দেশে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রান্তিকে প্রায় ৩ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, জুন শেষে দেশে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজারে পৌঁছেছে, যা মার্চে ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার। এ হিসাবে মাত্র তিন মাসে ২ হাজার ৮৯৪টি নতুন কোটি টাকার হিসাব যুক্ত হয়েছে।
ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও সরকারি মিলে এই হিসাবগুলো তৈরি হয়েছে। জুন প্রান্তিকে ৩৪ হাজার ৪৮১টি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। এছাড়া ৪০ হাজার ২৮৯টি অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার, আর প্রায় ৪৪ হাজারটি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের।
ব্যাংকাররা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৩ সালের জুনে এই সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪, যা এক বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজারে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক বছরের ব্যবধানে ৫ হাজার ৪৪৬টি কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে মোট ব্যাংক আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা কোটি টাকার বেশি জমা থাকা অ্যাকাউন্টধারীদের দখলে, যা মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রশ্ন তুলেছেন, কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বাড়তে থাকা কীসের ইঙ্গিত। তিনি বলেন, “ব্যক্তির আয় সাধারণত স্থিতিশীল থাকে, ফলে তাদের অ্যাকাউন্টগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে নাম-বেনামে টাকা জমা রাখার প্রবণতা বেড়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।”
এক বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “মূল্যস্ফীতির সময় কিছু ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, যার ফলে কোটি টাকার হিসাবও বাড়ছে।”
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রান্তিকে প্রায় ৩ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, জুন শেষে দেশে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজারে পৌঁছেছে, যা মার্চে ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার। এ হিসাবে মাত্র তিন মাসে ২ হাজার ৮৯৪টি নতুন কোটি টাকার হিসাব যুক্ত হয়েছে।
ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও সরকারি মিলে এই হিসাবগুলো তৈরি হয়েছে। জুন প্রান্তিকে ৩৪ হাজার ৪৮১টি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। এছাড়া ৪০ হাজার ২৮৯টি অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার, আর প্রায় ৪৪ হাজারটি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের।
ব্যাংকাররা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৩ সালের জুনে এই সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪, যা এক বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজারে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক বছরের ব্যবধানে ৫ হাজার ৪৪৬টি কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে মোট ব্যাংক আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা কোটি টাকার বেশি জমা থাকা অ্যাকাউন্টধারীদের দখলে, যা মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রশ্ন তুলেছেন, কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বাড়তে থাকা কীসের ইঙ্গিত। তিনি বলেন, “ব্যক্তির আয় সাধারণত স্থিতিশীল থাকে, ফলে তাদের অ্যাকাউন্টগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে নাম-বেনামে টাকা জমা রাখার প্রবণতা বেড়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।”
এক বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “মূল্যস্ফীতির সময় কিছু ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়ছে, যার ফলে কোটি টাকার হিসাবও বাড়ছে।”