‘শুনলাম জাজিরা হাসপাতালে নাকি গর্ভবতী ইউনিট আছে। আমার গর্ভকালীন ৩ মাস চলছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম একজন নার্স বসে আছেন। তিনি আমার সব কথা শুনে পরামর্শ দিয়ে দিলেন। জানতে চাইলাম ডাক্তার কোথায় নার্স আপা বললেন, ডাক্তার নাই। আমরাই আছি। পরে পরামর্শ যথাযথ মনে না হওয়ায় একটি ক্লিনিকে গিয়ে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলাম।’ কথাগুলো বলছিলেন একজন গর্ভবতী সেবা প্রার্থী।
একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদক গত একমাস জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাদানকারী চিকিৎসক ও কর্মচারীদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করেন।
এতে দেখা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের আউটডোর ও অন্যান্য ইউনিটে সকাল সারে ৮টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নিযুক্ত চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ২-৩ জন বাদে বাকী চিকিৎসকরা কর্মস্থলে আসতে ১০ টা থেকে ১১ টা পার হয়ে যায়। এতে আউটডোরে রোগীদের জটলা বেঁধে যায় এবং চিকিৎসা প্রার্থীরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এছাড়া আরো জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট(গাইনী) ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট(এনেস্থিসিয়া) ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়া যোগদানের পর থেকেই কর্মস্থলে অনিয়মিত।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জুনিয়র কনসালটেন্ট(গাইনী) ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া গত বছরের মে মাসে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুইদিন কর্মস্থলে আসেন এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়া গত বছরের জুলাই মাসে যোগদানের পর থেকে একেবারেই অনিয়মিত। তিনি কোন সপ্তাহে দুএকদিন আসেন। আবার কয়েক সপ্তাহ্ আসেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়াকে এ পর্যন্ত ২ বার কারন দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে এবং ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়াকে মৌখিকভাবে নিয়মিত হতে বলা হয়েছে। এখন তারা কথা না শুনলে আমার কি করার আছে। আমি আমার জায়গা থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস নথি অনুযায়ী জানা যায়, ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়াকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ও এ বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যায়ক্রমে দুটি কারন দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ এর নোটিশের জবাব দিয়ে প্রথমবারের মত কর্তৃপক্ষের ক্ষমা পেলেও ২২ জানুয়ারি কারন দর্শানো নোটিশের বিপরীতে গত ২২ জানুয়ারি তারিখে জবাব দিলেও কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেননি। এরপর থেকে এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া কর্মস্থলে পূর্বের মত অনিয়মিত রয়েছেন এবং ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়াকে অদৃশ্য কারনে কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের লিখিত কারন দর্শানো নোটিশ জারি করেননি যার ফলে তিনি বর্তমানে পুরোপুরিভাবেই কর্মস্থলে অনিয়মিত রয়েছেন।
কর্মস্থলে অনিয়মিত ও অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া ও ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়ার সাথে একাধিকবার মুঠোফোন ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও সরেজমিনে একাধিক দিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী ডেন্টাল সার্জন ডা. মোর্শেদ জাহান মিথি নিয়মিত কর্মস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে আসেন না।
এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোন ও সরাসরি ডা. মোর্শেদ জাহান মিথির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বিভিন্ন অজুহাত দেখান।
স্ত্রীকে নিয়ে গর্ভবতী ইউনিটে সেবা নিতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেবা প্রদান করা হয় জেনে এসেছি কিন্তু ডাক্তার ঠিকমত পাওয়া যায়না। যদি ডাক্তার অনিয়মিত হয় তাহলে কেন নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ করা হয়না? অবশ্যই কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি রয়েছে। আমরা ঠিকমত সেবা চাই। ডাক্তার অনুপস্থিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবী জানাই।
জাজিরা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘জাজিরা হাসপাতাল থেকে আমাদের বাড়ি প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার দুরে। ৫০-১০০ টাকা যাতায়ত খরচ লাগে। হাসপাতালে এসেছিলাম দাতের চিকিৎসা নিতে। কিন্তু ১২ টা বাজলেও ডেন্টাল বিভাগের দরজায় তালা ঝুলছিল। উপায়ন্তর না পেয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, জাজিরা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার শেষ নাই। সরকারি কোন সেবা সঠিকভাবে প্রদান করা হয়না। হাসপাতালের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রভাব খাটিয়ে নিজের এলাকায় চাকরী করছেন প্রায় ৫-৬ বছর। এতে তিনি কর্মস্থলের দিকে খেয়াল কম রেখে স্থানীয় রাজনীতিতে বেশী সক্রিয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক চিকিৎসক ও কর্মচারী বলেন, চিকিৎসক অমিয়মিত সহ রোগীদের মৌলিক সেবা যথাযথ প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার প্রধান কারন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ব্যবস্থাপণার দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা। কর্মস্থলে অনিয়মিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তিনি কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। তাই অনিয়মিতদের নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এবিষয়ে শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ ফরিদ হোসেন মিঞার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, চিকিৎসক অনিয়মিত ও অনুপস্থিতি এবং অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে শিঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
‘শুনলাম জাজিরা হাসপাতালে নাকি গর্ভবতী ইউনিট আছে। আমার গর্ভকালীন ৩ মাস চলছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম একজন নার্স বসে আছেন। তিনি আমার সব কথা শুনে পরামর্শ দিয়ে দিলেন। জানতে চাইলাম ডাক্তার কোথায় নার্স আপা বললেন, ডাক্তার নাই। আমরাই আছি। পরে পরামর্শ যথাযথ মনে না হওয়ায় একটি ক্লিনিকে গিয়ে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলাম।’ কথাগুলো বলছিলেন একজন গর্ভবতী সেবা প্রার্থী।
একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদক গত একমাস জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবাদানকারী চিকিৎসক ও কর্মচারীদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করেন।
এতে দেখা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের আউটডোর ও অন্যান্য ইউনিটে সকাল সারে ৮টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নিযুক্ত চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ২-৩ জন বাদে বাকী চিকিৎসকরা কর্মস্থলে আসতে ১০ টা থেকে ১১ টা পার হয়ে যায়। এতে আউটডোরে রোগীদের জটলা বেঁধে যায় এবং চিকিৎসা প্রার্থীরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এছাড়া আরো জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট(গাইনী) ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট(এনেস্থিসিয়া) ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়া যোগদানের পর থেকেই কর্মস্থলে অনিয়মিত।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জুনিয়র কনসালটেন্ট(গাইনী) ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া গত বছরের মে মাসে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুইদিন কর্মস্থলে আসেন এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়া গত বছরের জুলাই মাসে যোগদানের পর থেকে একেবারেই অনিয়মিত। তিনি কোন সপ্তাহে দুএকদিন আসেন। আবার কয়েক সপ্তাহ্ আসেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়াকে এ পর্যন্ত ২ বার কারন দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে এবং ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়াকে মৌখিকভাবে নিয়মিত হতে বলা হয়েছে। এখন তারা কথা না শুনলে আমার কি করার আছে। আমি আমার জায়গা থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস নথি অনুযায়ী জানা যায়, ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়াকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ও এ বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যায়ক্রমে দুটি কারন দর্শানো নোটিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ এর নোটিশের জবাব দিয়ে প্রথমবারের মত কর্তৃপক্ষের ক্ষমা পেলেও ২২ জানুয়ারি কারন দর্শানো নোটিশের বিপরীতে গত ২২ জানুয়ারি তারিখে জবাব দিলেও কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেননি। এরপর থেকে এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া কর্মস্থলে পূর্বের মত অনিয়মিত রয়েছেন এবং ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়াকে অদৃশ্য কারনে কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের লিখিত কারন দর্শানো নোটিশ জারি করেননি যার ফলে তিনি বর্তমানে পুরোপুরিভাবেই কর্মস্থলে অনিয়মিত রয়েছেন।
কর্মস্থলে অনিয়মিত ও অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে ডা. শায়লা নাজনীন তানিয়া ও ডা. আবুল খায়ের মো: সালাউদ্দিন ভূইয়ার সাথে একাধিকবার মুঠোফোন ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও সরেজমিনে একাধিক দিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী ডেন্টাল সার্জন ডা. মোর্শেদ জাহান মিথি নিয়মিত কর্মস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে আসেন না।
এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোন ও সরাসরি ডা. মোর্শেদ জাহান মিথির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বিভিন্ন অজুহাত দেখান।
স্ত্রীকে নিয়ে গর্ভবতী ইউনিটে সেবা নিতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেবা প্রদান করা হয় জেনে এসেছি কিন্তু ডাক্তার ঠিকমত পাওয়া যায়না। যদি ডাক্তার অনিয়মিত হয় তাহলে কেন নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ করা হয়না? অবশ্যই কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি রয়েছে। আমরা ঠিকমত সেবা চাই। ডাক্তার অনুপস্থিত সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবী জানাই।
জাজিরা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘জাজিরা হাসপাতাল থেকে আমাদের বাড়ি প্রায় ৫-৭ কিলোমিটার দুরে। ৫০-১০০ টাকা যাতায়ত খরচ লাগে। হাসপাতালে এসেছিলাম দাতের চিকিৎসা নিতে। কিন্তু ১২ টা বাজলেও ডেন্টাল বিভাগের দরজায় তালা ঝুলছিল। উপায়ন্তর না পেয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, জাজিরা হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার শেষ নাই। সরকারি কোন সেবা সঠিকভাবে প্রদান করা হয়না। হাসপাতালের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রভাব খাটিয়ে নিজের এলাকায় চাকরী করছেন প্রায় ৫-৬ বছর। এতে তিনি কর্মস্থলের দিকে খেয়াল কম রেখে স্থানীয় রাজনীতিতে বেশী সক্রিয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক চিকিৎসক ও কর্মচারী বলেন, চিকিৎসক অমিয়মিত সহ রোগীদের মৌলিক সেবা যথাযথ প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার প্রধান কারন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ব্যবস্থাপণার দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা। কর্মস্থলে অনিয়মিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তিনি কোন কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। তাই অনিয়মিতদের নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এবিষয়ে শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ ফরিদ হোসেন মিঞার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, চিকিৎসক অনিয়মিত ও অনুপস্থিতি এবং অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে শিঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।