বর্ষাকাল যত ঘনিয়ে আসছে ততই চিন্তিত হয়ে পড়ছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিভক্ত হয়ে যাওয়া সিডারচর-বাবুরচর (সিডল্যান্ড) এর বাসিন্দারা।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সম্পূর্ণ ও বড়কান্দি ইউনিয়নের কিছু অংশ শেষবারের পদ্মা ভাঙ্গনে উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখন উপজেলা সদর থেকে সেখানে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা-মাঝে পাড়ি দিতে হয় প্রমত্ত পদ্মা নদী। আর নদী পাড় হতেই সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। স্থানীয়রা কুন্ডেরচর অংশের নাম দিয়েছে বাবুরচর এবং বড়কান্দি অংশের নাম দিয়েছে সিডারচর। দুটি এলাকা পাশাপাশি হওয়ায় একসাথে বলা হয় সিডল্যান্ড। এখানে আছে একটি হাইস্কুল, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০-১২টি মসজিদ এবং একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান কর্ম কৃষি ও মৎসজীবী। এই জনপথে বসবাসকারীদের যদিও বছরের পর বছর বার বার পদ্মা ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তবুও তারা নিজেদের বর্তমান ভিটেমাটি নিয়ে সুখে থাকার অনুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু সেই অনুভূতি প্রকাশের সুযোগটিও হারাতে বসেছে প্রমত্তা পদ্মানদীর ভাঙ্গনের আশংকায়। এই জনপথটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার পরিবার বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা আট হাজারের অধিক।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এলাকাটি নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা সম্ভব। যদি বর্ষার আগে অন্তত ৮ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তা না হলে এই জনপথটি এবার পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মল্লিক বলেন, নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া আমাদের জন্য নতুন কিছু না। কিন্তু এবার যদি ভাঙ্গনের শিকার হই, তাহলে মাথা গুজার জায়গা থাকবে না। আমাদের দাবি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী যেহেতু আমাদের শরীয়তপুরের সন্তান, সেহেতু তিনি আমাদের অতিনিকটতম চরম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের নজরে এনে আমাদের জন্য একটি টেকসই বাঁধের ব্যবস্থা করবেন।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রাজিব আকন বলেন, আমরা এলাকাবাসী আশা করি আমাদের জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়েই বসে থাকবেন না, বর্ষার আগেই এই এলাকায় একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে আমাদের শেষ সম্বলটুকু পদ্মানদীতে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।
শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২
বর্ষাকাল যত ঘনিয়ে আসছে ততই চিন্তিত হয়ে পড়ছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিভক্ত হয়ে যাওয়া সিডারচর-বাবুরচর (সিডল্যান্ড) এর বাসিন্দারা।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সম্পূর্ণ ও বড়কান্দি ইউনিয়নের কিছু অংশ শেষবারের পদ্মা ভাঙ্গনে উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ বিভক্ত হয়ে দুর্গম এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখন উপজেলা সদর থেকে সেখানে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা-মাঝে পাড়ি দিতে হয় প্রমত্ত পদ্মা নদী। আর নদী পাড় হতেই সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। স্থানীয়রা কুন্ডেরচর অংশের নাম দিয়েছে বাবুরচর এবং বড়কান্দি অংশের নাম দিয়েছে সিডারচর। দুটি এলাকা পাশাপাশি হওয়ায় একসাথে বলা হয় সিডল্যান্ড। এখানে আছে একটি হাইস্কুল, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০-১২টি মসজিদ এবং একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান কর্ম কৃষি ও মৎসজীবী। এই জনপথে বসবাসকারীদের যদিও বছরের পর বছর বার বার পদ্মা ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তবুও তারা নিজেদের বর্তমান ভিটেমাটি নিয়ে সুখে থাকার অনুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু সেই অনুভূতি প্রকাশের সুযোগটিও হারাতে বসেছে প্রমত্তা পদ্মানদীর ভাঙ্গনের আশংকায়। এই জনপথটিতে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার পরিবার বসবাস করছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা আট হাজারের অধিক।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এলাকাটি নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা সম্ভব। যদি বর্ষার আগে অন্তত ৮ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তা না হলে এই জনপথটি এবার পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মল্লিক বলেন, নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া আমাদের জন্য নতুন কিছু না। কিন্তু এবার যদি ভাঙ্গনের শিকার হই, তাহলে মাথা গুজার জায়গা থাকবে না। আমাদের দাবি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী যেহেতু আমাদের শরীয়তপুরের সন্তান, সেহেতু তিনি আমাদের অতিনিকটতম চরম বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের নজরে এনে আমাদের জন্য একটি টেকসই বাঁধের ব্যবস্থা করবেন।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রাজিব আকন বলেন, আমরা এলাকাবাসী আশা করি আমাদের জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়েই বসে থাকবেন না, বর্ষার আগেই এই এলাকায় একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করে আমাদের শেষ সম্বলটুকু পদ্মানদীতে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।