ঢাকার শাহজাদপুরের বাসিন্দা রিয়াসাত হোসেন; হঠাৎ একদিন মাঝ রাতে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালি থেকে ফোন আসে এক নিকটাত্মীয়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারলেও এতো রাতে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না তারা। তার কথা, ‘আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টেও পর্যাপ্ত ব্যালেন্স ছিলো না। তাই ব্যাংকের কার্ড থেকে তাৎক্ষণিক অ্যাড মানি করে চিকিৎসার জন্য অর্থ সেন্ড মানি করে দেই রোগীর সাথে থাকা আমার এক ভাইকে। এরকম জরুরি প্রয়োজনে বিকাশ এক ভরসার নাম হয়ে উঠেছে আমার জন্য।’
ভিসা, মাস্টারকার্ড বা অ্যামেক্স – হাতে যে কার্ডই থাকুক না কেনো তা থেকে বিকাশ-এ অ্যাড মানি করে অনলাইন-অফলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সেবার বিল দেয়া, সেভিংস করা, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম দেয়া, সবই করতে পারছেন গ্রাহকরা। কার্ড থেকে বিকাশ-এ টাকা এনে দিনে-রাতে যেকোনো সময় জরুরি প্রয়োজন লেনদেন সারতে পারছেন গ্রাহকরা। তাতে এই সেবা রিয়াসাতের মত অনেকেরই আস্থা অর্জন করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে সক্রিয় ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৪ লাখ আর ক্রেডিট কার্ড ২৫ লাখের কিছু বেশি। অনেকের কাছেই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকলেও বিপণি-বিতান, রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান সহ বিভিন্ন স্থানে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) না থাকা, শহরের ব্যস্ত এলাকার বাইরে এটিএম বুথের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে থাকেন।
বিকাশ-এর আছে দেশজুড়ে ৩ লাখ ৭৯ হাজার এজেন্টের বিশাল এক নেটওয়ার্ক। গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে খুব সহজেই হাঁটা দুরত্বে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। আবার দেশজুড়ে বিকাশ-এর রয়েছে ৮৫০,০০০-এর বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট যেখানে কিউআর কোড স্ক্যান করে খুব সহজেই বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম পরিশোধ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা, অ্যামেক্স বা মাস্টারকার্ড থেকে বিকাশ-এর ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক কোনো চার্জ ছাড়াই তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যেকোনো সময় দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা আনতে পারছেন অ্যাড মানি সেবার মাধ্যমে। এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করার পাশাপাশি কার্ড থেকে বিকাশে তাৎক্ষণিক টাকা এনে সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল, অফলাইন/অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি দেয়া, বাস-ট্রেন-বিমান-এর টিকেট কাটা, বিভিন্ন ধরণের সরকারি ফি পরিশোধ, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স সহ অসংখ্য সেবা খুব সহজেই নিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
ভিসা, মাস্টারকার্ড বা অ্যামেক্স থেকে বিকাশ-এ অ্যাড মানি করার পদ্ধতি:
বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘অ্যাড মানি’ আইকনে ট্যাপ করে ‘কার্ড টু বিকাশ’ বাছাই করে ‘ভিসা’, ‘মাস্টারকার্ড’ বা অ্যামেক্স সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার শুরু থেকেই দেয়া থাকবে, তবে অন্য কারো নাম্বারে টাকা পাঠাতে চাইলে, সেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি টাইপ করতে হবে। তারপর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ভিসা/মাস্টারকার্ড/অ্যামেক্স কার্ডের নাম্বার, মেয়াদ এবং সিভিএন বা সিভিভি নাম্বার (কার্ডের পেছনে থাকা ৩ বা ৪ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড) দিতে হবে। পরের ধাপে ফোন নাম্বারে পাঠানো ওটিপি দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। অ্যাড মানি সম্পন্ন হলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ চলে আসবে। পরবর্তী লেনদেনের সুবিধার জন্য কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন গ্রাহক। কার্ড সেভের পর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ওটিপি কোড দিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে।
স্ক্যান করেও কার্ড সেভ করা যাচ্ছে বিকাশ-এ:
বিকাশ অ্যাপের নতুন আপডেটে কার্ড সেভ করার পদ্ধতিটিকে আরো সহজ করা হয়েছে। কার্ডের বিস্তারিত টাইপ না করে, স্ক্যান করেই কার্ড সেভ করতে পারছেন গ্রাহক। বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ আইকনে প্রবেশ করে কার্ড নির্বাচন করে টাকার পরিমাণ দিয়ে পরের ধাপে গেলেই পাওয়া যাবে সরাসরি স্ক্যান করার অপশন। কার্ড স্ক্যান অপশন গ্রাহকের সময় সাশ্রয়ের পাশপাশি আরো নির্ভুল সেবা নিশ্চিত করছে।
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকার শাহজাদপুরের বাসিন্দা রিয়াসাত হোসেন; হঠাৎ একদিন মাঝ রাতে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালি থেকে ফোন আসে এক নিকটাত্মীয়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারলেও এতো রাতে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না তারা। তার কথা, ‘আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টেও পর্যাপ্ত ব্যালেন্স ছিলো না। তাই ব্যাংকের কার্ড থেকে তাৎক্ষণিক অ্যাড মানি করে চিকিৎসার জন্য অর্থ সেন্ড মানি করে দেই রোগীর সাথে থাকা আমার এক ভাইকে। এরকম জরুরি প্রয়োজনে বিকাশ এক ভরসার নাম হয়ে উঠেছে আমার জন্য।’
ভিসা, মাস্টারকার্ড বা অ্যামেক্স – হাতে যে কার্ডই থাকুক না কেনো তা থেকে বিকাশ-এ অ্যাড মানি করে অনলাইন-অফলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সেবার বিল দেয়া, সেভিংস করা, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম দেয়া, সবই করতে পারছেন গ্রাহকরা। কার্ড থেকে বিকাশ-এ টাকা এনে দিনে-রাতে যেকোনো সময় জরুরি প্রয়োজন লেনদেন সারতে পারছেন গ্রাহকরা। তাতে এই সেবা রিয়াসাতের মত অনেকেরই আস্থা অর্জন করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে সক্রিয় ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৪ লাখ আর ক্রেডিট কার্ড ২৫ লাখের কিছু বেশি। অনেকের কাছেই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড থাকলেও বিপণি-বিতান, রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান সহ বিভিন্ন স্থানে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) না থাকা, শহরের ব্যস্ত এলাকার বাইরে এটিএম বুথের স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে থাকেন।
বিকাশ-এর আছে দেশজুড়ে ৩ লাখ ৭৯ হাজার এজেন্টের বিশাল এক নেটওয়ার্ক। গ্রাহকরা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা এনে খুব সহজেই হাঁটা দুরত্বে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন। আবার দেশজুড়ে বিকাশ-এর রয়েছে ৮৫০,০০০-এর বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট যেখানে কিউআর কোড স্ক্যান করে খুব সহজেই বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম পরিশোধ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা, অ্যামেক্স বা মাস্টারকার্ড থেকে বিকাশ-এর ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক কোনো চার্জ ছাড়াই তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে যেকোনো সময় দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা আনতে পারছেন অ্যাড মানি সেবার মাধ্যমে। এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করার পাশাপাশি কার্ড থেকে বিকাশে তাৎক্ষণিক টাকা এনে সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল, অফলাইন/অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি দেয়া, বাস-ট্রেন-বিমান-এর টিকেট কাটা, বিভিন্ন ধরণের সরকারি ফি পরিশোধ, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স সহ অসংখ্য সেবা খুব সহজেই নিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
ভিসা, মাস্টারকার্ড বা অ্যামেক্স থেকে বিকাশ-এ অ্যাড মানি করার পদ্ধতি:
বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘অ্যাড মানি’ আইকনে ট্যাপ করে ‘কার্ড টু বিকাশ’ বাছাই করে ‘ভিসা’, ‘মাস্টারকার্ড’ বা অ্যামেক্স সিলেক্ট করতে হবে। এরপর, নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার শুরু থেকেই দেয়া থাকবে, তবে অন্য কারো নাম্বারে টাকা পাঠাতে চাইলে, সেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি টাইপ করতে হবে। তারপর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ভিসা/মাস্টারকার্ড/অ্যামেক্স কার্ডের নাম্বার, মেয়াদ এবং সিভিএন বা সিভিভি নাম্বার (কার্ডের পেছনে থাকা ৩ বা ৪ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড) দিতে হবে। পরের ধাপে ফোন নাম্বারে পাঠানো ওটিপি দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। অ্যাড মানি সম্পন্ন হলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ চলে আসবে। পরবর্তী লেনদেনের সুবিধার জন্য কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন গ্রাহক। কার্ড সেভের পর টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে পরবর্তী ধাপে ওটিপি কোড দিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করা যাবে।
স্ক্যান করেও কার্ড সেভ করা যাচ্ছে বিকাশ-এ:
বিকাশ অ্যাপের নতুন আপডেটে কার্ড সেভ করার পদ্ধতিটিকে আরো সহজ করা হয়েছে। কার্ডের বিস্তারিত টাইপ না করে, স্ক্যান করেই কার্ড সেভ করতে পারছেন গ্রাহক। বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ আইকনে প্রবেশ করে কার্ড নির্বাচন করে টাকার পরিমাণ দিয়ে পরের ধাপে গেলেই পাওয়া যাবে সরাসরি স্ক্যান করার অপশন। কার্ড স্ক্যান অপশন গ্রাহকের সময় সাশ্রয়ের পাশপাশি আরো নির্ভুল সেবা নিশ্চিত করছে।