সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় খাতে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয় বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে সরকারি অর্থায়নে সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন (পরিচালন ও উন্নয়ন) প্রণয়ন’ নিয়ে জারি করা এই পরিপত্রে অতিরিক্ত সচিব ড. জিয়াউল আবেদীন সই করেছেন ২৬ অক্টোবর।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের অগ্রাধিকার খাতগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতির আওতায় সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট সুষ্ঠু ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নীতিমালা বা পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় সাধারণ নীতিমালা হলো, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট ব্যয়সীমার (পরিচালন ও উন্নয়ন) মধ্যে সংকুলানযোগ্য হতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতি ও উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজনে চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অপারেশনাল ইউনিট অথবা আইটেম, অর্থনৈতিক কোডের বরাদ্দ হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রণয়নকালে অনুমোদিত মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে কোনো অর্থ অব্যয়িত থাকবে বলে অনুমিত হলে উক্ত অব্যয়িত অর্থ কোনোক্রমেই পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না।
সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর সংশোধিত পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের জন্য কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে তাও পরিপত্রে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ব্যতীত নতুন ‘৪১১১১০১-আবাসিক ভবন’, ‘৪১১১২০১-অনাবাসিক ভবন’ এবং ‘৪১১১৩১৭-অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাতে ইতিমধ্যে যে পরিমাণ অর্থের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (‘৪১১২১০১-মোটরযান’, ‘৪১১২১০২-জলযান’ ও ‘৪১১২১০৩-আকাশযান’) খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে পরিচালন বাজেটের আওতায় ১০ বছরের অধিক পুরোনো টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। ‘৪১৪১১০১-ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে পরিচালন বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে, উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে। উন্নয়ন বাজেটের আওতায় পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বাবদ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয়, বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত বরাদ্দ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে।
এছাড়াও রয়েছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারের নিজস্ব অর্থে সব প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্র (নং ০৭; তারিখ: ০৮.০৭.২০২৫) এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের ১২ ও ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের ১৪৯ নম্বর স্মারকে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় খাতে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয় বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে সরকারি অর্থায়নে সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন (পরিচালন ও উন্নয়ন) প্রণয়ন’ নিয়ে জারি করা এই পরিপত্রে অতিরিক্ত সচিব ড. জিয়াউল আবেদীন সই করেছেন ২৬ অক্টোবর।
এতে বলা হয়েছে, সরকারের অগ্রাধিকার খাতগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতির আওতায় সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট সুষ্ঠু ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
এতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নীতিমালা বা পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় সাধারণ নীতিমালা হলো, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট ব্যয়সীমার (পরিচালন ও উন্নয়ন) মধ্যে সংকুলানযোগ্য হতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতি ও উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজনে চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলান সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অপারেশনাল ইউনিট অথবা আইটেম, অর্থনৈতিক কোডের বরাদ্দ হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রণয়নকালে অনুমোদিত মূল বাজেটে প্রদর্শিত মোট উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে কোনো অর্থ অব্যয়িত থাকবে বলে অনুমিত হলে উক্ত অব্যয়িত অর্থ কোনোক্রমেই পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না।
সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর সংশোধিত পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের জন্য কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে তাও পরিপত্রে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ব্যতীত নতুন ‘৪১১১১০১-আবাসিক ভবন’, ‘৪১১১২০১-অনাবাসিক ভবন’ এবং ‘৪১১১৩১৭-অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা’ খাতে ইতিমধ্যে যে পরিমাণ অর্থের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (‘৪১১২১০১-মোটরযান’, ‘৪১১২১০২-জলযান’ ও ‘৪১১২১০৩-আকাশযান’) খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে পরিচালন বাজেটের আওতায় ১০ বছরের অধিক পুরোনো টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। ‘৪১৪১১০১-ভূমি অধিগ্রহণ’ খাতে পরিচালন বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে, উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে। উন্নয়ন বাজেটের আওতায় পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বাবদ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয়, বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত বরাদ্দ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে।
এছাড়াও রয়েছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারের নিজস্ব অর্থে সব প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা পরিপত্র (নং ০৭; তারিখ: ০৮.০৭.২০২৫) এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের ১২ ও ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের ১৪৯ নম্বর স্মারকে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।