alt

অর্থ-বাণিজ্য

খেলাপি ঋণের রেকর্ড উল্লম্ফন: মোট ঋণের এক চতুর্থাংশ এখন ফেরতযোগ্য নয়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

মাত্র তিন মাস আগের ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এ ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ২২ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি—২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা বা ১৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণ নির্ধারণে নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাবেই এ পরিসংখ্যানে বড় উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগে ১৮০ দিনের ঋণ পরিশোধ না হলে খেলাপি হিসেবে ধরা হতো, বর্তমানে তা ৯০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন ও পুনঃতফসিল ঋণ সময়মতো না পরিশোধ করাসহ একাধিক কারণে এ ঋণ বেড়েছে বলে জানানো হয়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। মার্চ শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক এখানে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যেখানে ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা ছিল ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই খাতে খেলাপির পরিমাণ এখন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।

বিদেশি ব্যাংকে খেলাপির হার এখন ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকে তা ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি শুধু পরিসংখ্যানগত নীতিগত পরিবর্তনের ফল নয়, বরং এটি ব্যাংক খাতের দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন। বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী মনে করেন, মেয়াদোত্তীর্ণের সময় কমানোর ফলে ব্যাংক খাতের ‘আসল ক্ষত’ প্রকাশ পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে: মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে ৯০ দিন নির্ধারণ, পরিদর্শন বিভাগ কর্তৃক বড় অঙ্কের ঋণ শ্রেণিকরণ, চলতি ঋণ নবায়নে জটিলতা, পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়া, বিরূপমানে থাকা ঋণের বিপরীতে সুদ আরোপ।

পাঁচ ব্যাংক এক হবে নির্বাচনের আগেই: গভর্নর

ছবি

২০২৫-২৭ মেয়াদে বিজিএমইএ পরিচালনায় নতুন নেতৃত্ব, সভাপতি মাহমুদ হাসান খান

ছবি

বিদেশে অর্থ পাচারে অভিযুক্তদের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ পথে বাংলাদেশ

ছবি

দেশের অর্থনীতি এখন শূন্যেরও নিচে,‘দেনার ভারে নুয়ে পড়েছে দেশ’: লন্ডনে ইউনূস

ছবি

নিম্নমুখী জিডিপি ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশকে সতর্ক করল বিশ্বব্যাংক

ছবি

‘মেয়ে ফ্ল্যাট কিনেছে, আমি নয়’—দুবাই ফ্ল্যাট প্রসঙ্গে গভর্নর আহসান মনসুর

ছবি

এবার পশু কোরবানি কমেছে প্রায় ১৩ লাখ, সবচেয়ে কম সিলেটে

ছবি

চামড়ায় দেরিতে লবণ দেওয়ায় অনেকে কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি : শিল্প উপদেষ্টা

রংপুরে কোরবানীর পশুর চামড়া কেনা নিয়ে চরম নৈরাজ্য, লোকসানের আশংকা মৌসুমী ব্যাবসায়ীদের

ছবি

কোরবানীর পশুর চামড়া সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না

ছবি

সংকটে যশোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা

ছবি

বিদেশ থেকে বছরে একবারই সোনা আনার সুযোগ, শুল্কও বাড়ল

ছবি

আইএমএফের ছকের বাজেট শিল্পের জন্য ‘হুমকি’: বিসিআই

ছবি

জুলাই থেকে নতুন হারে আয়কর: এনবিআর চেয়ারম্যান

শিক্ষা বাজেট: ‘গতানুগতিক’ ও ‘হতাশার’, বলছেন শিক্ষাবিদরা

ছবি

হঠাৎ করে অনেক সাহসী বাজেট দেয়া সম্ভব ছিল না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

“ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব নিয়েছি”—বাজেট নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিনিময় হারে স্বস্তিতে মূল্যস্ফীতি কমার আশা দেখছেন গভর্নর আহসান মনসুর

ছবি

বাজেটে আইসিটি খাতে ‘সুখবর’ দেখতে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা

ছবি

বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা বিদেশী উদ্যোক্তাদের

ছবি

ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয়: ডিসিসিআই

ছবি

ওসমানী মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ও সচিবরা

ক্রেডিট কার্ডসহ ১২ সেবায় রিটার্ন নয়, লাগবে শুধু টিআইএন সনদ

ছবি

আবাসনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল, বাড়ছে করহার

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নয়, বাড়ছে ‘বিশেষ সুবিধা’

মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজেটে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই: ঢাকা চেম্বার

ছবি

নোবেলসহ ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারের অর্থ করমুক্ত রাখার প্রস্তাব

ছবি

বাজেট: বৈষম্যহীনতার প্রতিশ্রুতি, পুরনো কৌশলেই ভরসা

কালো টাকাকে বৈধতা দেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের স্ববিরোধিতা: টিআইবি

দাম কমতে পারে

দাম বাড়তে পারে

ছবি

যাত্রী পরিবহনে খরচ কমাতে এয়ারলাইন্সে ভ্যাট ছাড়

ছবি

নতুন শুল্কে গলা টিপে ধরার শঙ্কায় ওটিটি ইন্ডাস্ট্রি

ছবি

ত্রৈমাসিক রিটার্ন, দলিল যাচাইয়ে নতুন কর বিধান

মূল্যস্ফীতির হার ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

খেলাপি ঋণের রেকর্ড উল্লম্ফন: মোট ঋণের এক চতুর্থাংশ এখন ফেরতযোগ্য নয়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

মাত্র তিন মাস আগের ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এ ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ২২ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি—২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা বা ১৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণ নির্ধারণে নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাবেই এ পরিসংখ্যানে বড় উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগে ১৮০ দিনের ঋণ পরিশোধ না হলে খেলাপি হিসেবে ধরা হতো, বর্তমানে তা ৯০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন ও পুনঃতফসিল ঋণ সময়মতো না পরিশোধ করাসহ একাধিক কারণে এ ঋণ বেড়েছে বলে জানানো হয়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। মার্চ শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক এখানে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যেখানে ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা ছিল ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই খাতে খেলাপির পরিমাণ এখন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।

বিদেশি ব্যাংকে খেলাপির হার এখন ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকে তা ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি শুধু পরিসংখ্যানগত নীতিগত পরিবর্তনের ফল নয়, বরং এটি ব্যাংক খাতের দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন। বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী মনে করেন, মেয়াদোত্তীর্ণের সময় কমানোর ফলে ব্যাংক খাতের ‘আসল ক্ষত’ প্রকাশ পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে: মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে ৯০ দিন নির্ধারণ, পরিদর্শন বিভাগ কর্তৃক বড় অঙ্কের ঋণ শ্রেণিকরণ, চলতি ঋণ নবায়নে জটিলতা, পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়া, বিরূপমানে থাকা ঋণের বিপরীতে সুদ আরোপ।

back to top