alt

ডলারের দাম বেশি বাড়ার ‘সম্ভাবনা’ নেই বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

বাজারে দাম ওঠা-নামা করলেও ডলারের রেট খুব বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ডলারের রেট বাড়ার বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিফারেন্স (পার্থক্য) আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জিনিসপত্রের দাম কমে যায়, আমাদের মূল্যস্ফীতিতে আমদানি মূল্যস্ফীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, রেটের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে। যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য সেখানে ফিন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেট ওঠা-নামা করবেই। সেটা অনেক বেশি ওঠা-নামা দেখতে পারবো না। আমাদের এখানে রেট বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই।’

তবে অর্থমন্ত্রী এমন কথা বললেও, ডলারের বিপরিতে টাকার দাম কমছেই। গত সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ১ ডলারের জন্য ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা খরচ করতে হয়েছিল। রোববার (৯ জানুয়ারি) সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকায়। ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে চার-পাঁচ টাকা বেশি দরে। খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯১ টাকায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও জনতা ব্যাংক রোববার ৯০ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে। অগ্রণী ব্যাংক বিক্রি করেছে ৯০ টাকা ৩০ পয়সায়। ব্যাংকের বাইরে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে প্রতি ডলার ৯১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

সভায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত একটি প্রস্তিব ছিল রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করা। কীভাবে রপ্তানি বাণিজ্য আমরা করবো, তার নীতিনির্ধারণ করা। আমরা ২০২১-২৪ সাল পর্যন্ত এর খসড়া নীতিনির্ধারণ করেছি, এটা অনুমোদনও দিয়েছি। বিদ্যমান রপ্তানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা, সেটি ৬০ বিলিয়ন মর্কিন ডলার। এটিকে বৃদ্ধি করে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এর জন্য আনুষঙ্গিক যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর জন্য যা যা করা দরকার, তা করবো।

রপ্তানি নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত নীতিতে আগে অধ্যায় ছিল ৮টি। এখন তা ৯টি করা হয়েছে। অগ্রাধিকার খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য এবং সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ কীভাবে সম্ভব, সেটি এখানে রয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশে উত্তরণপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের বিস্তারিত রয়েছে। রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই উন্নয়ন নীতিনির্ধারণে কৌশল প্রয়োজন। আইসিটি সার্ভিসেস এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ সেবা খাতে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আমদানি নীতির আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের ক্ষেত্রসমূহের সামঞ্জস্য বিধান রাখাটাও জরুরি। এছাড়া বিনিয়োগ সহজকরণের নির্দেশনা ও পণ্য সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। মেড ইন বাংলাদেশ কনসেপ্টকে জোরদার করার প্রস্তাবও এসেছে।’

জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই কোন সিদ্ধান্ত আসবে কী না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এটা আমাদের পর্যায়ে এলে আপনাদের জানাতে পারবো। তবে আমার বিশ্বাস, যখন যা করা দরকার সরকার অবশ্যই করবে। আপনারা জানেন, জ্বালানি তেলের দাম কতটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এখন আমরা নিম্নমুখী দেখতে পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’

আট জেলায় হাই-টেক পার্কের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে পাঁচ বছর বিলম্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এটি করা হয়েছে। আগে বিভিন্ন কারণে বিলম্বিত হয়েছে। সেখানে কিছু কাজ আমরা শুরু করেছি। বাকি কাজগুলো করার জন্য আজ আমরা অনুমোদন দিয়েছি। বিভিন্ন কারণে এটি বিলম্ব হয়েছে। ভারত অবশ্যই টাকা দেবে। এখন যাদের দেয়া হচ্ছে লারসেন অ্যান্ড টাব্রো নামকরা একটি কোম্পানি, আমার মনে হয় এবার এ প্রকল্পটি নিয়ে এগোতে পারবো।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ট্র্যাপের মধ্যে পড়াটা আমাদের জন্য কার্যকর নয়। ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা যে পরিকল্পনা করেছি, সেখানে বাৎসরিক আমাদের প্রক্ষেপণ এবং বাস্তবায়ন সবকিছু উল্লেখ করা আছে। আমি মনে করি, অন্যদের সঙ্গে আমাদের মেলানো যাবে না। যদি ভিয়েতনামের কথা বলেন, তাদের বিনিয়োগ অলমোস্ট আসে বাইরে থেকে। সেখানে আন্তর্জাতিক বাজার আপস অ্যান্ড ডাউন কিছু হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ ইম্প্যাক্টেড হয়। আমাদের দেশে তা উল্টো। আমাদের দেশে আমরা যা করছি নিজেদের বিনিয়োগ থেকে করে আসছি। মূলত লার্জলি আমাদের বিনিয়োগ। ফলে আমাদের ওপর এর ইম্প্যাক্ট আসবে বলে মনে করি না।’

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছাতে ব্যবসায়ীদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

ছবি

আড়াইগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনে বাজার মূলধন কমলো ৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে রোববার ঢাকায় আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল

ছবি

বাংলাদেশে ব্লুটুথ হেডফোন ও ডেটা কেবল তৈরির কারখানা করবে চীন

ছবি

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমার প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার নিয়ম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে অপো এ৫ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট

ছবি

নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির সঙ্গে বেড়েছে চাল ও মুরগির দামও

ছবি

ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিআরের কার্যক্রম দুই ভাগ হয়ে যাবে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ

ছবি

শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর আমানত এক মাসে বেড়েছে ৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা

ছবি

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে মূসক অব্যাহতি

ছবি

অর্থ বিভাগের পরিপত্র: ৯ মাসে ৬০ শতাংশ খরচ করতে না পারলে অর্থছাড় বন্ধ

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে মিতসুবিশি’র নতুন এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ

ছবি

বেসিসের নতুন প্রশাসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান

ছবি

দারাজ বাংলাদেশের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৯.৯ অ্যানিভার্সারি মেগা সেল

ছবি

শাওমি বাজারে নিয়ে এলো রেডমি প্যাড ২

ছবি

নভেম্বরের মধ্যেই একীভূত হবে পাঁচ ব্যাংক

ছবি

আইএমএফ-এর এমডি’র সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ভিডিও কনফারেন্স ১৬ সেপ্টেম্বর

ছবি

স্যালভো কেমিক্যালের শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব ফের বাতিল করলো বিএসইসি

ছবি

সর্ববৃহৎ-অত্যাধুনিক ওয়াটার প্রোডাকশন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করলো আকিজ ভেঞ্চার

ছবি

বহুজাতিক কোম্পানির অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়া নজরদারি, প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ছবি

পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের চুক্তি সই

ছবি

বিভিন্ন ধরনের বন্ডে সংশোধনী আনতে যাচ্ছে বিএসইসি

ছবি

শেয়ারে কারসাজি, ছয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, একজন ৫ বছর নিষিদ্ধ শেয়ারবাজারে

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ করতে জাপান আগ্রহী: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

রপ্তানিকারকদের শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেবে এনবিআর: চেয়ারম্যান

ছবি

আটাব নির্বাচন: প্যানেল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবেন প্রশাসক

ছবি

‘অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের সংযোগে ভয়ের কিছু নেই’

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে টেকনো মেগাবুক টি১ ১৫.৬

ছবি

শেয়ারবাজারে ৯ দিন পর হাজার কোটির নিচে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক গ্যারান্টি দিলে বন্ড সুবিধা পাবেন আংশিক রপ্তানিকারকেরা

ছবি

ঢাকায় আসছেন মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধিদল

ছবি

শেখ হাসিনার পূবালী ব্যাংকের লকার জব্দ করেছে এনবিআর

ছবি

স্বর্ণের দামে আবার নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা

ছবি

উত্তরা ব্যাংকে নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক

tab

news » business

ডলারের দাম বেশি বাড়ার ‘সম্ভাবনা’ নেই বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

বাজারে দাম ওঠা-নামা করলেও ডলারের রেট খুব বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ডলারের রেট বাড়ার বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিফারেন্স (পার্থক্য) আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জিনিসপত্রের দাম কমে যায়, আমাদের মূল্যস্ফীতিতে আমদানি মূল্যস্ফীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, রেটের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে। যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য সেখানে ফিন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেট ওঠা-নামা করবেই। সেটা অনেক বেশি ওঠা-নামা দেখতে পারবো না। আমাদের এখানে রেট বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই।’

তবে অর্থমন্ত্রী এমন কথা বললেও, ডলারের বিপরিতে টাকার দাম কমছেই। গত সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ১ ডলারের জন্য ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা খরচ করতে হয়েছিল। রোববার (৯ জানুয়ারি) সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকায়। ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে চার-পাঁচ টাকা বেশি দরে। খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯১ টাকায়। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও জনতা ব্যাংক রোববার ৯০ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে। অগ্রণী ব্যাংক বিক্রি করেছে ৯০ টাকা ৩০ পয়সায়। ব্যাংকের বাইরে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে প্রতি ডলার ৯১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

সভায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত একটি প্রস্তিব ছিল রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করা। কীভাবে রপ্তানি বাণিজ্য আমরা করবো, তার নীতিনির্ধারণ করা। আমরা ২০২১-২৪ সাল পর্যন্ত এর খসড়া নীতিনির্ধারণ করেছি, এটা অনুমোদনও দিয়েছি। বিদ্যমান রপ্তানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা, সেটি ৬০ বিলিয়ন মর্কিন ডলার। এটিকে বৃদ্ধি করে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এর জন্য আনুষঙ্গিক যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর জন্য যা যা করা দরকার, তা করবো।

রপ্তানি নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত নীতিতে আগে অধ্যায় ছিল ৮টি। এখন তা ৯টি করা হয়েছে। অগ্রাধিকার খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য এবং সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ কীভাবে সম্ভব, সেটি এখানে রয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশে উত্তরণপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের বিস্তারিত রয়েছে। রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই উন্নয়ন নীতিনির্ধারণে কৌশল প্রয়োজন। আইসিটি সার্ভিসেস এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ সেবা খাতে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আমদানি নীতির আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের ক্ষেত্রসমূহের সামঞ্জস্য বিধান রাখাটাও জরুরি। এছাড়া বিনিয়োগ সহজকরণের নির্দেশনা ও পণ্য সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। মেড ইন বাংলাদেশ কনসেপ্টকে জোরদার করার প্রস্তাবও এসেছে।’

জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই কোন সিদ্ধান্ত আসবে কী না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এটা আমাদের পর্যায়ে এলে আপনাদের জানাতে পারবো। তবে আমার বিশ্বাস, যখন যা করা দরকার সরকার অবশ্যই করবে। আপনারা জানেন, জ্বালানি তেলের দাম কতটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এখন আমরা নিম্নমুখী দেখতে পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’

আট জেলায় হাই-টেক পার্কের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে পাঁচ বছর বিলম্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এটি করা হয়েছে। আগে বিভিন্ন কারণে বিলম্বিত হয়েছে। সেখানে কিছু কাজ আমরা শুরু করেছি। বাকি কাজগুলো করার জন্য আজ আমরা অনুমোদন দিয়েছি। বিভিন্ন কারণে এটি বিলম্ব হয়েছে। ভারত অবশ্যই টাকা দেবে। এখন যাদের দেয়া হচ্ছে লারসেন অ্যান্ড টাব্রো নামকরা একটি কোম্পানি, আমার মনে হয় এবার এ প্রকল্পটি নিয়ে এগোতে পারবো।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ট্র্যাপের মধ্যে পড়াটা আমাদের জন্য কার্যকর নয়। ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা যে পরিকল্পনা করেছি, সেখানে বাৎসরিক আমাদের প্রক্ষেপণ এবং বাস্তবায়ন সবকিছু উল্লেখ করা আছে। আমি মনে করি, অন্যদের সঙ্গে আমাদের মেলানো যাবে না। যদি ভিয়েতনামের কথা বলেন, তাদের বিনিয়োগ অলমোস্ট আসে বাইরে থেকে। সেখানে আন্তর্জাতিক বাজার আপস অ্যান্ড ডাউন কিছু হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ ইম্প্যাক্টেড হয়। আমাদের দেশে তা উল্টো। আমাদের দেশে আমরা যা করছি নিজেদের বিনিয়োগ থেকে করে আসছি। মূলত লার্জলি আমাদের বিনিয়োগ। ফলে আমাদের ওপর এর ইম্প্যাক্ট আসবে বলে মনে করি না।’

back to top