ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দেশের পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়াতে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোকে তালিকাভূক্ত করার লক্ষ্যে সেমিনার করার কথা জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা (বিজিএমইএ) চাই পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রটি আরও বড় হোক। যারা আগ্রহ প্রকাশ করবে, তাদের নিয়ে আমরা সেমিনার করার ব্যবস্থা করব। ক্যাপিটাল মার্কেট সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এবং দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টের জন্য এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো—সদস্য ও অংশীদারদের জন্য স্বচ্ছ, কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রতিনিধিদল বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কোনো কোম্পানি ডিএসইতে তালিকাভুক্তির পূর্বে বিজিএমইএ সেই কোম্পানির জন্য একটি প্রাথমিক সার্টিফিকেট বা অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দিতে পারে। এই এনওসি কোম্পানিটির যথাযথ যাচাই-বাছাই এবং মৌলিক ভিত্তি নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যবসা মূলত ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক মার্কেটিং ভিত্তিক। বিজিএমইর পক্ষ থেকে আমরা সদস্যদের জন্য যে সাপোর্ট দিই, তার মধ্যে অন্যতম হলো, ভালো ক্রেতা এবং ব্যবসায়িক অংশীদার চিহ্নিত করা, যাতে আমরা জানি কার সঙ্গে কাজ করা উচিত এবং কার সঙ্গে নয়। এভাবে, এখন আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কেউ সহজে আমাদের এক্সপ্লয়েট করতে পারে না। আমাদের মূল নীতি হলো—যে কোম্পানি ভার্টিকাল বা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে, তাদের উৎসাহিত করা হবে পাবলিক লিস্টেড হতে।’
ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই দেশের পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়ে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের উৎস হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদান রাখতে পারে। আমরা অভ্যন্তরীণভাবে কর্পোরেট গভর্নেন্স ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাকচার শক্তিশালী করার দিকে কাজ করছি। পাশাপাশি, রেগুলেটর, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, লিস্টেড ও সম্ভাব্য লিস্টিং-যোগ্য কোম্পানি এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সহযোগিতা করছি।’
লিস্টিং প্রক্রিয়া সহজীকরণ, ডিএসইকে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কাস্টমার সেন্ট্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান ডিএসই চেয়ারম্যান। তিনি বিজিএমইএকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে দেখতে চান এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকার প্রতিশ্রুত দেন।
এসময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বলেন, ‘ডিএসই ও বিজিএমইএর পারস্পারিক সহযোগিতায় পোশাক খাতের কর্ণধারদের অংশগ্রহণে একটি সেমিনার আয়োজন করতে পারে। ওই সেমিনারে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজার, এসএমই বোর্ড এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) লিস্টিংয়ের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের পুঁজিবাজারের প্রতি উৎসাহিত করা যেতে পারে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
দেশের পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়াতে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোকে তালিকাভূক্ত করার লক্ষ্যে সেমিনার করার কথা জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা (বিজিএমইএ) চাই পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রটি আরও বড় হোক। যারা আগ্রহ প্রকাশ করবে, তাদের নিয়ে আমরা সেমিনার করার ব্যবস্থা করব। ক্যাপিটাল মার্কেট সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এবং দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টের জন্য এই সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো—সদস্য ও অংশীদারদের জন্য স্বচ্ছ, কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রতিনিধিদল বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘কোনো কোম্পানি ডিএসইতে তালিকাভুক্তির পূর্বে বিজিএমইএ সেই কোম্পানির জন্য একটি প্রাথমিক সার্টিফিকেট বা অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দিতে পারে। এই এনওসি কোম্পানিটির যথাযথ যাচাই-বাছাই এবং মৌলিক ভিত্তি নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
মাহমুদ হাসান খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যবসা মূলত ক্রেতার সঙ্গে সম্পর্ক মার্কেটিং ভিত্তিক। বিজিএমইর পক্ষ থেকে আমরা সদস্যদের জন্য যে সাপোর্ট দিই, তার মধ্যে অন্যতম হলো, ভালো ক্রেতা এবং ব্যবসায়িক অংশীদার চিহ্নিত করা, যাতে আমরা জানি কার সঙ্গে কাজ করা উচিত এবং কার সঙ্গে নয়। এভাবে, এখন আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কেউ সহজে আমাদের এক্সপ্লয়েট করতে পারে না। আমাদের মূল নীতি হলো—যে কোম্পানি ভার্টিকাল বা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে, তাদের উৎসাহিত করা হবে পাবলিক লিস্টেড হতে।’
ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই দেশের পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়ে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের উৎস হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদান রাখতে পারে। আমরা অভ্যন্তরীণভাবে কর্পোরেট গভর্নেন্স ও ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাকচার শক্তিশালী করার দিকে কাজ করছি। পাশাপাশি, রেগুলেটর, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, লিস্টেড ও সম্ভাব্য লিস্টিং-যোগ্য কোম্পানি এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সহযোগিতা করছি।’
লিস্টিং প্রক্রিয়া সহজীকরণ, ডিএসইকে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কাস্টমার সেন্ট্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান ডিএসই চেয়ারম্যান। তিনি বিজিএমইএকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে দেখতে চান এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকার প্রতিশ্রুত দেন।
এসময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বলেন, ‘ডিএসই ও বিজিএমইএর পারস্পারিক সহযোগিতায় পোশাক খাতের কর্ণধারদের অংশগ্রহণে একটি সেমিনার আয়োজন করতে পারে। ওই সেমিনারে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজার, এসএমই বোর্ড এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) লিস্টিংয়ের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের পুঁজিবাজারের প্রতি উৎসাহিত করা যেতে পারে।’