* স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দূষিত * ভরাট হচ্ছে প্রবাহমান নদী
শরীয়তপুরের জাজিরায় অবস্থিত ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান(ডাম্পিং ইয়ার্ড) না থাকায় বন্দরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। বন্দরটির পাশে অবস্থিত প্রাইমারী স্কুল ঘেঁষে ও বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতেও ফেলা হচ্ছে এই হাটের ময়লা আবর্জনা। এতে বিদ্যালয়ের ধার ও নদীর পাড় পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
ডুবিসায়বর বন্দর (কাজীরহাট) দেশের বৃহত্তম হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হাট। শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভা ও বড়কান্দি ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত এই বন্দরের যাত্রা প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে। এই বন্দরের সর্বশেষ নিলামে ইজারা মূল্য উঠেছে ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। যা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। এই বন্দরে শুধু শরীয়তপুর জেলা নয় মাদারীপুর, চাঁদপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, বিক্রমপুর সহ যশোর রাজশাহী থেকেও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ঘর তৈরি কিংবা সাজানোর সামগ্রি থেকে শুরু করে সবধরণের পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা চলে। বন্দরটির আয়তন ১.৫ কি:মি:। বৃহৎ এই বন্দরটিতে নেই কোন ডাম্পিং ইয়ার্ড বা ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান। এমন চিত্র শুধু এই বন্দরে নয় পুরো জাজিরা উপজেলার কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান(ডাম্পিং ইয়ার্ড) নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডুবিসায়বর বন্দরের পূর্ব ও দক্ষিন পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদীর শাখা নদী কীর্তিনাশা। যা পদ্মানদী ও মাদারীপুরের আরিয়াল খাঁ নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। বন্দরের পূর্ব পাশে অবস্থিত ব্রীজের পশ্চিম পাশে ঠিক নিচে নদীর পাড়ে একটি বিশাল ময়লার ভাগাড় তৈরী করা হয়েছে। আর সেখান থেকে ময়লা আবর্জনাগুলো নদীতে ভেসে যাচ্ছে এবং ক্রমে ক্রমে ভরাট হচ্ছে নদী।
ঐ স্থানে ময়লা ফেলতে আসা বন্দরের এক মাংস ব্যবসায়ী মাহবুব বেপারীর কাছে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ময়লা হালাইমু কই, সরকার তো আডে (হাটে) ব্যবসা করতে চাঁনদা (চাঁদা) নেয় কিন্তু ময়লা হালানের কোন জায়গা কইরা দেয় নাই।"
স্থানীয় থাইগ্লাস ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন ফকির বলেন, এখানে ময়লা ফেলায় প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে এখান দিয়ে আমাদের চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। এছাড়াও এই নদীটা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর পানিতে হাটের সকল ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য পচেঁ আশপাশে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই হাটে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট একটা জায়গা করা দরকার নাহয় অবস্থা ভয়াবহ রুপ নিবে।
শুধু তাই নয়, সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে রাতের অন্ধকারে এই বন্দরের হোটেল সহ বিভিন্ন বেকারী, কারখানার সকল বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।
বন্দরের পাশে অবস্থিত ডুবিসায়বর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে তৈরী হয়েছে আরেকটি ময়লার ভাগাড়। যার দুর্গন্ধে কষ্ট পাচ্ছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ঠিক পাশেই এই ময়লার স্তুপটি হওয়ায় এর দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে ঠিকমত চলাচল করতে পারেনা ও মাঠে খেলাধুলাও করতে পারেনা। দুর্গন্ধের কারনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। দরজা, জানালা বন্ধ করে পাঠদান করতে হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আমাদের শিক্ষকদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষে দাবী জানাচ্ছি এই বাজারে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করে দ্রুত এই ময়লার স্তুপ সরানো হোক।
বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মিল্লাদ টেপা বলেন, এখানে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি হাটের ময়লা ফেলতে ফেলতে এখন আর পুকুর নাই, ময়লার ভাগাড় হয়ে গেছে। আমরা এখানকার যারা দোকানদার আছি ভাগাড়ের দুর্গন্ধের কারনে আমাদের ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে খুবই কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা ফকির বলেন, এখান দিয়ে নিয়মিত চলাচল করা আমাদের জন্য এখন বিষাদময় হয়ে পড়েছে। আশেপাশে থাকা পুকুর, ডোবায় এসব ময়লা দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে এখনি কার্যকরি উদ্যোগ না নিলে হাটের আশপাশে আমাদের বসবাস কঠিন হয়ে পড়বে।
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন জাজিরা টিমের লজিস্টিকস সহ-সমন্বয়ক বাদশা শেখ বলেন, এমন বৃহৎ একটি বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই এটি খুবই ভয়ংকর ব্যাপার। কেননা এর কারনে হাটের সকল আবর্জনাগুলো প্রবাহমান নদী সহ যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এতে আশেপাশের জনজীবন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা আছে। আশা করি সংশ্লিষ্টরা খুব শিঘ্রই ডুবিসায়বর বন্দরের জন্য একটি ডাস্পিং ইয়ার্ড তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বিদ্যালয়ের পাশে ময়লার ভাগাড় নিয়ে ভাবনা কি জানতে চাইলে বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। এখন যেহেতু জানলাম ওখানে হাটের ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার ব্যবস্থা করব।
নদীর পাশে হাটের বর্জ্য ফেলে ভাগাড় তৈরী ও নদীতে বর্জ্য ফেলার বিষয়ে জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। স্থানীয় কেউ পৌরসভাকে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমেই এখন জানতে পারলাম। যদিও জাজিরা পৌরসভার মধ্যে এখনো ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোন স্থান (ডাম্পিং ইয়ার্ড) স্থাপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা করব বিষয়টি সমাধান করার।
এবিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহেল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদিও বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার। এরপরও হাটের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
* স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দূষিত * ভরাট হচ্ছে প্রবাহমান নদী
বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
শরীয়তপুরের জাজিরায় অবস্থিত ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান(ডাম্পিং ইয়ার্ড) না থাকায় বন্দরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। বন্দরটির পাশে অবস্থিত প্রাইমারী স্কুল ঘেঁষে ও বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতেও ফেলা হচ্ছে এই হাটের ময়লা আবর্জনা। এতে বিদ্যালয়ের ধার ও নদীর পাড় পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
ডুবিসায়বর বন্দর (কাজীরহাট) দেশের বৃহত্তম হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হাট। শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভা ও বড়কান্দি ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত এই বন্দরের যাত্রা প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে। এই বন্দরের সর্বশেষ নিলামে ইজারা মূল্য উঠেছে ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। যা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। এই বন্দরে শুধু শরীয়তপুর জেলা নয় মাদারীপুর, চাঁদপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, বিক্রমপুর সহ যশোর রাজশাহী থেকেও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ঘর তৈরি কিংবা সাজানোর সামগ্রি থেকে শুরু করে সবধরণের পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনা চলে। বন্দরটির আয়তন ১.৫ কি:মি:। বৃহৎ এই বন্দরটিতে নেই কোন ডাম্পিং ইয়ার্ড বা ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান। এমন চিত্র শুধু এই বন্দরে নয় পুরো জাজিরা উপজেলার কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান(ডাম্পিং ইয়ার্ড) নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডুবিসায়বর বন্দরের পূর্ব ও দক্ষিন পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদীর শাখা নদী কীর্তিনাশা। যা পদ্মানদী ও মাদারীপুরের আরিয়াল খাঁ নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। বন্দরের পূর্ব পাশে অবস্থিত ব্রীজের পশ্চিম পাশে ঠিক নিচে নদীর পাড়ে একটি বিশাল ময়লার ভাগাড় তৈরী করা হয়েছে। আর সেখান থেকে ময়লা আবর্জনাগুলো নদীতে ভেসে যাচ্ছে এবং ক্রমে ক্রমে ভরাট হচ্ছে নদী।
ঐ স্থানে ময়লা ফেলতে আসা বন্দরের এক মাংস ব্যবসায়ী মাহবুব বেপারীর কাছে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ময়লা হালাইমু কই, সরকার তো আডে (হাটে) ব্যবসা করতে চাঁনদা (চাঁদা) নেয় কিন্তু ময়লা হালানের কোন জায়গা কইরা দেয় নাই।"
স্থানীয় থাইগ্লাস ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন ফকির বলেন, এখানে ময়লা ফেলায় প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে এখান দিয়ে আমাদের চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। এছাড়াও এই নদীটা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর পানিতে হাটের সকল ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য পচেঁ আশপাশে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই হাটে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট একটা জায়গা করা দরকার নাহয় অবস্থা ভয়াবহ রুপ নিবে।
শুধু তাই নয়, সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে রাতের অন্ধকারে এই বন্দরের হোটেল সহ বিভিন্ন বেকারী, কারখানার সকল বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।
বন্দরের পাশে অবস্থিত ডুবিসায়বর হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে তৈরী হয়েছে আরেকটি ময়লার ভাগাড়। যার দুর্গন্ধে কষ্ট পাচ্ছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ঠিক পাশেই এই ময়লার স্তুপটি হওয়ায় এর দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে ঠিকমত চলাচল করতে পারেনা ও মাঠে খেলাধুলাও করতে পারেনা। দুর্গন্ধের কারনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। দরজা, জানালা বন্ধ করে পাঠদান করতে হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আমাদের শিক্ষকদের নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষে দাবী জানাচ্ছি এই বাজারে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করে দ্রুত এই ময়লার স্তুপ সরানো হোক।
বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মিল্লাদ টেপা বলেন, এখানে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি হাটের ময়লা ফেলতে ফেলতে এখন আর পুকুর নাই, ময়লার ভাগাড় হয়ে গেছে। আমরা এখানকার যারা দোকানদার আছি ভাগাড়ের দুর্গন্ধের কারনে আমাদের ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে খুবই কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা ফকির বলেন, এখান দিয়ে নিয়মিত চলাচল করা আমাদের জন্য এখন বিষাদময় হয়ে পড়েছে। আশেপাশে থাকা পুকুর, ডোবায় এসব ময়লা দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে এখনি কার্যকরি উদ্যোগ না নিলে হাটের আশপাশে আমাদের বসবাস কঠিন হয়ে পড়বে।
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিডি ক্লিন জাজিরা টিমের লজিস্টিকস সহ-সমন্বয়ক বাদশা শেখ বলেন, এমন বৃহৎ একটি বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই এটি খুবই ভয়ংকর ব্যাপার। কেননা এর কারনে হাটের সকল আবর্জনাগুলো প্রবাহমান নদী সহ যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এতে আশেপাশের জনজীবন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা আছে। আশা করি সংশ্লিষ্টরা খুব শিঘ্রই ডুবিসায়বর বন্দরের জন্য একটি ডাস্পিং ইয়ার্ড তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বিদ্যালয়ের পাশে ময়লার ভাগাড় নিয়ে ভাবনা কি জানতে চাইলে বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। এখন যেহেতু জানলাম ওখানে হাটের ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার ব্যবস্থা করব।
নদীর পাশে হাটের বর্জ্য ফেলে ভাগাড় তৈরী ও নদীতে বর্জ্য ফেলার বিষয়ে জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ কে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। স্থানীয় কেউ পৌরসভাকে লিখিত বা মৌখিকভাবে জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমেই এখন জানতে পারলাম। যদিও জাজিরা পৌরসভার মধ্যে এখনো ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোন স্থান (ডাম্পিং ইয়ার্ড) স্থাপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে চেষ্টা করব বিষয়টি সমাধান করার।
এবিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহেল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদিও বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার। এরপরও হাটের বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলার বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।