শরীয়তপুরের জাজিরায় মঙ্গলবার(৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় অবস্থান নিয়ে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এসময় ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এ সড়কটি অবরোধ করে রাখা হয়।
যানজটে আটকে থাকা শরীয়তপুর পরিবহনের বাসচালক আরিফ আকন বলেন, ‘ঢাকা থেকে শরীয়তপুর দুই ঘণ্টার পথ। কিন্তু সড়ক অবরোধ করার কারণে জাজিরাতেই দুই ঘণ্টা আটকে থাকতে হলো।’
যানজটে আটকা পড়েন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। তিনি শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়া ঠিক হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা যেত। প্রতিবাদ সমাবেশ করতে কোনো মাঠ ব্যবহার করা উচিত ছিল।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলেন, শরীয়তপুর-১ আসনটি সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন। এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এই আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত চার বছরে মোজাম্মেল হক এক দিনের জন্যও এলাকায় আসেননি। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়ি জাজিরার বিলাশপুরে আসেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ নিয়ে ইকবাল হোসেনের সমর্থিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মোজাম্মেল হকের লোকজনের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেনের সমর্থক। আর ওই ইউপির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবর সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হকের সমর্থক। বেশ কিছুদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধে গত দুই মাসে চার দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন মোজাম্মেল হক।
এরপর সোমবার সেখানে যান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার। তাঁরা ওই এলাকায় অবস্থান করার সময় বুধাইরহাটে চার-পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন। বিকেল পাঁচটার দিকে জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী, আওয়ামী লীগের নেতা বাবুল আকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক কবিরাজ, সভাপতি জি এম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার প্রমুখ। বক্তারা মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দেন। তাঁকে এলাকায় না আসার জন্যও হুঁশিয়ারি দেন।
জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম নুরুল হক বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক চার বছর পর এলাকায় এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। বিলাশপুরে চার দফা সংঘর্ষে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার তথ্য তাঁদের জানা ছিল না। পরে জানতে পেরে সমাবেশস্থলে আসেন। ততক্ষণে সড়কের ওপর কয়েকশত মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের সরানোর চেষ্টা করেছিলেন।
মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩
শরীয়তপুরের জাজিরায় মঙ্গলবার(৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের টিএন্ডটি মোড় অবস্থান নিয়ে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এসময় ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ। বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এ সড়কটি অবরোধ করে রাখা হয়।
যানজটে আটকে থাকা শরীয়তপুর পরিবহনের বাসচালক আরিফ আকন বলেন, ‘ঢাকা থেকে শরীয়তপুর দুই ঘণ্টার পথ। কিন্তু সড়ক অবরোধ করার কারণে জাজিরাতেই দুই ঘণ্টা আটকে থাকতে হলো।’
যানজটে আটকা পড়েন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। তিনি শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়া ঠিক হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করা যেত। প্রতিবাদ সমাবেশ করতে কোনো মাঠ ব্যবহার করা উচিত ছিল।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলেন, শরীয়তপুর-১ আসনটি সদর ও জাজিরা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন। এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এই আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত চার বছরে মোজাম্মেল হক এক দিনের জন্যও এলাকায় আসেননি। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়ি জাজিরার বিলাশপুরে আসেন। বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ নিয়ে ইকবাল হোসেনের সমর্থিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মোজাম্মেল হকের লোকজনের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেনের সমর্থক। আর ওই ইউপির পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবর সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হকের সমর্থক। বেশ কিছুদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধে গত দুই মাসে চার দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন মোজাম্মেল হক।
এরপর সোমবার সেখানে যান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার। তাঁরা ওই এলাকায় অবস্থান করার সময় বুধাইরহাটে চার-পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে বর্তমান সংসদ সদস্যের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন। বিকেল পাঁচটার দিকে জাজিরার টিএন্ডটি মোড়ে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী, আওয়ামী লীগের নেতা বাবুল আকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক কবিরাজ, সভাপতি জি এম নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার প্রমুখ। বক্তারা মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দেন। তাঁকে এলাকায় না আসার জন্যও হুঁশিয়ারি দেন।
জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম নুরুল হক বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক চার বছর পর এলাকায় এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। বিলাশপুরে চার দফা সংঘর্ষে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার তথ্য তাঁদের জানা ছিল না। পরে জানতে পেরে সমাবেশস্থলে আসেন। ততক্ষণে সড়কের ওপর কয়েকশত মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের সরানোর চেষ্টা করেছিলেন।