নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১১৩ জন মারা গেছেন। এ বছর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। বুধবার (৩০ নভেম্বর) ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্য দিকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নভেম্বর মাসে বুধবার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৯ হাজার ৩৩৪ জন শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত জানুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ হাজার ৩৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৫৫ হাজার ৩০১ জন। এখনও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৮০৩ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এ তথ্য জানা গেলেও বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কারণ আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখনও বাসাবাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কেউ প্রাইভেট চেম্বারে বা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে গিয়ে চিকিৎসা করান।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১১১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৪১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯ জন। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩০ জন, ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি আছে ৬৪৯ জন ভর্তি আছে।
অন্য দিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ৯১ জন ও কক্্রবাজারে ২৯ জন ভর্তি আছে। রাজশাহীতে ৩৭ জন, রংপুরে ১৮ জনসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৮০৩ জন ভর্তি আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি মাসে ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গেল অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছে ৮৬ জন। আর আক্রান্ত সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৯৩২ জন।
কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ বছর থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ও বর্তমান আবহাওয়া এডিস মশার প্রজননে সহায়ক। ভাইরাস বহনকারি এডিস মশা এখনও আছে।
নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে। এছাড়াও বাসা বাড়ির আঙ্গিনায়, ফুলের টবে, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে মশার উপদ্রব বেশি থাকায় নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তীব্র শীত পড়লে উপদ্রব আস্তে আস্তে কমবে বলে আশাবাদী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরজুড়ে এডিস মশা না মারলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশে মশা দমনে আলাদা বিভাগ আছে। তারা মশা ও মাছি দমনে বছরজুড়ে কাজ করেন। বাংলাদেশে মশা নিধনে আলাদা অধিদপ্তর চালু এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জন প্রতিনিধিদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১১৩ জন মারা গেছেন। এ বছর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ রেকর্ড। বুধবার (৩০ নভেম্বর) ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্য দিকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নভেম্বর মাসে বুধবার সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৯ হাজার ৩৩৪ জন শুধু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে গত জানুয়ারি মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ হাজার ৩৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৫৫ হাজার ৩০১ জন। এখনও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৮০৩ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এ তথ্য জানা গেলেও বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কারণ আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই এখনও বাসাবাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কেউ প্রাইভেট চেম্বারে বা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে গিয়ে চিকিৎসা করান।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ১১১ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৬২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৪১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৯ জন। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩০ জন, ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি আছে ৬৪৯ জন ভর্তি আছে।
অন্য দিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ৯১ জন ও কক্্রবাজারে ২৯ জন ভর্তি আছে। রাজশাহীতে ৩৭ জন, রংপুরে ১৮ জনসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৮০৩ জন ভর্তি আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাসিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি মাসে ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গেল অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছে ৮৬ জন। আর আক্রান্ত সর্বোচ্চ ২১ হাজার ৯৩২ জন।
কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ বছর থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ও বর্তমান আবহাওয়া এডিস মশার প্রজননে সহায়ক। ভাইরাস বহনকারি এডিস মশা এখনও আছে।
নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করছে। এছাড়াও বাসা বাড়ির আঙ্গিনায়, ফুলের টবে, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে মশার উপদ্রব বেশি থাকায় নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তীব্র শীত পড়লে উপদ্রব আস্তে আস্তে কমবে বলে আশাবাদী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বছরজুড়ে এডিস মশা না মারলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশে মশা দমনে আলাদা বিভাগ আছে। তারা মশা ও মাছি দমনে বছরজুড়ে কাজ করেন। বাংলাদেশে মশা নিধনে আলাদা অধিদপ্তর চালু এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জন প্রতিনিধিদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।