গত ০৯ জানুয়ারি বড় মুলনা গ্রামের ফসলি জমিতে একটি বাজপাখি আহত অবস্থায় শরীরে ক্ষত নিয়ে ছটফট করছিল। খবর পেয়ে তানভীর ইসলাম রোমান নামে এক তরুণ পাখিটিকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেন তার বাড়িতে। ১৪ দিন ধরে সেবা-যত্ন ও চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় মুলনা গ্রামের। পাখির প্রতি এমন ভালোবাসার কারনে রোমানের প্রশংসা করছেন সবাই।
রোমান জাজিরা উপজেলার বড় মুলনা গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান ছৈয়ালের ছেলে। তিনি জাজিরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
তানভীর ইসলাম রোমান বলেন, একটি বাজপাখি ফসলি জমিতে অসুস্থ অবস্থায় পরে আছে বলে আমাকে জানান স্থানীয় তোতা মাদবর। পরে আমি পাখিটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। এখন প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদরে নিয়ে যাই এবং ৩০০-৪০০ টাকার মাছ কিনে খাওয়াচ্ছি। এখন পাখিটি সুস্থ হয়ে উঠছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হলে পাখিটি অবমুক্ত করে দেবো।
রোমানের মা হোসনে আরা বেগম বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই পশুপাখি ভালোবাসে। সারাদিন বাজপাখিটির সেবায় সময় দিচ্ছে। ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাজপাখিটির যত্ন নিচ্ছে। পাখিটির প্রতি ওর ভালোবাসা দেখে আমরা মুগ্ধ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান মিয়া বলেন, বাজপাখি একধরনের শিকারি পাখি। বাজপাখি সাধারণত নিজের থেকে ছোট আকৃতির জীবজন্তু ও পাখি খেয়ে বেঁচে থাকে। রোমান নামের তরুণ অসুস্থ বাজপাখির সেবা-যত্ন করছেন। পাখিটির পায়ে গভীর ক্ষত থাকায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ভিটামিন ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। ওই তরুণের ভালোবাসায় পাখিটি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে আশা করি।
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
গত ০৯ জানুয়ারি বড় মুলনা গ্রামের ফসলি জমিতে একটি বাজপাখি আহত অবস্থায় শরীরে ক্ষত নিয়ে ছটফট করছিল। খবর পেয়ে তানভীর ইসলাম রোমান নামে এক তরুণ পাখিটিকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেন তার বাড়িতে। ১৪ দিন ধরে সেবা-যত্ন ও চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় মুলনা গ্রামের। পাখির প্রতি এমন ভালোবাসার কারনে রোমানের প্রশংসা করছেন সবাই।
রোমান জাজিরা উপজেলার বড় মুলনা গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান ছৈয়ালের ছেলে। তিনি জাজিরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
তানভীর ইসলাম রোমান বলেন, একটি বাজপাখি ফসলি জমিতে অসুস্থ অবস্থায় পরে আছে বলে আমাকে জানান স্থানীয় তোতা মাদবর। পরে আমি পাখিটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। এখন প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদরে নিয়ে যাই এবং ৩০০-৪০০ টাকার মাছ কিনে খাওয়াচ্ছি। এখন পাখিটি সুস্থ হয়ে উঠছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হলে পাখিটি অবমুক্ত করে দেবো।
রোমানের মা হোসনে আরা বেগম বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই পশুপাখি ভালোবাসে। সারাদিন বাজপাখিটির সেবায় সময় দিচ্ছে। ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাজপাখিটির যত্ন নিচ্ছে। পাখিটির প্রতি ওর ভালোবাসা দেখে আমরা মুগ্ধ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান মিয়া বলেন, বাজপাখি একধরনের শিকারি পাখি। বাজপাখি সাধারণত নিজের থেকে ছোট আকৃতির জীবজন্তু ও পাখি খেয়ে বেঁচে থাকে। রোমান নামের তরুণ অসুস্থ বাজপাখির সেবা-যত্ন করছেন। পাখিটির পায়ে গভীর ক্ষত থাকায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ভিটামিন ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে। ওই তরুণের ভালোবাসায় পাখিটি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে আশা করি।