ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট। গতকাল মাস্টারকার্ডের সৌজন্যে এবং প্রাইম ব্যাংকের সঞ্চালনায় এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, ফিনটেক, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা এবং গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সামিটের এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল “ফিউচার অব ফিনটেকঃ ডিজিটাল, ডিসেন্ট্রালাইজড, ডেমোক্রেটাইজ। দিনব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে—ডিজিটাল আর্থিক খাতকে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও উদ্ভাবনমুখী করতে নীতি, প্রযুক্তি ও সহযোগিতার প্রাসঙ্গিকতাসহ দেশের ফিনটেক খাতকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার রুপরেখা প্রণয়ন সম্পর্কিত আলোচনা।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শীষ হায়দার চৌধুরী, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আয়োজনটির স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম।
সামিটের কিনোট সেশনগুলোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওসমান এরশাদ ফায়েজ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার, ইস্টার্ন ব্যাংক পি এল সি; শেখ আমিনুর রহমান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, প্রাইম ব্যাংক ফিনটেক লিমিটেড; সপনেন্দু মুহান্তি, গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, গ্লোবাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি নেটওয়ার্ক; অ্যাডভাইজর, মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর, গভর্নমেন্ট অব সিঙ্গাপুর।
ফায়েজ তার সেশনে বাংলাদেশের ফিনটেকের ইকোসিস্টেম তুলে ধরেন যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ফিনটেক ইনক্লুশন অর্জনের জন্য উপযুক্ত তবে অর্থবহ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শুধু ডিজিটালাইজেশনে থেমে না থেকে ক্রেডিট, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স ও ওয়েলথ টুলস এর মাধ্যমে ফান্ডিং তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। দেশে ফিনটেক স্টার্টআপগুলোর জন্য ফান্ডিং এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ; তবে সিঙ্গাপুরের অ্যাপিক্স প্ল্যাটফর্ম-এর মতো কাঠামোবদ্ধ সহযোগিতার মডেল টেকসই অর্থায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। মাইক্রো সেভিংস, স্টার্টার ক্রেডিট এবং গ্যামিফায়েড ফাইন্যান্স-এর মতো উদ্ভাবন তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করতে পারে এবং প্রজন্মগত ব্যবধান কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিশেষজ্ঞ আলোচকরা ডিজিটাল ফাইন্যান্সের বৈশ্বিক ধারা, বাংলাদেশের ফিনটেক উদ্যোগের সম্ভাবনা এবং তাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার নিরিখে দেশের ভবিষ্যৎ ফিনটেক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় গতিবিধি ও রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট। গতকাল মাস্টারকার্ডের সৌজন্যে এবং প্রাইম ব্যাংকের সঞ্চালনায় এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, ফিনটেক, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা এবং গবেষক, নীতি-নির্ধারক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সামিটের এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল “ফিউচার অব ফিনটেকঃ ডিজিটাল, ডিসেন্ট্রালাইজড, ডেমোক্রেটাইজ। দিনব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে—ডিজিটাল আর্থিক খাতকে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও উদ্ভাবনমুখী করতে নীতি, প্রযুক্তি ও সহযোগিতার প্রাসঙ্গিকতাসহ দেশের ফিনটেক খাতকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার রুপরেখা প্রণয়ন সম্পর্কিত আলোচনা।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শীষ হায়দার চৌধুরী, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আয়োজনটির স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম।
সামিটের কিনোট সেশনগুলোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওসমান এরশাদ ফায়েজ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার, ইস্টার্ন ব্যাংক পি এল সি; শেখ আমিনুর রহমান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, প্রাইম ব্যাংক ফিনটেক লিমিটেড; সপনেন্দু মুহান্তি, গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, গ্লোবাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি নেটওয়ার্ক; অ্যাডভাইজর, মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর, গভর্নমেন্ট অব সিঙ্গাপুর।
ফায়েজ তার সেশনে বাংলাদেশের ফিনটেকের ইকোসিস্টেম তুলে ধরেন যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ফিনটেক ইনক্লুশন অর্জনের জন্য উপযুক্ত তবে অর্থবহ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শুধু ডিজিটালাইজেশনে থেমে না থেকে ক্রেডিট, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স ও ওয়েলথ টুলস এর মাধ্যমে ফান্ডিং তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। দেশে ফিনটেক স্টার্টআপগুলোর জন্য ফান্ডিং এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ; তবে সিঙ্গাপুরের অ্যাপিক্স প্ল্যাটফর্ম-এর মতো কাঠামোবদ্ধ সহযোগিতার মডেল টেকসই অর্থায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। মাইক্রো সেভিংস, স্টার্টার ক্রেডিট এবং গ্যামিফায়েড ফাইন্যান্স-এর মতো উদ্ভাবন তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করতে পারে এবং প্রজন্মগত ব্যবধান কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিশেষজ্ঞ আলোচকরা ডিজিটাল ফাইন্যান্সের বৈশ্বিক ধারা, বাংলাদেশের ফিনটেক উদ্যোগের সম্ভাবনা এবং তাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার নিরিখে দেশের ভবিষ্যৎ ফিনটেক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় গতিবিধি ও রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।