মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও কম্প্রেসর শিল্পের ওপর আয়কর হার দ্বিগুণ করেছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানায়। নতুন আদেশ অনুযায়ী, এসব শিল্পের আয়ের ওপর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কর প্রযোজ্য হবে।
এই সিদ্ধান্ত আগামী ২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে কার্যকর হবে, যা চলতি অর্থবছরে এসব শিল্পের আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
এনবিআরের মতে, আয়কর বৃদ্ধির ফলে ১ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সঙ্গে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে এনবিআর ভ্যাট ও আয়করের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আয়করের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক রাজস্ব আসবে না, তবে পরবর্তী অর্থবছরে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২১ সাল থেকে মোটরসাইকেল, এসি, রেফ্রিজারেটর ও কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যন্ত্রপাতি আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দেওয়ার সুবিধা পাচ্ছিল। এই সুবিধা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার কথা ছিল। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
ভ্যাটের আওতা বাড়াতে এবং রাজস্ব সংগ্রহ ত্বরান্বিত করতে এনবিআর আরও ৪৩টি পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, মোবাইলে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া এবং বিমানের টিকিট।
এই পণ্যে এতদিন ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলেও নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী তা ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
সিগারেটসহ তামাকপণ্যে ১.৫ শতাংশ এবং মোবাইল টক টাইমে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান শুল্ক-করকে ‘যৌক্তিকীকরণ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ভ্যাট ও আয়করের আওতা বাড়ানো অপরিহার্য।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর উল্লেখ করে, “আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ভ্যাট ও করের ব্যবস্থা সমন্বয় করে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
এনবিআরের এই নতুন উদ্যোগ দেশীয় শিল্পে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কর বৃদ্ধি উৎপাদন খরচ বাড়াবে এবং এর প্রভাব পণ্যের বাজারমূল্যে পড়তে পারে। তবে সরকারের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এসব উদ্যোগ জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত পূরণে ভূমিকা রাখবে।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ও কম্প্রেসর শিল্পের ওপর আয়কর হার দ্বিগুণ করেছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানায়। নতুন আদেশ অনুযায়ী, এসব শিল্পের আয়ের ওপর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কর প্রযোজ্য হবে।
এই সিদ্ধান্ত আগামী ২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে কার্যকর হবে, যা চলতি অর্থবছরে এসব শিল্পের আয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে।
এনবিআরের মতে, আয়কর বৃদ্ধির ফলে ১ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সঙ্গে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
এরই অংশ হিসেবে এনবিআর ভ্যাট ও আয়করের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আয়করের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক রাজস্ব আসবে না, তবে পরবর্তী অর্থবছরে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২১ সাল থেকে মোটরসাইকেল, এসি, রেফ্রিজারেটর ও কম্প্রেসর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যন্ত্রপাতি আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দেওয়ার সুবিধা পাচ্ছিল। এই সুবিধা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার কথা ছিল। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
ভ্যাটের আওতা বাড়াতে এবং রাজস্ব সংগ্রহ ত্বরান্বিত করতে এনবিআর আরও ৪৩টি পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, মোবাইলে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া এবং বিমানের টিকিট।
এই পণ্যে এতদিন ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলেও নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী তা ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
সিগারেটসহ তামাকপণ্যে ১.৫ শতাংশ এবং মোবাইল টক টাইমে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান শুল্ক-করকে ‘যৌক্তিকীকরণ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ভ্যাট ও আয়করের আওতা বাড়ানো অপরিহার্য।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর উল্লেখ করে, “আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ভ্যাট ও করের ব্যবস্থা সমন্বয় করে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
এনবিআরের এই নতুন উদ্যোগ দেশীয় শিল্পে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কর বৃদ্ধি উৎপাদন খরচ বাড়াবে এবং এর প্রভাব পণ্যের বাজারমূল্যে পড়তে পারে। তবে সরকারের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এসব উদ্যোগ জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত পূরণে ভূমিকা রাখবে।
