alt

অর্থ-বাণিজ্য

নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.০২ শতাংশই থাকবে : বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমতে পারে। তবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগেরটিই অপরিবর্তিত রেখেছে বিশ্বব্যাংক। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণে নতুন অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে। তবে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতির চলমান সংকটের মধ্যেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেছেন। আর মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে, যা মে মাসে হয়েছে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সম্প্রতি বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থায়নকারী সংস্থাটি আশা করছে, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের এবং বিদ্যুতের মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার সুফল যোগ হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এগুলো ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন অর্থবছরের অর্থনীতিকে আগের চেয়ে গতিশীল করবে।

এ কারণে চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলার সংকট, আমদানিতে কড়াকড়ি, সরকারের কৃচ্ছ্রতাসাধনের মতো নানামুখী চাপের অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যে লক্ষ্য ধরেছেন, সেটিকে ‘উচ্চাভিলাষী’ বলছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।

এমন আলোচনার মধ্যেই নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কেমন হবে তা জানালো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি সবশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রকাশ করেছে, যাতে শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের এবং আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এবং অর্থনীতির বর্তমান হালচাল এবং সামনের দিনে কেমন যেতে পারে সেই আভাস দেয়া হয়েছে।

এতে চলতি অর্থবছর শেষেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত জানুয়ারির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ৫ দশমিক ২ শতাংশই হবে জানিয়েছে। ওই সময়ের প্রাক্কলনে আগের ছয় মাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট কম হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে সরকারের সাময়িক হিসাবে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরেও সরকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিল। পরে ইউক্রেইন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির বৈরী পরিস্থিতিতে তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়েছিল।

মহামারীর ধাক্কা সামলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল বাংলাদেশ। সবশেষ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বেছে, উন্নত দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার প্রভাব এড়িয়েই রপ্তানির বিশ্ববাজারের উল্লেখযোগ্য গন্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানির অংশ বাড়বে, যা রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে স্থিতিশীল রাখবে।

তবে চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি, সরকারি নীতি ও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, বহি বাণিজ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য থেকে এবং আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে। এর আগে গত জানুয়ারির প্রক্ষেপণেও বিশ্বব্যাংক একই হারে চলতি ও আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল, মহামারীর মধ্যে যুদ্ধের খাঁড়া ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি খানাগুলোর আয়ে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে, যার সার্বিক অর্থনীতিকে টেনে ধরবে।

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গতিপথে তরতরিয়ে চলতে থাকা বাংলাদেশ হোঁচট খায় কোভিড মহামারীতে; এরপর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ খাবি খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর প্রভাব এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। বরং অর্থনীতির সংকট নানামুখী রূপ নিয়েছে এবং দেশের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও চলতি লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি করেছে।

এসব কারণে অর্থনীতির গতি ধীর হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গড়ে ৭ শতাংশ ধারা বজায় রাখতে পারেনি শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে।

বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানিতে কড়াকড়ির পাশাপাশি জ্বালানি সংকট শিল্প ও সেবা খাতকে দারুণভাবে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। কর্মসংস্থানে উন্নতি হলেও খানাপতি আয় মহামারীর আগের অবস্থায় পৌঁছেনি। এদিকে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধিও ধীর হয়ে পড়বে বলে আভাস দিয়ে সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রক্ষেপণেও আগের চেয়ে ভালো সংবাদ দিতে পারেনি আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাটি। বৈশ্বিক জিডিপি বেড়ে ২ দশমিক ১ শতাংশ হলেও আগামী বছর সেখানে অন্ধকারই দেখছে বিশ্বব্যাংক; আশা করার মতো ভালো খবর দিতে পারেনি। এর আগে ২০২৪ সালের জন্য জানুয়ারিতে ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও তা এখন ২ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে এ প্রতিবেদনে বলেছে।

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এডিবি প্রেসিডেন্ট

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ

ছবি

২০৩০ সালে চালু হবে বে টার্মিনাল, কর্মসংস্থান লাখ মানুষের

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

ছবি

চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: অর্থ উপদেষ্টা

বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা ছয় সংস্থা একীভূত করার উদ্যোগে কমিটি গঠন

ছবি

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ২০ ব্যাংকের

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে অভিন্ন পদোন্নতি নীতিমালা

ছবি

আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে, সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট

ছবি

ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ে ফের আলোচনায় বসছে আইএমএফ

ছবি

আইএমএফ ঋণ নিয়ে এডিবির জিজ্ঞাসা, আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ

ছবি

উদ্যোক্তাদের সুবিধায় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এলো জাতিক ক্যাপিটাল

tab

অর্থ-বাণিজ্য

নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.০২ শতাংশই থাকবে : বিশ্বব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমতে পারে। তবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগেরটিই অপরিবর্তিত রেখেছে বিশ্বব্যাংক। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণে নতুন অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে। তবে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতির চলমান সংকটের মধ্যেও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেছেন। আর মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে, যা মে মাসে হয়েছে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সম্প্রতি বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থায়নকারী সংস্থাটি আশা করছে, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের এবং বিদ্যুতের মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার সুফল যোগ হবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এগুলো ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন অর্থবছরের অর্থনীতিকে আগের চেয়ে গতিশীল করবে।

এ কারণে চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও ডলার সংকট, আমদানিতে কড়াকড়ি, সরকারের কৃচ্ছ্রতাসাধনের মতো নানামুখী চাপের অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যে লক্ষ্য ধরেছেন, সেটিকে ‘উচ্চাভিলাষী’ বলছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা।

এমন আলোচনার মধ্যেই নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কেমন হবে তা জানালো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি সবশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রকাশ করেছে, যাতে শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের এবং আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এবং অর্থনীতির বর্তমান হালচাল এবং সামনের দিনে কেমন যেতে পারে সেই আভাস দেয়া হয়েছে।

এতে চলতি অর্থবছর শেষেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত জানুয়ারির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ৫ দশমিক ২ শতাংশই হবে জানিয়েছে। ওই সময়ের প্রাক্কলনে আগের ছয় মাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশীয় পয়েন্ট কম হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে সরকারের সাময়িক হিসাবে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরেও সরকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিল। পরে ইউক্রেইন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির বৈরী পরিস্থিতিতে তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়েছিল।

মহামারীর ধাক্কা সামলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল বাংলাদেশ। সবশেষ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বেছে, উন্নত দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার প্রভাব এড়িয়েই রপ্তানির বিশ্ববাজারের উল্লেখযোগ্য গন্তব্যে বাংলাদেশের রপ্তানির অংশ বাড়বে, যা রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে স্থিতিশীল রাখবে।

তবে চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি, সরকারি নীতি ও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, বহি বাণিজ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য থেকে এবং আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে। এর আগে গত জানুয়ারির প্রক্ষেপণেও বিশ্বব্যাংক একই হারে চলতি ও আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল, মহামারীর মধ্যে যুদ্ধের খাঁড়া ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি খানাগুলোর আয়ে নেতিবাচক প্রভাব রাখবে, যার সার্বিক অর্থনীতিকে টেনে ধরবে।

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গতিপথে তরতরিয়ে চলতে থাকা বাংলাদেশ হোঁচট খায় কোভিড মহামারীতে; এরপর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ খাবি খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর প্রভাব এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। বরং অর্থনীতির সংকট নানামুখী রূপ নিয়েছে এবং দেশের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও চলতি লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি করেছে।

এসব কারণে অর্থনীতির গতি ধীর হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গড়ে ৭ শতাংশ ধারা বজায় রাখতে পারেনি শেষ হতে যাওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে।

বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানিতে কড়াকড়ির পাশাপাশি জ্বালানি সংকট শিল্প ও সেবা খাতকে দারুণভাবে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। কর্মসংস্থানে উন্নতি হলেও খানাপতি আয় মহামারীর আগের অবস্থায় পৌঁছেনি। এদিকে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধিও ধীর হয়ে পড়বে বলে আভাস দিয়ে সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রক্ষেপণেও আগের চেয়ে ভালো সংবাদ দিতে পারেনি আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী সংস্থাটি। বৈশ্বিক জিডিপি বেড়ে ২ দশমিক ১ শতাংশ হলেও আগামী বছর সেখানে অন্ধকারই দেখছে বিশ্বব্যাংক; আশা করার মতো ভালো খবর দিতে পারেনি। এর আগে ২০২৪ সালের জন্য জানুয়ারিতে ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলেও তা এখন ২ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে এ প্রতিবেদনে বলেছে।

back to top