ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের এ পুরোনো বয়ান এখন ফেলে দিতে হবে। এ দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা গতিশীল বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নগণ্য।’ সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, তখন খুব সহজেই আমরা আত্মতুষ্টির ট্রাপের মধ্যে ঢুকে যায়। আগেও গিয়েছি, এখনো যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তার গতি খুব কম। আমাদের অর্থনীতির গতি নাই, ব্যবসা বাণিজ্যে গতি নেই। দারিদ্র্যের হার এখন উল্টোপথে, দেশের বেকারত্ব বেড়ে গেছে, সেটা এখন মহামারি আকারে পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে গেছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এগুলো সাংঘর্ষিক, অসংগতিপূর্ণ। আমরা বিগত ১৫ বছরে কর্তৃত্ববাদ শাসনে ভয়াবহ গোষ্ঠীতন্ত্র দেখেছি। তবে এ গোষ্ঠীতন্ত্র দমন করতে গিয়ে বর্তমান সরকার বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাঠগড়ায় তুলছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। আমাদের একটি নতুন প্রবৃদ্ধির চালক দরকার। যা আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করবে। সেটা পোশাকের বাহিরে কৃষি, ওষুধ, আইটি, চামড়া বা অন্য কোনো খাত থেকে আবিষ্কার করতে হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ, এফবিসিসিআই এর সাবেক সহসভাপতি আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক পরিচালক আবদুল হককে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আবদুল হক রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি।
অনুষ্ঠানে আবদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধ ও আমাদের জাতীয় প্রেক্ষাপট মিলিয়ে আমরা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এমতাবস্থায়, গত এক বছরে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উপস্থিতি প্রায় অনুপস্থিত। অথচ দেশের সর্বোচ্চ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সুযোগ পেলে এ সংগঠন বিশ্বমানের নেয়া চেষ্টা করবো। গত এক বছর প্রশাসক দিয়ে এফবিসিআইয়ে শুধুমাত্র রুটিন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সরকারের নীতিমালা প্রণয়ন কিংবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় এফবিসিসিআই’র অনুপস্থিতি দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে স্থবির করে ফেলেছে।
এই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে হলে দ্রুত সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে একটি নির্বাচিত পরিচালক পর্ষদের হাতে এফবিসিসিআই’র নেতৃত্ব হস্তান্তর করা অত্যন্ত জরুরি।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের এ পুরোনো বয়ান এখন ফেলে দিতে হবে। এ দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা গতিশীল বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নগণ্য।’ সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কথা যখন আমরা বলি, তখন খুব সহজেই আমরা আত্মতুষ্টির ট্রাপের মধ্যে ঢুকে যায়। আগেও গিয়েছি, এখনো যাচ্ছি। কিন্তু আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তার গতি খুব কম। আমাদের অর্থনীতির গতি নাই, ব্যবসা বাণিজ্যে গতি নেই। দারিদ্র্যের হার এখন উল্টোপথে, দেশের বেকারত্ব বেড়ে গেছে, সেটা এখন মহামারি আকারে পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে গেছে। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এগুলো সাংঘর্ষিক, অসংগতিপূর্ণ। আমরা বিগত ১৫ বছরে কর্তৃত্ববাদ শাসনে ভয়াবহ গোষ্ঠীতন্ত্র দেখেছি। তবে এ গোষ্ঠীতন্ত্র দমন করতে গিয়ে বর্তমান সরকার বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাঠগড়ায় তুলছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। আমাদের একটি নতুন প্রবৃদ্ধির চালক দরকার। যা আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করবে। সেটা পোশাকের বাহিরে কৃষি, ওষুধ, আইটি, চামড়া বা অন্য কোনো খাত থেকে আবিষ্কার করতে হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ, এফবিসিসিআই এর সাবেক সহসভাপতি আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক পরিচালক আবদুল হককে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আবদুল হক রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি।
অনুষ্ঠানে আবদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে। বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধ ও আমাদের জাতীয় প্রেক্ষাপট মিলিয়ে আমরা সত্যিকারের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এমতাবস্থায়, গত এক বছরে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের উপস্থিতি প্রায় অনুপস্থিত। অথচ দেশের সর্বোচ্চ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সুযোগ পেলে এ সংগঠন বিশ্বমানের নেয়া চেষ্টা করবো। গত এক বছর প্রশাসক দিয়ে এফবিসিআইয়ে শুধুমাত্র রুটিন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সরকারের নীতিমালা প্রণয়ন কিংবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায় এফবিসিসিআই’র অনুপস্থিতি দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে স্থবির করে ফেলেছে।
এই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে হলে দ্রুত সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে একটি নির্বাচিত পরিচালক পর্ষদের হাতে এফবিসিসিআই’র নেতৃত্ব হস্তান্তর করা অত্যন্ত জরুরি।’