বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন আরিফ কাদরী। এর আগে তিনি ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা, আগামীর পদক্ষেপ জানতে আরিফ কাদরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সংবাদ-এর অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক রমজান আলী।
সংবাদ : ৪১ বছরে পা রাখছে ইউসিবি। এ সময়ের ব্যাংকের অভিজ্ঞতা কেমন?
আরিফ কাদরী : ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে ইউসিবি। প্রথমে দিকে ব্যাংকটি বেশিরভাগই করপোরেট খাতে ঋণ দিয়েছে। তবে এখন ব্যাংকটি অন্য দিকে জোর দিচ্ছে। বেশি মানুষের সঙ্গে ব্যাংকিং করার জন্য ইউসিবি ব্যাংক এখন এসএমই খাতে বেশি ঋণ দিচ্ছে। আমরা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষকে সেবা দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়ার ফলে উৎপাদন বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান হবে। এতে করে ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে। এভাবে টাকা যত বেশি হাতবদল হবে, অর্থনীতি তত শক্তিশালী হবে।
সংবাদ : আপনারা প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক, এখন আপনাদের সেবায় কোনো নতুনত্ব এসেছে, নাকি আগের পদ্ধতিতেই চলছে?
কাদরী : করপোরেট ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি নতুন নতুন সেবার সংযোজন করা, গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন, নিরাপদ ও নির্ভুল সেবার নিশ্চয়তার বিভিন্ন ধরনের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানে গ্রিন ব্যাংকিং এবং ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে ইউসিবি ব্যাংকে। ৮৬ হাজারের মতো গ্রাহক ইউসিবির কার্ড ব্যবহার করছে। এছাড়া প্রান্তিক ও নি¤œ আয়ের মানুষকে সেবার আওতায় আনতে ইউসিবি ব্যাংকের চালু রয়েছে ২২৯টি শাখা, ১৫২ উপশাখা ৭০৩টি এটিএম বুথ ও সিআরএম এবং ৯২৭ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা। সামনে সেবা বাড়ানোর জন্য শাখা, উপশাখা ও এটিএম বুথ এবং এজেন্ট আরও বাড়ানো হবে।
সংবাদ : ব্যাংকের আমানত ও ঋণ বিতরণের পরিমাণ কত?
কাদরী : ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকার মতো। ঋণ বিতরণ সাড়ে ৫৩ হাজার টাকার মতো। এর মধ্যে রিটেইল খাতে ২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, এসএমইতে খাতে ১১ হাজার ২৮১ কোটি টাকা ও করপোরেট খাতে ৩৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং তাকওয়া ইসলামিক খাতে ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ ৬ শতাংশের কাছাকাছি।
সংবাদ : প্রান্তিক মানুষের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দিতে অনেক ব্যাংক তেমন আগ্রহ দেখায় না, সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের অবস্থা কী?
কাদরী : কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এমন সবখাতেই ঋণ দিচ্ছি। মূলত যেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, অর্থনৈতিক অবদান আছে এবং কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। আমাদের বিতরণকৃত ঋণের সিংহভাগই শিল্প খাতে। ইউসিবি সব সময় রিটেইল এবং এসএমই ঋণের প্রতি আগ্রহ ছিল। এখন সেটা আরও বাড়ানো হয়েছে। আগে ঋণের ৩৫ শতাংশ দেয়া হতো রিটেইল এবং এসএমই খাতে। এখন বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সারাদেশে ৬০ হাজারেরও বেশী কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে ইউসিবি ব্যাংক।
সংবাদ : কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কত এবং বিতরণ করেছেন কত?
কাদরী : বরাবরই লক্ষমাত্রার চেয়ে কৃষিতে বেশি ঋণ দিয়ে থাকি। ২০২২-২৩ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭৬ কোটি দেয়া হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ১৯ কোটি এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৯৫৯ কোটি। এখনো যে সময় রয়েছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সংবাদ : ডলার সংকট কাটাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
কাদরী : ব্যাংকের রপ্তানির পরিমাণ হলো ৩২৪৮ মিলিয়ন ডলার। আর আমদানি হলো ৩৮৩৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে রেমিটেন্স এসেছে ৫০১ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত এসেছে ১২৫ মিলিয়ন। তাই ডলারের তেমন সংকটে পড়তে হয়নি। রপ্তানি ও রেমিটেন্সের আয়ের অর্থ দিয়েই ডলার ব্যায়ের চাহিদার জোগান দিতে পেরেছি। প্রযোজন অনুযায়ী এলসি খুলতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
সংবাদ : ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
কাদরী : খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকের উন্নত সেবা নিশ্চিত করা। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইউসিবি ব্যাংকের অবদান আরও ত্বরান্বিত করা। ঋণ পুনঃরুদ্ধার নিশ্চিত করার জন্য ঋণ হিসাব পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে আরও জোরালো করা। ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত এবং বিধি সহজতর করার জন্য সঠিক এবং সময়োপযোগী তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (এমআইএস) নিশ্চিত করা। বড় খেলাপী ঋণ সম্পূর্ণ সমন্বয়ের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। ঋণ পুনঃরুদ্ধারের জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের সূচনা করা। এছাড়া রিটেইল, এসএমই এবং কার্ড বিভাগ উচ্চ ফোকাস পাবে এবং সেগমেন্টগুলোর বৃদ্ধি করপোরেট বিভাগে বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হবে।
সংবাদ : ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
কাদরী : আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি মুনাফা অর্জন এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। খেলাপি ঋণ আদায় করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায় করতে বেশ কিছু পলিসি দিয়েছে। এটা বড় কাজে লাগবে। আশা করছি, সামনে খেলাপি ঋণ কমে যাবে।
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন আরিফ কাদরী। এর আগে তিনি ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা, আগামীর পদক্ষেপ জানতে আরিফ কাদরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সংবাদ-এর অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক রমজান আলী।
সংবাদ : ৪১ বছরে পা রাখছে ইউসিবি। এ সময়ের ব্যাংকের অভিজ্ঞতা কেমন?
আরিফ কাদরী : ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে ইউসিবি। প্রথমে দিকে ব্যাংকটি বেশিরভাগই করপোরেট খাতে ঋণ দিয়েছে। তবে এখন ব্যাংকটি অন্য দিকে জোর দিচ্ছে। বেশি মানুষের সঙ্গে ব্যাংকিং করার জন্য ইউসিবি ব্যাংক এখন এসএমই খাতে বেশি ঋণ দিচ্ছে। আমরা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষকে সেবা দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়ার ফলে উৎপাদন বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান হবে। এতে করে ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে। এভাবে টাকা যত বেশি হাতবদল হবে, অর্থনীতি তত শক্তিশালী হবে।
সংবাদ : আপনারা প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক, এখন আপনাদের সেবায় কোনো নতুনত্ব এসেছে, নাকি আগের পদ্ধতিতেই চলছে?
কাদরী : করপোরেট ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি নতুন নতুন সেবার সংযোজন করা, গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন, নিরাপদ ও নির্ভুল সেবার নিশ্চয়তার বিভিন্ন ধরনের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানে গ্রিন ব্যাংকিং এবং ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে ইউসিবি ব্যাংকে। ৮৬ হাজারের মতো গ্রাহক ইউসিবির কার্ড ব্যবহার করছে। এছাড়া প্রান্তিক ও নি¤œ আয়ের মানুষকে সেবার আওতায় আনতে ইউসিবি ব্যাংকের চালু রয়েছে ২২৯টি শাখা, ১৫২ উপশাখা ৭০৩টি এটিএম বুথ ও সিআরএম এবং ৯২৭ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা। সামনে সেবা বাড়ানোর জন্য শাখা, উপশাখা ও এটিএম বুথ এবং এজেন্ট আরও বাড়ানো হবে।
সংবাদ : ব্যাংকের আমানত ও ঋণ বিতরণের পরিমাণ কত?
কাদরী : ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকার মতো। ঋণ বিতরণ সাড়ে ৫৩ হাজার টাকার মতো। এর মধ্যে রিটেইল খাতে ২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, এসএমইতে খাতে ১১ হাজার ২৮১ কোটি টাকা ও করপোরেট খাতে ৩৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং তাকওয়া ইসলামিক খাতে ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ ৬ শতাংশের কাছাকাছি।
সংবাদ : প্রান্তিক মানুষের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দিতে অনেক ব্যাংক তেমন আগ্রহ দেখায় না, সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের অবস্থা কী?
কাদরী : কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এমন সবখাতেই ঋণ দিচ্ছি। মূলত যেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, অর্থনৈতিক অবদান আছে এবং কটেজ, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। আমাদের বিতরণকৃত ঋণের সিংহভাগই শিল্প খাতে। ইউসিবি সব সময় রিটেইল এবং এসএমই ঋণের প্রতি আগ্রহ ছিল। এখন সেটা আরও বাড়ানো হয়েছে। আগে ঋণের ৩৫ শতাংশ দেয়া হতো রিটেইল এবং এসএমই খাতে। এখন বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। সারাদেশে ৬০ হাজারেরও বেশী কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে ইউসিবি ব্যাংক।
সংবাদ : কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কত এবং বিতরণ করেছেন কত?
কাদরী : বরাবরই লক্ষমাত্রার চেয়ে কৃষিতে বেশি ঋণ দিয়ে থাকি। ২০২২-২৩ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭৬ কোটি দেয়া হয়েছে ৮৬০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ১৯ কোটি এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৯৫৯ কোটি। এখনো যে সময় রয়েছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সংবাদ : ডলার সংকট কাটাতে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
কাদরী : ব্যাংকের রপ্তানির পরিমাণ হলো ৩২৪৮ মিলিয়ন ডলার। আর আমদানি হলো ৩৮৩৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে রেমিটেন্স এসেছে ৫০১ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত এসেছে ১২৫ মিলিয়ন। তাই ডলারের তেমন সংকটে পড়তে হয়নি। রপ্তানি ও রেমিটেন্সের আয়ের অর্থ দিয়েই ডলার ব্যায়ের চাহিদার জোগান দিতে পেরেছি। প্রযোজন অনুযায়ী এলসি খুলতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
সংবাদ : ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
কাদরী : খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকের উন্নত সেবা নিশ্চিত করা। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ইউসিবি ব্যাংকের অবদান আরও ত্বরান্বিত করা। ঋণ পুনঃরুদ্ধার নিশ্চিত করার জন্য ঋণ হিসাব পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিকে আরও জোরালো করা। ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত এবং বিধি সহজতর করার জন্য সঠিক এবং সময়োপযোগী তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (এমআইএস) নিশ্চিত করা। বড় খেলাপী ঋণ সম্পূর্ণ সমন্বয়ের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। ঋণ পুনঃরুদ্ধারের জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের সূচনা করা। এছাড়া রিটেইল, এসএমই এবং কার্ড বিভাগ উচ্চ ফোকাস পাবে এবং সেগমেন্টগুলোর বৃদ্ধি করপোরেট বিভাগে বৃদ্ধির চেয়ে বেশি হবে।
সংবাদ : ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
কাদরী : আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি মুনাফা অর্জন এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। খেলাপি ঋণ আদায় করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায় করতে বেশ কিছু পলিসি দিয়েছে। এটা বড় কাজে লাগবে। আশা করছি, সামনে খেলাপি ঋণ কমে যাবে।