গাজীপুরের জিরানী এলাকায় এক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আজ (সোমবার) হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের ফলে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা রেডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার কর্মী। গত সপ্তাহে শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাসসহ অন্যান্য দাবির পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। সে সময় কারখানার কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে শ্রমিকেরা আবার বিক্ষোভে নামেন।
শ্রমিকদের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
শ্রমিকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা কার্যকর করেনি। তাই আজ দুপুরের টিফিনের সময় শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুপুর ১টা থেকে সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, যা সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে।
কারখানার এক শ্রমিক, আবদুল মোমিন, বলেন, "গত সপ্তাহে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ না মালিক এসে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আমরা আর আশ্বাসে সন্তুষ্ট নই।"
প্রশাসনের পদক্ষেপ
শ্রমিকদের এই আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব জানান, "বেলা একটার দিকে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করে এবং চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।"
এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
যানজট ও জনদুর্ভোগ
শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে জিরানী বাজার এলাকা থেকে উভয় দিকেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে থাকেন, ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটির গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এতে প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। সড়ক অবরোধের কারণে স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও বিঘ্ন ঘটে।
শ্রমিকদের দাবি আদায়ের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
গাজীপুরের জিরানী এলাকায় এক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আজ (সোমবার) হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের ফলে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা রেডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার কর্মী। গত সপ্তাহে শ্রমিকেরা হাজিরা বোনাসসহ অন্যান্য দাবির পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। সে সময় কারখানার কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে শ্রমিকেরা আবার বিক্ষোভে নামেন।
শ্রমিকদের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
শ্রমিকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা কার্যকর করেনি। তাই আজ দুপুরের টিফিনের সময় শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন এবং এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন। এতে দুপুর ১টা থেকে সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, যা সাধারণ যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে।
কারখানার এক শ্রমিক, আবদুল মোমিন, বলেন, "গত সপ্তাহে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ না মালিক এসে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আমরা আর আশ্বাসে সন্তুষ্ট নই।"
প্রশাসনের পদক্ষেপ
শ্রমিকদের এই আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব জানান, "বেলা একটার দিকে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করে এবং চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।"
এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আন্দোলনকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
যানজট ও জনদুর্ভোগ
শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে জিরানী বাজার এলাকা থেকে উভয় দিকেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে থাকেন, ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটির গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এতে প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। সড়ক অবরোধের কারণে স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও বিঘ্ন ঘটে।
শ্রমিকদের দাবি আদায়ের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।