মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেন থামানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্টেশনটির প্রয়োজনীয় মেরামতকাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, এবং বৃহস্পতিবার স্টেশনের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী সপ্তাহেই এই স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা শুরু হতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বিভিন্ন যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে টিকিট যন্ত্রের কার্যকারিতা, গেটের স্বয়ংক্রিয় খোলার ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক পর্দায় ট্রেনের আগমনের সঠিক তথ্য প্রদর্শন এবং ট্রেনের দরজা যথাযথভাবে খোলার নিশ্চয়তা। এসব পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হলে মিরপুর-১০ স্টেশনটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় সফল হলে এ তথ্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবীর খানকে জানানো হবে। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে স্টেশনটির কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
পেছনের ঘটনা ও স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ইতিহাস
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ গোলচত্বরে সংঘটিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্টেশনটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এর ফলে মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা স্টেশন দুটি মেরামত করতে এক বছরের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন।
তবে, সরকার পরিবর্তনের পর দ্রুত কাজের মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয় এবং মিরপুর-১০ স্টেশনও দ্রুত মেরামতের কাজ শেষ করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
মেরামতের খরচ ও প্রযুক্তি
মেট্রোরেল স্টেশন দুটি মেরামতের জন্য পূর্বের সরকার প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচের প্রাক্কলন করেছিল। কিন্তু কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে মাত্র ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মিরপুর-১০ স্টেশনের মেরামতকাজের ব্যয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে এটি খুবই কম খরচে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, মেরামতের জন্য কোনো সরঞ্জাম আমদানি করা হয়নি। স্থানীয় বাজার থেকে কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে কিছু সরঞ্জাম পরবর্তীতে আমদানি করতে হবে, যা পূর্বের প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম হবে।
মিরপুর-১০ স্টেশনের টিকিট বিক্রির যন্ত্র এবং গেটের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশ-প্রস্থান ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করার পরিবর্তে উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে কিছু সরঞ্জাম নিয়ে মিরপুর-১০ স্টেশনে বসানো হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরার মেট্রোরেল ডিপোর ভেতরে থাকা প্রদর্শনকেন্দ্র থেকে গেটগুলো এনে বসানো হয়েছে।
সামনের পরিকল্পনা
যাত্রীদের সুবিধার্থে আমদানি করা যন্ত্রপাতি পরবর্তীতে বিভিন্ন স্টেশনে পুনর্ব্যবহার করা হবে। তবে ব্যয় প্রাক্কলনের তুলনায় অনেক কম খরচে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
পরীক্ষা সফল হলে, মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে, যা এই অঞ্চলের যাত্রীদের যাতায়াতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেন থামানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্টেশনটির প্রয়োজনীয় মেরামতকাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, এবং বৃহস্পতিবার স্টেশনের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী সপ্তাহেই এই স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা শুরু হতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বিভিন্ন যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত বিষয় পরীক্ষা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে টিকিট যন্ত্রের কার্যকারিতা, গেটের স্বয়ংক্রিয় খোলার ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক পর্দায় ট্রেনের আগমনের সঠিক তথ্য প্রদর্শন এবং ট্রেনের দরজা যথাযথভাবে খোলার নিশ্চয়তা। এসব পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হলে মিরপুর-১০ স্টেশনটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষায় সফল হলে এ তথ্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবীর খানকে জানানো হবে। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে স্টেশনটির কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে যাত্রী ওঠানামার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
পেছনের ঘটনা ও স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ইতিহাস
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ গোলচত্বরে সংঘটিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্টেশনটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এর ফলে মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা স্টেশন দুটি মেরামত করতে এক বছরের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন।
তবে, সরকার পরিবর্তনের পর দ্রুত কাজের মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয় এবং মিরপুর-১০ স্টেশনও দ্রুত মেরামতের কাজ শেষ করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
মেরামতের খরচ ও প্রযুক্তি
মেট্রোরেল স্টেশন দুটি মেরামতের জন্য পূর্বের সরকার প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচের প্রাক্কলন করেছিল। কিন্তু কাজীপাড়া স্টেশন মেরামতে মাত্র ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মিরপুর-১০ স্টেশনের মেরামতকাজের ব্যয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে এটি খুবই কম খরচে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, মেরামতের জন্য কোনো সরঞ্জাম আমদানি করা হয়নি। স্থানীয় বাজার থেকে কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে কিছু সরঞ্জাম পরবর্তীতে আমদানি করতে হবে, যা পূর্বের প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম হবে।
মিরপুর-১০ স্টেশনের টিকিট বিক্রির যন্ত্র এবং গেটের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশ-প্রস্থান ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করার পরিবর্তে উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও বিজয় সরণি স্টেশন থেকে কিছু সরঞ্জাম নিয়ে মিরপুর-১০ স্টেশনে বসানো হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরার মেট্রোরেল ডিপোর ভেতরে থাকা প্রদর্শনকেন্দ্র থেকে গেটগুলো এনে বসানো হয়েছে।
সামনের পরিকল্পনা
যাত্রীদের সুবিধার্থে আমদানি করা যন্ত্রপাতি পরবর্তীতে বিভিন্ন স্টেশনে পুনর্ব্যবহার করা হবে। তবে ব্যয় প্রাক্কলনের তুলনায় অনেক কম খরচে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
পরীক্ষা সফল হলে, মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে, যা এই অঞ্চলের যাত্রীদের যাতায়াতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।