বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
মাত্র তিন মাস আগের ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এ ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ২২ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি—২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা বা ১৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণ নির্ধারণে নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাবেই এ পরিসংখ্যানে বড় উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগে ১৮০ দিনের ঋণ পরিশোধ না হলে খেলাপি হিসেবে ধরা হতো, বর্তমানে তা ৯০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন ও পুনঃতফসিল ঋণ সময়মতো না পরিশোধ করাসহ একাধিক কারণে এ ঋণ বেড়েছে বলে জানানো হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। মার্চ শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক এখানে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যেখানে ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা ছিল ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই খাতে খেলাপির পরিমাণ এখন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।
বিদেশি ব্যাংকে খেলাপির হার এখন ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকে তা ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি শুধু পরিসংখ্যানগত নীতিগত পরিবর্তনের ফল নয়, বরং এটি ব্যাংক খাতের দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন। বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী মনে করেন, মেয়াদোত্তীর্ণের সময় কমানোর ফলে ব্যাংক খাতের ‘আসল ক্ষত’ প্রকাশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে: মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে ৯০ দিন নির্ধারণ, পরিদর্শন বিভাগ কর্তৃক বড় অঙ্কের ঋণ শ্রেণিকরণ, চলতি ঋণ নবায়নে জটিলতা, পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়া, বিরূপমানে থাকা ঋণের বিপরীতে সুদ আরোপ।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
মাত্র তিন মাস আগের ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এ ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ২২ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি—২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা বা ১৩০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণ নির্ধারণে নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাবেই এ পরিসংখ্যানে বড় উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। আগে ১৮০ দিনের ঋণ পরিশোধ না হলে খেলাপি হিসেবে ধরা হতো, বর্তমানে তা ৯০ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন ও পুনঃতফসিল ঋণ সময়মতো না পরিশোধ করাসহ একাধিক কারণে এ ঋণ বেড়েছে বলে জানানো হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। মার্চ শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক এখানে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ, যেখানে ডিসেম্বর প্রান্তিকে তা ছিল ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই খাতে খেলাপির পরিমাণ এখন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।
বিদেশি ব্যাংকে খেলাপির হার এখন ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকে তা ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি শুধু পরিসংখ্যানগত নীতিগত পরিবর্তনের ফল নয়, বরং এটি ব্যাংক খাতের দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন। বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী মনে করেন, মেয়াদোত্তীর্ণের সময় কমানোর ফলে ব্যাংক খাতের ‘আসল ক্ষত’ প্রকাশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছে: মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে ৯০ দিন নির্ধারণ, পরিদর্শন বিভাগ কর্তৃক বড় অঙ্কের ঋণ শ্রেণিকরণ, চলতি ঋণ নবায়নে জটিলতা, পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়া, বিরূপমানে থাকা ঋণের বিপরীতে সুদ আরোপ।