উদ্ভাবন

tab

সারাদেশ

এখনই বাঁধ নির্মাণ না হলে বর্ষায় হারিয়ে যাবে পদ্মাপাড়ের জনপদ

মো. পলাশ খান, জাজিরা (শরীয়তপুর)

জাজিরা (শরীয়তপুর) : প্রমত্তা পদ্মার গ্রাসে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে জনবসতি। দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি বিপন্ন মানুষদের -সংবাদ

শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

বর্ষাকাল যত ঘনিয়ে আসছে ততই চিন্তিত হয়ে পড়ছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিভক্ত হয়ে যাওয়া সিডারচর-বাবুরচর (সিডল্যান্ড) এর বাসিন্দারা।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সম্পূর্ণ ও বড়কান্দি ইউনিয়নের কিছু অংশ শেষবারের পদ্মা ভাঙ্গনে উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখন উপজেলা সদর থেকে সেখানে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা-মাঝে পাড়ি দিতে হয় প্রমত্ত পদ্মা নদী। আর নদী পাড় হতেই সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। স্থানীয়রা কুন্ডেরচর অংশের নাম দিয়েছে বাবুরচর এবং বড়কান্দি অংশের নাম দিয়েছে সিডারচর। দুটি এলাকা পাশাপাশি হওয়ায় একসাথে বলা হয় সিডল্যান্ড। এখানে আছে একটি হাইস্কুল, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০-১২টি মসজিদ এবং একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান কর্ম কৃষি ও মৎসজীবী। এই জনপথে বসবাসকারীদের যদিও বছরের পর বছর বার বার পদ্মা ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তবুও তারা নিজেদের বর্তমান ভিটেমাটি নিয়ে সুখে থাকার অনুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু সেই অনুভূতি প্রকাশের সুযোগটিও হারাতে বসেছে প্রমত্তা পদ্মানদীর ভাঙ্গনের আশংকায়। এই জনপথটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার পরিবার বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা আট হাজারের অধিক।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এলাকাটি নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা সম্ভব। যদি বর্ষার আগে অন্তত ৮ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তা না হলে এই জনপথটি এবার পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মল্লিক বলেন, নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া আমাদের জন্য নতুন কিছু না। কিন্তু এবার যদি ভাঙ্গনের শিকার হই, তাহলে মাথা গুজার জায়গা থাকবে না। আমাদের দাবি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী যেহেতু আমাদের শরীয়তপুরের সন্তান, সেহেতু তিনি আমাদের অতিনিকটতম চরম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের নজরে এনে আমাদের জন্য একটি টেকসই বাঁধের ব্যবস্থা করবেন।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রাজিব আকন বলেন, আমরা এলাকাবাসী আশা করি আমাদের জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়েই বসে থাকবেন না, বর্ষার আগেই এই এলাকায় একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে আমাদের শেষ সম্বলটুকু পদ্মানদীতে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।

back to top