alt

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত (বন্ধ) হয়ে গেলে প্রত্যেক আমানতকারী সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রস্তাবিত এ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন পায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হচ্ছে, আসামিরা পাচ্ছেন দায়মুক্তি

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন

ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।

রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত করার বিষয়েও অনুমোন হয় ওই বৈঠকে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাবেন।

বৈঠক শেষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের ক্ষেত্রে গ্যারান্টির পরিমাণ এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ২০০০ সালের ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন’ সংশোধন করে এই ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগের আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের ক্ষেত্রে কোনো গ্যারান্টি ছিল না, এবার তা রাখা হয়েছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগে ব্যাংকে আমানতে এক লাখ টাকার গ্যারান্টি ছিল। এখন সেটাকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ব্যাংকে আমানত রেখেছেন। নতুন অধ্যাদেশের ফলে প্রায় ৯৩ শতাংশ গ্রাহক সুরক্ষা পাবেন।’

অধ্যাদেশে আমানত সুরক্ষা তহবিল (ব্যাংক কোম্পানি) ও আমানত সুরক্ষা তহবিল (ফাইন্যান্স কোম্পানি) নামের দুটি পৃথক তহবিলের বিধান রাখা হয়েছে। তহবিল দুটি পরস্পর বিনিময়যোগ্য হবে না এবং পরস্পরের মধ্যে ঋণ আদানপ্রদান করতে পারবে না। এই তহবিল দুটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য তহবিল থেকে স্বতন্ত্র হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় ও সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

বিদ্যমান লাইসেন্সধারী ও নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ২০২৮ সালের ১ জুলাই থেকে এ অধ্যাদেশের অধীন সদস্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য করা হবে এবং ২০২৮ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম হবে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ অথবা ট্রাস্টি বোর্ড নির্ধারিত পরিমাণ। তবে তা কোনোভাবেই পরিশোধিত মূলধনের শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশের কম হবে না।

আমানতের গ্যারান্টির সর্বোচ্চ সীমা প্রতি তিন বছরে কমপক্ষে একবার ট্রাস্টি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করার বিধান রাখা হয়েছে। ব্যাংকের আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে সরকার ১৯৮৪ সালে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। পরে অধ্যাদেশটি রহিত করে বাংলায় নতুন করে ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করা হয়।

*ডিজিটাল আইন, দায়মুক্তি*

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মুক্তি পেয়েছেন।”

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ৫০ সংশোধন করে ৫০ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নূতন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ৩১ এবং ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা কোনো পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হইবে এবং উহাদের বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না। উক্ত ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দ- ও জরিমানা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।’

ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। সেখানে অনেক ‘নিবর্তনমূলক’ ধারা নিয়ে সমালোচনা চলতে থাকায় ২০২৩ সালে কিছুটা সংশোধন এনে করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পাশাপাশি ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এসব নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘আরও সুরক্ষিত হবে’ বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংকটাপন্ন পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

এনবিআরের সব কর অঞ্চলে ই-রিটার্ন হেল্প ডেস্ক চালু

ছবি

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা পেছানোর দাবি

ছবি

শেয়ারবাজারে বড় পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

ইসলামী ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবি

ছবি

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা শোনে না: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন

ছবি

ভুয়া ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

১০ জন শ্রমিকে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের বিধান চায় স্কপ

ছবি

এআই ব্যবহারে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমবাজারে ৭ শতাংশ চাকরি ঝুঁকির মুখে

ছবি

বিজনেস সামিট: তথ্যপ্রযুক্তি-জ্বালানিসহ ৫ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ সৌদি ব্যবসায়ীদের

ছবি

বাজারে এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ লেনেভো ব্র্যান্ডের নতুন ল্যাপটপ

ছবি

বাজারে আসছে এআই পার্টি ফোন রিয়েলমি ১৫ সিরিজ

ছবি

চীন থেকে ২০টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে মন্তব্যে অনাগ্রহ অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি, এটি কমানো সম্ভব: গভর্নর

ছবি

ব্যাংক একীভূত হলে সবার আগে ২ লাখ টাকার কম আমানত ফেরত

ছবি

তিন দেশ থেকে ১৮৪৭ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

ছবি

রেমিট্যান্সে করারোপের পরামর্শ আইএমএফের, পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

ট্রাম্প শুল্কে রপ্তানি আয়ে চাপ, টানা ২ মাসে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি

ছবি

সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে

ছবি

করকাঠামো পুনর্বিন্যাসে টাস্কফোর্স গঠন

ছবি

দেশের মানুষের রাজনৈতিক ধারণায় আদর্শিক বিভাজন কমে আসছে: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে ৭ আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০% ধনীর সম্পদ বেড়েছে ৫ লাখ কোটি ডলার

ছবি

অক্টোবর থেকে ১২ কেজির এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম কমল

ছবি

‘সহজক্যাশে’ লেনদেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কবার্তা

ছবি

স্বর্ণের ভরি ছাড়ালো ২ লাখ টাকা

ছবি

পাচারকৃত অর্থ আনতে আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের

ছবি

সার উৎপাদনে গ্যাসের দাম দেড়শ’ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পেট্রোবাংলার

ছবি

বাজারে সেলসফোর্স এর ‘মিউলসফট এজেন্ট ফেব্রিক’

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে ভিভো’র নতুন স্মার্টফোন ভি৬০ লাইট উন্মোচন

ছবি

মুদ্রাস্ফীতি : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়

ছবি

সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৫.৬৬ শতাংশ

ছবি

আইএমএফের প্রতিনিধিদল আসছে এ মাসে, রাজস্ব আয়ের শর্ত পূরণ হয়নি.

tab

ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, অধ্যাদেশ হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত (বন্ধ) হয়ে গেলে প্রত্যেক আমানতকারী সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রস্তাবিত এ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন পায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল হচ্ছে, আসামিরা পাচ্ছেন দায়মুক্তি

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন

ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়।

রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত করার বিষয়েও অনুমোন হয় ওই বৈঠকে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মামলার দায় থেকে মুক্তি পাবেন।

বৈঠক শেষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের ক্ষেত্রে গ্যারান্টির পরিমাণ এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ২০০০ সালের ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন’ সংশোধন করে এই ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগের আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের ক্ষেত্রে কোনো গ্যারান্টি ছিল না, এবার তা রাখা হয়েছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগে ব্যাংকে আমানতে এক লাখ টাকার গ্যারান্টি ছিল। এখন সেটাকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ব্যাংকে আমানত রেখেছেন। নতুন অধ্যাদেশের ফলে প্রায় ৯৩ শতাংশ গ্রাহক সুরক্ষা পাবেন।’

অধ্যাদেশে আমানত সুরক্ষা তহবিল (ব্যাংক কোম্পানি) ও আমানত সুরক্ষা তহবিল (ফাইন্যান্স কোম্পানি) নামের দুটি পৃথক তহবিলের বিধান রাখা হয়েছে। তহবিল দুটি পরস্পর বিনিময়যোগ্য হবে না এবং পরস্পরের মধ্যে ঋণ আদানপ্রদান করতে পারবে না। এই তহবিল দুটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য তহবিল থেকে স্বতন্ত্র হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় ও সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

বিদ্যমান লাইসেন্সধারী ও নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ২০২৮ সালের ১ জুলাই থেকে এ অধ্যাদেশের অধীন সদস্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য করা হবে এবং ২০২৮ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। প্রারম্ভিক প্রিমিয়াম হবে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ অথবা ট্রাস্টি বোর্ড নির্ধারিত পরিমাণ। তবে তা কোনোভাবেই পরিশোধিত মূলধনের শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশের কম হবে না।

আমানতের গ্যারান্টির সর্বোচ্চ সীমা প্রতি তিন বছরে কমপক্ষে একবার ট্রাস্টি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করার বিধান রাখা হয়েছে। ব্যাংকের আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে সরকার ১৯৮৪ সালে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। পরে অধ্যাদেশটি রহিত করে বাংলায় নতুন করে ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করা হয়।

*ডিজিটাল আইন, দায়মুক্তি*

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মুক্তি পেয়েছেন।”

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ধারা ৫০ সংশোধন করে ৫০ এর উপ-ধারা (৪) এর পর নূতন উপ-ধারা (৪ক) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ৩১ এবং ধারায় বর্ণিত অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা কোনো পুলিশ অফিসার বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হইবে এবং উহাদের বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না। উক্ত ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দ- ও জরিমানা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।’

ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। সেখানে অনেক ‘নিবর্তনমূলক’ ধারা নিয়ে সমালোচনা চলতে থাকায় ২০২৩ সালে কিছুটা সংশোধন এনে করা হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পাশাপাশি ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এসব নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘আরও সুরক্ষিত হবে’ বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

back to top