অস্থিরতার মধ্যে রাজধানীর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু শিল্প ও কল-কারখান চালু হয়েছে। বেশি চালু হয়েছে পোশাক খাতের কারখানাগুলো। তবে রাজধানীতে শ্রমিকের উপস্থিতি ছিল কম। চট্টগ্রামে পুরোদমে শিল্প-কারখানা চালু ছিল এবং শ্রমিকদের উপস্থিতিও ভালো ছিল। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানী আশপাশে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু কারখানা চালু হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু কারখানা পুলিশের সহযোগিতায় চালু করা হয়েছিল। তবে বুধবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের শিল্প-কারখানা চালু রাখতে সব উদ্যোক্তাদের বলা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন চালু করার বিষয়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নজরদারি রাখবে। আশা করি, এখন সমস্যা হবে না। একদিন শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলে প্রায় ১৬ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয় এই সেক্টরে।
তিনি বলেন, ২২ জুলাই সোমবার প্রধামমন্ত্রীর ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন কীভাবে আমরা করোনার সময়ের মতো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি। সেই পরিকল্পনা দিয়েছেন। এছাড়া সব ধরনের সহযোগিতাও করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এস এম মান্নান (কচি) বলেন, দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে ধ্বংস করতে পারে, এটা ভাবতেই পারি না। টার্গেট করে দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে। এতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি দেশের ক্ষতি। আমাদের একটু সময় লাগবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। তবে আশা করি, কাটিয়ে উঠবো আমরা। আমাদের অর্থনীতির চাকা আবার সচল হবে, ইনশাল্লাহ।
বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বেশকিছু কলকারখানা চালু করা হয়েছে। সারাদেশে যাতে বুধবার থেকে চালু কল-কারখানা করতে পারি। সেই জন্য সবাইকে আহ্বান করা হবে। আজ (মঙ্গলবার) বেশকিছু কারখানা চালু থাকলেও শ্রমিদের উপস্থিতি কম ছিলো। আগামীকাল (বুধবার, ২৪ জুলাই) আশা করি, শ্রমিদের উপস্থিতি ভালো থাকবে। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) শ্রমিকের উপস্থিতি কম থাকারও কারণ হলো অনেকই আতংকের মধ্যে ছিল। এর মধ্যে অনেকই ভয়তে বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। অনেকই বাড়িতে চলে গেছে। এর মধ্যে কারফিউও আছে। তাই শ্রমিকরা যে দ্রুত আসবে তাও পারবে না। তাই দুই একদিন সময় লাগবে। পুরোদমে কারখানা চালু হতেও আর কিছুদিন লাগবে বলে তিনি মনে করেন।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতেও ব্যবসায়ীদের সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট চালু হয়নি। ফলে সীমিত আকারে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ছাড়া তো পুরোদমে আমদানি ও রপ্তানি চালু করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতি দেশের ইমেজ সংকটে পড়তে পারে। কারণ ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা বায়ারদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারছি না। ফলে বায়াররা অন্য কোনো কিছু মনে করে অন্য দেশ থেকে তাদের পণ্যের অর্ডার দিতে পারে। তাই সরকারের কাছে দ্রুত ইন্টারনেট চালুর দাবি করছি। ইন্টারনেট চালু না করা পর্যন্ত আমাদের কোনোকিছুই পুরোদমে চালু করতে পারবো না।
গত ১ জুলাই থেকে ছাত্রদের একদফা কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে গত ১৭ জুলাই থেকে ভয়াবহ সহিংসতায় রুপ নিয়েছ সেই আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জামায়ত-বিএনপি প্রবেশ করে সারাদেশের অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। এতে গত কয়েকদিনে দেশের সরকারি ও বেসরকারির বিভিন্ন স্থাপনা আগুন, যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস করে জামায়ত-বিএনপি। নিয়ন্ত্রণ আনতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে এখন দেশে কিছুটা শান্তি বিরাজ করছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪
অস্থিরতার মধ্যে রাজধানীর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু শিল্প ও কল-কারখান চালু হয়েছে। বেশি চালু হয়েছে পোশাক খাতের কারখানাগুলো। তবে রাজধানীতে শ্রমিকের উপস্থিতি ছিল কম। চট্টগ্রামে পুরোদমে শিল্প-কারখানা চালু ছিল এবং শ্রমিকদের উপস্থিতিও ভালো ছিল। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাজধানী আশপাশে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু কারখানা চালু হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু কারখানা পুলিশের সহযোগিতায় চালু করা হয়েছিল। তবে বুধবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের শিল্প-কারখানা চালু রাখতে সব উদ্যোক্তাদের বলা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন চালু করার বিষয়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নজরদারি রাখবে। আশা করি, এখন সমস্যা হবে না। একদিন শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকলে প্রায় ১৬ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয় এই সেক্টরে।
তিনি বলেন, ২২ জুলাই সোমবার প্রধামমন্ত্রীর ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন কীভাবে আমরা করোনার সময়ের মতো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি। সেই পরিকল্পনা দিয়েছেন। এছাড়া সব ধরনের সহযোগিতাও করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এস এম মান্নান (কচি) বলেন, দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে ধ্বংস করতে পারে, এটা ভাবতেই পারি না। টার্গেট করে দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে। এতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি দেশের ক্ষতি। আমাদের একটু সময় লাগবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। তবে আশা করি, কাটিয়ে উঠবো আমরা। আমাদের অর্থনীতির চাকা আবার সচল হবে, ইনশাল্লাহ।
বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বেশকিছু কলকারখানা চালু করা হয়েছে। সারাদেশে যাতে বুধবার থেকে চালু কল-কারখানা করতে পারি। সেই জন্য সবাইকে আহ্বান করা হবে। আজ (মঙ্গলবার) বেশকিছু কারখানা চালু থাকলেও শ্রমিদের উপস্থিতি কম ছিলো। আগামীকাল (বুধবার, ২৪ জুলাই) আশা করি, শ্রমিদের উপস্থিতি ভালো থাকবে। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) শ্রমিকের উপস্থিতি কম থাকারও কারণ হলো অনেকই আতংকের মধ্যে ছিল। এর মধ্যে অনেকই ভয়তে বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে। অনেকই বাড়িতে চলে গেছে। এর মধ্যে কারফিউও আছে। তাই শ্রমিকরা যে দ্রুত আসবে তাও পারবে না। তাই দুই একদিন সময় লাগবে। পুরোদমে কারখানা চালু হতেও আর কিছুদিন লাগবে বলে তিনি মনে করেন।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতেও ব্যবসায়ীদের সময় লাগবে। এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট চালু হয়নি। ফলে সীমিত আকারে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ছাড়া তো পুরোদমে আমদানি ও রপ্তানি চালু করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতি দেশের ইমেজ সংকটে পড়তে পারে। কারণ ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা বায়ারদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারছি না। ফলে বায়াররা অন্য কোনো কিছু মনে করে অন্য দেশ থেকে তাদের পণ্যের অর্ডার দিতে পারে। তাই সরকারের কাছে দ্রুত ইন্টারনেট চালুর দাবি করছি। ইন্টারনেট চালু না করা পর্যন্ত আমাদের কোনোকিছুই পুরোদমে চালু করতে পারবো না।
গত ১ জুলাই থেকে ছাত্রদের একদফা কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে গত ১৭ জুলাই থেকে ভয়াবহ সহিংসতায় রুপ নিয়েছ সেই আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে জামায়ত-বিএনপি প্রবেশ করে সারাদেশের অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। এতে গত কয়েকদিনে দেশের সরকারি ও বেসরকারির বিভিন্ন স্থাপনা আগুন, যানবাহনে ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস করে জামায়ত-বিএনপি। নিয়ন্ত্রণ আনতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে এখন দেশে কিছুটা শান্তি বিরাজ করছে।