শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রমে সরকারি কোন ফি না থাকলেও ভুক্তভোগীদের নিজ নামে রেকর্ড হবেনা বলে ভয় দেখিয়ে হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট জরিপ ও ভুমি রেকর্ড কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়াররা।
জাজিরা উপজেলা সেটলমেন্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডুবিসায়বর বন্দরে(কাজীরহাট) প্রায় দুই হাজারের বেশী দোকান ঘর রয়েছে। এরমধ্যে যাদের দোকান ঘরের ভিটি ক্রয়কৃত এবং প্রমাণ হিসেবে স্ট্যাম্প কিংবা দলিল রয়েছে তাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের নিজ নামে রেকর্ডভুক্ত করা হবে।
এই কাজের জন্য ডুবিসায়বর বন্দরে ৪টি ইউনিট ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২টি ইউনিটে এই জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে একটিতে কাজ করছেন সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান অন্যটিতে কাজ করছেন সার্ভেয়ার রাইসুল।
এবিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমরা জিম্মি হয়ে আছি। আমাদের কাগজপত্র সব ঠিক থাকা সত্বেও এখানে নিয়োজিত সার্ভেয়াররা বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে টাকা দাবী করছে এবং টাকা না দিলে প্রকৃত মালিকের নামে রেকর্ড করে দিচ্ছে না। আবার কেউ যদি এই বিষয় নিয়ে বড় অফিসারের কাছে জানাই তাহলে আরো বেশী হয়রানির শিকার হচ্ছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী বলেন, "আমার কাজীরহাট বাজারে ২ টি দোকান। কাগজপত্র সব আছে। এরপরও সার্ভেয়ার আনিস আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবী করে। সার্ভেয়ার আনিস বলেছে, টাকা না দিলে আমাদের মত করে আমরা রেকর্ড করব। পরে তাকে ৭০ হাজার টাকা দেই। এরপরও তিনি আমার মালিকানা ভূমি রেকর্ড করে দিচ্ছে না। বিভিন্ন টালবাহানা করছেন।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ডুবিসায়বর বন্দরে আমার চারটি দোকান রয়েছে। কাগজপত্রও সব ঠিক আছে এরপরও সার্ভেয়ার আনিস আমার থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবী করেছে। কোন কুল কিনারা না পেয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।
তদন্ত করতে গিয়ে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এই প্রতিবেদকের হাতে একটি ভিডিও ফুটেজ আসে। যাতে দেখা যায় সার্ভেয়ার আনিসুর রহমানের সহকারী আল আমিন ভুক্তভোগী থেকে টাকা গ্রহণ করছেন আর পাশেই সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান বসে আছেন। একটু পরে সার্ভেয়ার আনিসুরের সহকারী তার কাছে এসে টাকা দিচ্ছেন।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডুবিসায়বর বন্দরের আরো একাধিক দোকান মালিক বলেন, আমরা চরম জিম্মি দশায় আছি। আমাদের এ অবস্থা দেখার কেউ নেই। জরিপ ও রেকর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়াররা এলাকার প্রভাবশালীদের হাত করে আমাদের বৈধ ভূমির কাগজপত্র থাকা সত্বেও বিভিন্ন খুত ধরে আমাদের থেকে হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে সার্ভেয়ার আনিস।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, এই সার্ভেয়ারদের কাছে গেলে টাকা ছাড়া কাজ তো দুরের কথা কোন কথাও ঠিকমত বলেন না তারা।
বিষয়টি নিয়ে সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা কোন ধরণের টাকার লেনদেনের মধ্যে নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।
টাকা নেয়ার ভিডিও ফুটেজের বিষয়ে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার আনিসুর রহামান বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমার সহকারী কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
জানা যায়, সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক দোকান ভিটি রেকর্ডভুক্ত সম্পন্ন করেছেন।
এবিষয়ে জাজিরা উপজেলা সেটলমেন্ট অফিসার মো. হাসান আলী বলেন, জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রমে কোন ধরণের সরকারি ফি নেই। তাই এ কাজে টাকা নেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। যদি কোন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রমে সরকারি কোন ফি না থাকলেও ভুক্তভোগীদের নিজ নামে রেকর্ড হবেনা বলে ভয় দেখিয়ে হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট জরিপ ও ভুমি রেকর্ড কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়াররা।
জাজিরা উপজেলা সেটলমেন্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডুবিসায়বর বন্দরে(কাজীরহাট) প্রায় দুই হাজারের বেশী দোকান ঘর রয়েছে। এরমধ্যে যাদের দোকান ঘরের ভিটি ক্রয়কৃত এবং প্রমাণ হিসেবে স্ট্যাম্প কিংবা দলিল রয়েছে তাদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের নিজ নামে রেকর্ডভুক্ত করা হবে।
এই কাজের জন্য ডুবিসায়বর বন্দরে ৪টি ইউনিট ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২টি ইউনিটে এই জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে একটিতে কাজ করছেন সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান অন্যটিতে কাজ করছেন সার্ভেয়ার রাইসুল।
এবিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, আমরা জিম্মি হয়ে আছি। আমাদের কাগজপত্র সব ঠিক থাকা সত্বেও এখানে নিয়োজিত সার্ভেয়াররা বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে টাকা দাবী করছে এবং টাকা না দিলে প্রকৃত মালিকের নামে রেকর্ড করে দিচ্ছে না। আবার কেউ যদি এই বিষয় নিয়ে বড় অফিসারের কাছে জানাই তাহলে আরো বেশী হয়রানির শিকার হচ্ছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী বলেন, "আমার কাজীরহাট বাজারে ২ টি দোকান। কাগজপত্র সব আছে। এরপরও সার্ভেয়ার আনিস আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবী করে। সার্ভেয়ার আনিস বলেছে, টাকা না দিলে আমাদের মত করে আমরা রেকর্ড করব। পরে তাকে ৭০ হাজার টাকা দেই। এরপরও তিনি আমার মালিকানা ভূমি রেকর্ড করে দিচ্ছে না। বিভিন্ন টালবাহানা করছেন।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ডুবিসায়বর বন্দরে আমার চারটি দোকান রয়েছে। কাগজপত্রও সব ঠিক আছে এরপরও সার্ভেয়ার আনিস আমার থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবী করেছে। কোন কুল কিনারা না পেয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।
তদন্ত করতে গিয়ে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এই প্রতিবেদকের হাতে একটি ভিডিও ফুটেজ আসে। যাতে দেখা যায় সার্ভেয়ার আনিসুর রহমানের সহকারী আল আমিন ভুক্তভোগী থেকে টাকা গ্রহণ করছেন আর পাশেই সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান বসে আছেন। একটু পরে সার্ভেয়ার আনিসুরের সহকারী তার কাছে এসে টাকা দিচ্ছেন।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডুবিসায়বর বন্দরের আরো একাধিক দোকান মালিক বলেন, আমরা চরম জিম্মি দশায় আছি। আমাদের এ অবস্থা দেখার কেউ নেই। জরিপ ও রেকর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়াররা এলাকার প্রভাবশালীদের হাত করে আমাদের বৈধ ভূমির কাগজপত্র থাকা সত্বেও বিভিন্ন খুত ধরে আমাদের থেকে হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে। আমাদের মধ্যে অনেকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে সার্ভেয়ার আনিস।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, এই সার্ভেয়ারদের কাছে গেলে টাকা ছাড়া কাজ তো দুরের কথা কোন কথাও ঠিকমত বলেন না তারা।
বিষয়টি নিয়ে সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা কোন ধরণের টাকার লেনদেনের মধ্যে নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।
টাকা নেয়ার ভিডিও ফুটেজের বিষয়ে জানতে চাইলে সার্ভেয়ার আনিসুর রহামান বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমার সহকারী কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
জানা যায়, সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক দোকান ভিটি রেকর্ডভুক্ত সম্পন্ন করেছেন।
এবিষয়ে জাজিরা উপজেলা সেটলমেন্ট অফিসার মো. হাসান আলী বলেন, জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রমে কোন ধরণের সরকারি ফি নেই। তাই এ কাজে টাকা নেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। যদি কোন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।