alt

নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমার তথ্য দিলো সরকার

রেজাউল করিম : বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

সরকারের প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বাজারের বাস্তব অবস্থার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার মূল্যস্ফীতির তথ্যে বলছে, নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে দিয়ে দেখা যায়, চাল, ডাল, সবজি, মাছ-মাংস, ডিম থেকে শুরু করে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তবে অর্থনীতিবিদরা দাবি করছেন, দাম বাড়লেও বৃদ্ধির হার আগের চেয়ে কমেছে। কিছুদিন পর হয়তো স্থীতিশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই-আগস্টের পর দুই অঙ্কের নিচে নেমে এসেছে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের সেপ্টেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৯২ পয়সা। জুলাইয়ে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ যা আগস্টে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সবশেষ এক অঙ্কের ঘরে ছিল মূল্যস্ফীতি। সে সময় পয়েন্ট-টু- পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য কমে যাওয়া। সেপ্টেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৪০ যা আগস্টে ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

অর্থাৎ, মাসের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। অথচ গতবছর সেপ্টেম্বরেও খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে কমার প্রবণতা ছিল নিতান্তই কম। সেপ্টেম্বরে এ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫০ যা আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

তবে সরকারের এই মূল্যস্থীতির তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। কারণ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত এক, দেড় মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। যেমন, বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, এক কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ মাসখানেক আগে বরবটি ও বেগুনের কেজি বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৬০ ও ৭০ টাকায়।

অন্যান্য সবজির মধ্যে, এক মাস আগে কাঁকরোল, ঢ্যাঁড়শের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বুধবার এই সবজিটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮০ টাকায়। এ ছাড়া পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে, যা এক মাস আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কেনা গেছে।

বুধবার এই বিষয়ে কথা হয় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, দাম বাড়লেও আগের চেয়ে বৃদ্ধির হার কিছুটা কমছে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম এখনও কিছুটা বাড়ছে। তবে এই বাড়তির হারটা কিছুটা কমেছে। যেসব পণ্য নি¤œ আয়ের মানুষ বেশি ভোগ করেন সেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির হারটা আরেকটু বেশি।’

শুধু সবজি নয়, দাম বেড়েছে ডিম-মুরগিরও। গত এক মাস আগে প্রতিডজন ডিমের দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। সেই ডিম বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি কিনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি উঠেছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। মাস দেড়েক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

এই সময়ে চালের দামও বেড়েছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় মাঝারি আকারের (বিআর-২৮ ও পায়জাম) জাতের চাল। খুচরায় বর্তমানে এ দুই জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকায়। মোটা চালের (গুটি স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া চিকন চাল (মিনিকেট) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। দুই মাস আগে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৮ এবং চিকন চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে নিত্যপণ্যের দাম একটা সময় স্থীতিশীল পর্যায়ে যাবে-এমনটা আশা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তো সে হারে বাড়বে না। আরও হয়তো কিছুদিন বেড়ে সেটা এক সময় স্থীতিশীল পর্যায়ে চলে আসবে। সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

ছবি

চার মাস পর ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে শেয়ারবাজারের লেনদেন

ছবি

পুঁজিবাজারে শিবলী-রিয়াজ আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

দরপত্র ছাড়া ২৮ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

ছবি

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও জেনারেল হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার চিলার

ছবি

বিনিয়োগ ঝুঁকি ও সহনশীলতা সূচকে ১৯৩ তম অবস্থানে বাংলাদেশ: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়ন ৫ শতাংশ

ছবি

এলআর গ্লোবালের রিয়াজ ইসলাম শেয়ারবাজারে আজীবন নিষিদ্ধ

ছবি

আমদানি পণ্য ছাড় স্বাভাবিক হয়নি, ব্যবসায়ীরা কষছেন ক্ষতির হিসাব

ছবি

করাচি থেকে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে: খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন, চাল আমদানির অনুমতি সীমিত রাখার সুপারিশ

ছবি

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার : বিডা চেয়ারম্যান

ছবি

দেশে একমাত্র মুনাফাকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক: বিটিএমএ সভাপতি

ছবি

নোভার্টিসের ওষুধ উৎপাদন শুরু করল নেভিয়ান

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গঠন হচ্ছে শরিয়াহ উপদেষ্টা পর্ষদ

ছবি

কারচুপি নয়, পরিসংখ্যানে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ছবি

নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়ার কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের সম্মানী বাড়ল

ছবি

ঢাকায় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

ছবি

প্রাইম ব্যাংকের নতুন সিএফও হলেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

ছবি

সূচকে বড় উত্থান হলেও লেনদেন তলানিতে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি স্থগিত

ছবি

অবলোপন করা ঋণ আদায়ের ৫ শতাংশ পাবেন কর্মকর্তারা

ছবি

ড্যাপ সংশোধনী ও ইমারত বিধিমালা নীতিগত অনুমোদন

ছবি

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি: এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন

ছবি

ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বিনিয়োগ সংস্থা একীভূত হবে: বিডা

ছবি

পাঁচ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে এক ব্যাংক গঠনের কাজ শুরু

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে

ছবি

চাঁদাবাজির অভিযোগে আগামী মাস থেকে গাড়ি বিক্রি বন্ধের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ীদের

ছবি

ইখতিয়ার খান প্রিন্স মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ এর নতুন ভাইস চেয়ারম্যান

ছবি

পোশাক তৈরির কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল ধ্বংস হয়েছে: বিজিএমইএ

ছবি

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডিসিসিআই’র উদ্বেগ

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে

ছবি

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারক ও বিদেশি ক্রেতাদের উদ্বেগ: ইএবির ছয় দফা দাবি

শাহজালাল কার্গো ভিলেজে আগুনের পর ঢাকা কাস্টম হাউজ খালাসের অস্থায়ী ব্যবস্থা চালু

শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে পোশাক খাতে বড় ক্ষতি: বিজিএমইএ

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে সহযোগিতার আশ্বাস এমআরএ’র

ছবি

পাঁচ বছরে এসইউভির বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ

tab

নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমার তথ্য দিলো সরকার

রেজাউল করিম

বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

সরকারের প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বাজারের বাস্তব অবস্থার মিল পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার মূল্যস্ফীতির তথ্যে বলছে, নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে দিয়ে দেখা যায়, চাল, ডাল, সবজি, মাছ-মাংস, ডিম থেকে শুরু করে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। তবে অর্থনীতিবিদরা দাবি করছেন, দাম বাড়লেও বৃদ্ধির হার আগের চেয়ে কমেছে। কিছুদিন পর হয়তো স্থীতিশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই-আগস্টের পর দুই অঙ্কের নিচে নেমে এসেছে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি। পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের সেপ্টেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৯২ পয়সা। জুলাইয়ে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ যা আগস্টে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সবশেষ এক অঙ্কের ঘরে ছিল মূল্যস্ফীতি। সে সময় পয়েন্ট-টু- পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য কমে যাওয়া। সেপ্টেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৪০ যা আগস্টে ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

অর্থাৎ, মাসের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে। অথচ গতবছর সেপ্টেম্বরেও খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতে কমার প্রবণতা ছিল নিতান্তই কম। সেপ্টেম্বরে এ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫০ যা আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

তবে সরকারের এই মূল্যস্থীতির তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। কারণ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত এক, দেড় মাসের ব্যবধানে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। যেমন, বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, এক কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ মাসখানেক আগে বরবটি ও বেগুনের কেজি বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৬০ ও ৭০ টাকায়।

অন্যান্য সবজির মধ্যে, এক মাস আগে কাঁকরোল, ঢ্যাঁড়শের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বুধবার এই সবজিটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮০ টাকায়। এ ছাড়া পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে, যা এক মাস আগে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কেনা গেছে।

বুধবার এই বিষয়ে কথা হয় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, দাম বাড়লেও আগের চেয়ে বৃদ্ধির হার কিছুটা কমছে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম এখনও কিছুটা বাড়ছে। তবে এই বাড়তির হারটা কিছুটা কমেছে। যেসব পণ্য নি¤œ আয়ের মানুষ বেশি ভোগ করেন সেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির হারটা আরেকটু বেশি।’

শুধু সবজি নয়, দাম বেড়েছে ডিম-মুরগিরও। গত এক মাস আগে প্রতিডজন ডিমের দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। সেই ডিম বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি কিনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি উঠেছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। মাস দেড়েক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

এই সময়ে চালের দামও বেড়েছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় মাঝারি আকারের (বিআর-২৮ ও পায়জাম) জাতের চাল। খুচরায় বর্তমানে এ দুই জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৪ টাকায়। মোটা চালের (গুটি স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া চিকন চাল (মিনিকেট) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। দুই মাস আগে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৮ এবং চিকন চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে নিত্যপণ্যের দাম একটা সময় স্থীতিশীল পর্যায়ে যাবে-এমনটা আশা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তো সে হারে বাড়বে না। আরও হয়তো কিছুদিন বেড়ে সেটা এক সময় স্থীতিশীল পর্যায়ে চলে আসবে। সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

back to top