alt

ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

এই বৃদ্ধির হার তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাশের দেশটিতে ১২৫ কোটি ১৭ লাখ (১.২৫ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

রাজনৈতিক সম্পর্কে বৈরিতার মধ্যেও ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। এই বৃদ্ধির হার তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাশের দেশটিতে ১২৫ কোটি ১৭ লাখ (১.২৫ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যের সঙ্গে আগের তথ্যের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, এই অঙ্ক গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। এই প্রবৃদ্ধি অপ্রচলিত বা নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি; একক বাজার হিসাবে সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান। অন্য বড় বাজার জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডার চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এই খাত থেকে। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পোশাক রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ভারতের বাজারে; ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স— এ সব বড় বাজারের চেয়েও ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডার বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬, ৩ দশমিক ৩২, ৬ দশমিক ৭২ এবং ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। অষ্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। তুরস্কে বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। চীনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিপরীতে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। রাশিয়ায় কমেছে সবচেয়ে বেশি ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ইপিবির এই তথ্যই বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে। ভারত থেকে পণ্য আসা যেমন কমেনি। তেমনি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তো কমেইনি, বরং বাড়ছে।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো করার ওপর জোর দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর বাড়ছে। দেড়শ’ কোটি লোকের চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতেই হবে। ভারতে পোশাক তৈরি করতে যে খরচ হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে তার চেয়ে অনেক কম পড়ে। সে কারণে সব হিসাব-নিকাশ করেই তারা এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি করে পোশাক কিনবে।’

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের সঙ্গে ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ যত পণ্য আমদানি করে তার অনেক কমই রপ্তানি করে থাকে। কোভিড মহামারির সময় সারাবিশ্বে যোগাযোগ থমকে গেলে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বাড়তে শুরু করে।

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ভারতে রপ্তানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় বাংলাদেশের সেটাই প্রথম। তবে পরের অর্থ বছরে সেই রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। আয় নেমে আসে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলারে। এরপর আবার ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে ভারতে রপ্তানি করে যেখানে ১০৮ কোটি ৮৮ লাখ (১.০৮ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের একই সময়ে রপ্তানি ১২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ভারতে রপ্তানি বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪ শতাংশ। এই আয়ের মধ্যে ৪৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি থেকে এসেছে ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে এসেছে ৭ কোটি ৪ লাখ ডলার। প্লাস্টিক দ্রব্য থেকে এসেছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং সুতাজাত দ্রব্য রপ্তানি থেকে এসেছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ছবি

দেশেই তৈরি হবে সব ধরনের কীটনাশক

ছবি

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গ্রামীণফোনের সিইওসহ ৩ জন

ছবি

আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন ফারইস্ট লাইফের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

ছবি

আয়কর রিটার্ন এখন আরও সহজ, আপলোড করতে হবে না কাগজপত্র

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেন ও সূচক

ছবি

রিজার্ভ বৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলো আইএমএফ

ছবি

ঢাকা জেলায় মাথাপিছু আয় ৫১৬৩ ডলার: ডিসিসিআই

ছবি

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে শরণখোলার জেলেরা

ছবি

রাজনৈতিক অস্থিরতা, এক বছরে চট্টগ্রামে বন্ধ ২২ পোশাক কারখানা

ছবি

শেয়ারবাজারের মূলধনে যোগ হলো ৬ হাজার কোটি টাকা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যসংযোজিত পণ্য রপ্তানিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ: আইএমএফ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে এলো গম

ছবি

ঢাকা জেলার মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের প্রায় দ্বিগুণ: ডিসিসিআই রিপোর্ট

ছবি

সবজির দাম সামান্য কমেছে, অন্য নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

ছবি

দেশে কার্ডভিত্তিক লেনদেন দ্রুত বাড়ছে

ছবি

২০ শ্রমিকের সম্মতিতেও করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন

ছবি

এক বছরে বাংলাদেশের ৩৬ কারখানা পেল আন্তর্জাতিক ‘সবুজ’ সনদ

ছবি

প্রবাসী করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল সহজ হল

ছবি

ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ৪৮৫০ কোটি টাকা

ছবি

চালু হলো প্যাসিফিকের সাত কারখানা

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো’র নতুন স্মার্টফোন স্পার্ক ৪০ ফাইভজি

ছবি

দেশে ‘চামচা পুঁজিবাদী’ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: সিলেটে ড. দেবপ্রিয়

ছবি

দেশের বাজারে শাওমি ব্ল্যাকশার্ক ব্র্যান্ডের প্যাড ৭ নিয়ে এলো টেকটাইম

ছবি

জুলাই-সেপ্টেম্বরে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

তিন দেশ থেকে এক লাখ মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

ছবি

টানা রেকর্ডের পর কমলো স্বর্ণ-রুপার দাম

ছবি

আল-আরাফাহ্ ব্যাংক ও সমাধান সার্ভিসেসের চুক্তি

ছবি

শিশুখাদ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিনের শর্ত শিথিল

ছবি

পুঁজিবাজারে গুজব ছড়াতে দেয়া যাবে না: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

ছবি

রিজার্ভ ছাড়ালো ৩২ বিলিয়ন ডলার

ছবি

আইসিসিবিতে বাংলাদেশ-চীন গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো শুরু

ছবি

ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায় প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স

ছবি

বেড়েছে ডলারের দাম

ছবি

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৮তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

চার মাস পর ফের ৩০০ কোটি টাকার ঘরে শেয়ারবাজারের লেনদেন

ছবি

পুঁজিবাজারে শিবলী-রিয়াজ আজীবন নিষিদ্ধ

tab

ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

এই বৃদ্ধির হার তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাশের দেশটিতে ১২৫ কোটি ১৭ লাখ (১.২৫ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

রাজনৈতিক সম্পর্কে বৈরিতার মধ্যেও ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। এই বৃদ্ধির হার তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাশের দেশটিতে ১২৫ কোটি ১৭ লাখ (১.২৫ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যের সঙ্গে আগের তথ্যের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, এই অঙ্ক গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। এই প্রবৃদ্ধি অপ্রচলিত বা নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি; একক বাজার হিসাবে সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সমান। অন্য বড় বাজার জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডার চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এই খাত থেকে। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরের আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পোশাক রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ভারতের বাজারে; ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স— এ সব বড় বাজারের চেয়েও ভারতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডার বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬, ৩ দশমিক ৩২, ৬ দশমিক ৭২ এবং ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। অষ্ট্রেলিয়ায় বেড়েছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। তুরস্কে বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। চীনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিপরীতে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশগুলোতে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। রাশিয়ায় কমেছে সবচেয়ে বেশি ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ইপিবির এই তথ্যই বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের প্রভাব পড়েনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে। ভারত থেকে পণ্য আসা যেমন কমেনি। তেমনি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তো কমেইনি, বরং বাড়ছে।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো করার ওপর জোর দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর বাড়ছে। দেড়শ’ কোটি লোকের চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতেই হবে। ভারতে পোশাক তৈরি করতে যে খরচ হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে তার চেয়ে অনেক কম পড়ে। সে কারণে সব হিসাব-নিকাশ করেই তারা এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি করে পোশাক কিনবে।’

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের সঙ্গে ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ যত পণ্য আমদানি করে তার অনেক কমই রপ্তানি করে থাকে। কোভিড মহামারির সময় সারাবিশ্বে যোগাযোগ থমকে গেলে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বাড়তে শুরু করে।

অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে ২১৩ কোটি (২.১৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ভারতে রপ্তানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় বাংলাদেশের সেটাই প্রথম। তবে পরের অর্থ বছরে সেই রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। আয় নেমে আসে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলারে। এরপর আবার ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে ভারতে রপ্তানি করে যেখানে ১০৮ কোটি ৮৮ লাখ (১.০৮ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের একই সময়ে রপ্তানি ১২৫ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ভারতে রপ্তানি বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪ শতাংশ। এই আয়ের মধ্যে ৪৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। পাট ও পাটজাতপণ্য রপ্তানি থেকে এসেছে ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে এসেছে ৭ কোটি ৪ লাখ ডলার। প্লাস্টিক দ্রব্য থেকে এসেছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং সুতাজাত দ্রব্য রপ্তানি থেকে এসেছে ২ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

back to top