alt

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাসে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রতি মাসেই ঋণে প্রবৃদ্ধি কমছে। গত বছরের জুলাইয়ে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর গত জুন শেষে তা কমে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমে আসে। জুলাইয়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত আগস্ট মাসে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রতি মাসেই ঋণে প্রবৃদ্ধি কমছে। গত বছরের জুলাইয়ে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর গত জুন শেষে তা কমে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমে আসে। জুলাইয়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর সর্বশেষ গত আগস্টে তা আরও কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে বেসরকারি ঋণের যে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে, তা ২০০৩ সালের পর সর্বনিম্ন।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় উদ্যোক্তারা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। শুধু নতুন বিনিয়োগ নয়, উল্টো চালু থাকা অনেক কারখানাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কর্মসংস্থানেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তাতে দেশে দ্রুত বাড়ছে বেকারত্ব। এদিকে সরকার বদলের পর আর্থিক সংকটের কারণে ঋণ দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে এক-চতুর্থাংশ ব্যাংক। আবার ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ায় অন্য ব্যাংকগুলোও ঋণের বদলে সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগেই এখন বেশি মনোযোগী। এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে এসেছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমানো ও বেসরকারি খাতকে চাঙা রাখাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে টাকার লাগাম টানতে মুদ্রানীতিতে বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। তাতে ব্যাংকের ঋণের সুদহার বেড়ে ১৪-১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ অবস্থায় বেসরকারি খাত চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবার সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু ভালো প্রতিষ্ঠানের ঋণও খারাপ হয়ে পড়ছে।

এদিকে ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসা সীমিত হয়ে পড়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার পর্ষদে পরিবর্তন হওয়া ১৪টি ব্যাংকের বেশ কয়েকটির ঋণ কার্যক্রম বন্ধ, আবার কোনোটি ঋণ সীমিত করে ফেলেছে। বর্তমানে পাঁচটি ব্যাংক গ্রাহকের জমা টাকা ফেরত দিতেও হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ নিয়মিত করার জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীসহ আরও কিছু ব্যবসায়ীর ঋণ বিশেষ উদ্যোগে নিয়মিত করা হয়েছে। সেই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা ইতিবাচক চিত্র দেখা গেলেও বেসরকারি খাতে স্থবিরতা দেখা দেয়।

সংকটাপন্ন পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

ছবি

এনবিআরের সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক চালু

ছবি

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা পেছানোর দাবি

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবি

ছবি

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা শোনে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন

ছবি

ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

১০ জন শ্রমিকে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের বিধান চায় স্কপ

ছবি

এআই ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমবাজারে ৭ শতাংশ চাকরি ঝুঁকির মুখে

ছবি

বিজনেস সামিট: তথ্যপ্রযুক্তি-জ্বালানিসহ ৫ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

ছবি

বাজারে এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ লেনেভো ব্র্যান্ডের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

বাজারে আসছে এআই পার্টি ফোন রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

চীন থেকে ২০টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মন্তব্যে অনাগ্রহ অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি, এটি কমানো সম্ভব: গভর্নর

ছবি

ব্যাংক একীভূত হলে সবার আগে ২ লাখ টাকার কম আমানত ফেরত

ছবি

তিন দেশ থেকে ১৮৪৭ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

ছবি

রেমিট্যান্সে করারোপের পরামর্শ আইএমএফের, পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

ট্রাম্প শুল্কে রপ্তানি আয়ে চাপ, টানা ২ মাসে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি

ছবি

সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে

ছবি

করকাঠামো পুনর্বিন্যাসে টাস্কফোর্স গঠন

ছবি

দেশের মানুষের রাজনৈতিক ধারণায় আদর্শিক বিভাজন কমে আসছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে ৭ আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০% ধনীর সম্পদ বেড়েছে ৫ লাখ কোটি ডলার

ছবি

অক্টোবর থেকে ১২ কেজির এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম কমল

ছবি

‘সহজক্যাশে’ লেনদেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কবার্তা

ছবি

স্বর্ণের ভরি ছাড়ালো ২ লাখ টাকা

ছবি

পাচারকৃত অর্থ আনতে আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

সার উৎপাদনে গ্যাসের দাম দেড়শ’ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পেট্রোবাংলার

ছবি

বাজারে সেলসফোর্স এর ‘মিউলসফট এজেন্ট ফেব্রিক’

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ভিভো’র নতুন স্মার্টফোন ভি৬০ লাইট উন্মোচন

ছবি

মুদ্রাস্ফীতি : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়

ছবি

সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৫.৬৬ শতাংশ

ছবি

আইএমএফের প্রতিনিধিদল আসছে এ মাসে, রাজস্ব আয়ের শর্ত পূরণ হয়নি.

tab

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগে একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। তাতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাসে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রতি মাসেই ঋণে প্রবৃদ্ধি কমছে। গত বছরের জুলাইয়ে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর গত জুন শেষে তা কমে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমে আসে। জুলাইয়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত আগস্ট মাসে দেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রতি মাসেই ঋণে প্রবৃদ্ধি কমছে। গত বছরের জুলাইয়ে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর গত জুন শেষে তা কমে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশে নেমে আসে। জুলাইয়ে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর সর্বশেষ গত আগস্টে তা আরও কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে বেসরকারি ঋণের যে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে, তা ২০০৩ সালের পর সর্বনিম্ন।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর থেকে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় উদ্যোক্তারা নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। শুধু নতুন বিনিয়োগ নয়, উল্টো চালু থাকা অনেক কারখানাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কর্মসংস্থানেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তাতে দেশে দ্রুত বাড়ছে বেকারত্ব। এদিকে সরকার বদলের পর আর্থিক সংকটের কারণে ঋণ দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে এক-চতুর্থাংশ ব্যাংক। আবার ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ায় অন্য ব্যাংকগুলোও ঋণের বদলে সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগেই এখন বেশি মনোযোগী। এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে এসেছে।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমানো ও বেসরকারি খাতকে চাঙা রাখাই বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমাতে টাকার লাগাম টানতে মুদ্রানীতিতে বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার। তাতে ব্যাংকের ঋণের সুদহার বেড়ে ১৪-১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ অবস্থায় বেসরকারি খাত চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবার সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু ভালো প্রতিষ্ঠানের ঋণও খারাপ হয়ে পড়ছে।

এদিকে ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসা সীমিত হয়ে পড়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার পর্ষদে পরিবর্তন হওয়া ১৪টি ব্যাংকের বেশ কয়েকটির ঋণ কার্যক্রম বন্ধ, আবার কোনোটি ঋণ সীমিত করে ফেলেছে। বর্তমানে পাঁচটি ব্যাংক গ্রাহকের জমা টাকা ফেরত দিতেও হিমশিম খাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের ঋণ নিয়মিত করার জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীসহ আরও কিছু ব্যবসায়ীর ঋণ বিশেষ উদ্যোগে নিয়মিত করা হয়েছে। সেই সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা ইতিবাচক চিত্র দেখা গেলেও বেসরকারি খাতে স্থবিরতা দেখা দেয়।

back to top