দুই সন্তান, স্বামী ও শ্বশুরকে নিয়েই সংসার রাজধানীর আদাবর নিবাসী সৈয়দা আয়শা আখতারের। পরিবারের ভবিষ্যৎ, নিজের কর্তব্যবোধ এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঞ্চয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন এই গৃহিণী। তিনি বলেন, ‘ছোট বয়সে বাবাকে হারালেও, তার রেখে যাওয়া সঞ্চয়ের টাকা দিয়েই আমার পড়াশোনা, এমনকি বিয়েও হয়েছিলো। বিয়ের পর আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়ের গুরুত্বটা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে প্রায়ই আলোচনা করি। বেশ অনেকদিন ধরেই বিকাশ-এর বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করি, তাই বিকাশ অ্যাপে সেভিংসের মতো সেবা দেখার সাথে সাথেই একটি ডিপিএস খুলে ফেলি। বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিটের মতো।’
আয়শার মতো এমন লাখো গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে চার ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৩২ লাখের বেশি সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস। ঘরে বসে কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স-এ এই ডিপিএসগুলো খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে অর্জিত হয়েছে এই মাইলফলক। উল্লেখ্য, বিকাশ-এর মাধ্যমে সেভিংস খোলা গ্রাহকদের প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। ঘরে বসেই ছোট অঙ্কের সঞ্চয় করতে পারার সুযোগ থাকায় দেশব্যাপী নারীরাও সঞ্চয়ে আগ্রহী হচ্ছেন, যা তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করতে ভূমিকা রাখছে।
এদিকে বিকাশ-এ ডিপিএস খোলা ৪৮ শতাংশ গ্রাহকের বয়স ৩৫-এর নীচে। অর্থাৎ, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক নির্ভরযোগ্য আর্থিক সেবা পেলে তরুণরাও তাদের সীমিত আয় থেকে সঞ্চয় করতে আগ্রহী হন। আবার এরই মধ্যে যে গ্রাহকদের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকদের সঞ্চয়ের এই মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলা যায় যেভাবে: গ্রাহকরা এই মুহূর্তে বিকাশ অ্যাপে প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন। আবার সাধারণ ডিপিএস-এর পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আছে সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক-এর ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ক্লিক করতে হবে। সেভিংস-এর ধরন থেকে পছন্দ অনুযায়ী “সাধারণ সেভিংস” অথবা “ইসলামিক সেভিংস” বেছে নিয়ে সেভিংস-এর সময়কাল ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর এবং জমার ধরন থেকে ‘মাসিক বা সাপ্তাহিক’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক -- নূন্যতম ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা -- নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। এরপর জমার তথ্য ভালোভাবে দেখে নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। এরপর ডিপিএস-এর সার-সংক্ষেপ দেখে নিয়ে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিয়ে সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস-এর আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন সম্পন্ন হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকাশ ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাহক তার মোবাইলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ পেয়ে যাবেন।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্ধারিত কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস-এ জমা হয়ে যাবে। নির্ধারিত তারিখের আগেই ম্যাসেজের মাধ্যমে গ্রাহককে কিস্তি জমার তারিখ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। গ্রাহকরা যেকোনো সময় অ্যাপ থেকে মোট জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের মেয়াদ এবং মুনাফার পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেখে নিতে পারবেন। মেয়াদপূর্তিতে মুনাফাসহ মূল টাকা ফেরত আসবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে, যা ক্যাশ আউট করা যায় কোনো খরচ ছাড়াই।
আবার ক্যাশ আউট না করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, অফলাইন-অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন ও ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন সরকারি সেবার ফি প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান, এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।
রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
দুই সন্তান, স্বামী ও শ্বশুরকে নিয়েই সংসার রাজধানীর আদাবর নিবাসী সৈয়দা আয়শা আখতারের। পরিবারের ভবিষ্যৎ, নিজের কর্তব্যবোধ এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঞ্চয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন এই গৃহিণী। তিনি বলেন, ‘ছোট বয়সে বাবাকে হারালেও, তার রেখে যাওয়া সঞ্চয়ের টাকা দিয়েই আমার পড়াশোনা, এমনকি বিয়েও হয়েছিলো। বিয়ের পর আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়ের গুরুত্বটা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে প্রায়ই আলোচনা করি। বেশ অনেকদিন ধরেই বিকাশ-এর বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করি, তাই বিকাশ অ্যাপে সেভিংসের মতো সেবা দেখার সাথে সাথেই একটি ডিপিএস খুলে ফেলি। বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিটের মতো।’
আয়শার মতো এমন লাখো গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে চার ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৩২ লাখের বেশি সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস। ঘরে বসে কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স-এ এই ডিপিএসগুলো খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে অর্জিত হয়েছে এই মাইলফলক। উল্লেখ্য, বিকাশ-এর মাধ্যমে সেভিংস খোলা গ্রাহকদের প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। ঘরে বসেই ছোট অঙ্কের সঞ্চয় করতে পারার সুযোগ থাকায় দেশব্যাপী নারীরাও সঞ্চয়ে আগ্রহী হচ্ছেন, যা তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করতে ভূমিকা রাখছে।
এদিকে বিকাশ-এ ডিপিএস খোলা ৪৮ শতাংশ গ্রাহকের বয়স ৩৫-এর নীচে। অর্থাৎ, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক নির্ভরযোগ্য আর্থিক সেবা পেলে তরুণরাও তাদের সীমিত আয় থেকে সঞ্চয় করতে আগ্রহী হন। আবার এরই মধ্যে যে গ্রাহকদের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকদের সঞ্চয়ের এই মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলা যায় যেভাবে: গ্রাহকরা এই মুহূর্তে বিকাশ অ্যাপে প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন। আবার সাধারণ ডিপিএস-এর পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আছে সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক-এর ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ক্লিক করতে হবে। সেভিংস-এর ধরন থেকে পছন্দ অনুযায়ী “সাধারণ সেভিংস” অথবা “ইসলামিক সেভিংস” বেছে নিয়ে সেভিংস-এর সময়কাল ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর এবং জমার ধরন থেকে ‘মাসিক বা সাপ্তাহিক’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক -- নূন্যতম ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা -- নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। এরপর জমার তথ্য ভালোভাবে দেখে নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। এরপর ডিপিএস-এর সার-সংক্ষেপ দেখে নিয়ে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিয়ে সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস-এর আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন সম্পন্ন হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকাশ ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাহক তার মোবাইলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ পেয়ে যাবেন।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্ধারিত কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস-এ জমা হয়ে যাবে। নির্ধারিত তারিখের আগেই ম্যাসেজের মাধ্যমে গ্রাহককে কিস্তি জমার তারিখ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। গ্রাহকরা যেকোনো সময় অ্যাপ থেকে মোট জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের মেয়াদ এবং মুনাফার পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেখে নিতে পারবেন। মেয়াদপূর্তিতে মুনাফাসহ মূল টাকা ফেরত আসবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে, যা ক্যাশ আউট করা যায় কোনো খরচ ছাড়াই।
আবার ক্যাশ আউট না করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, অফলাইন-অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন ও ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন সরকারি সেবার ফি প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান, এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।