alt

ক্যাম্পাস

এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর শাহবাগ থানায় গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় অতি দ্রুত এডিসি হারুনকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালি উল্লাহ বলেন, আমি মনে করি এডিসি হারুন একজন অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ। তিনি প্রশাসনের এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় থেকেও পরকীয়ার মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন। পূর্বেও তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিকের নির্মমভাবে পিটিয়েছেন এবং গতকালকে তিনি ঢাবির দুইজন শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতন করেছেন। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম সাদী বলেন, এডিসি হারুনের যে ঘটনাটি গতকাল আমরা জেনেছি সেটা হলো তার নৈতিক স্খলনের কারণে। তার ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে সে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ভাবে, অনৈতিক ভাবে আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে, প্রশাসনিক পাওয়ার দেখিয়ে, নির্মমভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। যেটা কোনো ভাবেই কাম্য না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে অমানবিক এই নির্যাতনের জন্য এডিসি হারুনের দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে এনে সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি।

আইয়ুব মোড়ল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আপনি একজন সাধারণ মানুষকে কখনো হেনস্থা করতে পারেন না। সে যদি ভুল থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেন‌ কিন্তু আপনি নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই কিন্তু আমি জানি না তিনি কিভাবে অমানবিক নির্যাতন চালালেন। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ছাত্রলীগ নেতাদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান ও পুলিশ কর্মকর্তারা রাতেই থানায় ঘটনার মীমাংসা করেন।

এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এখনো কোন ধরনের প্রতিবাদলিপি ও কোন কর্মসূচি দেয়নি। এর ফলে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই রাজনীতি ছেড়ে দেয়ারও কথা জানান।

আবু সাঈদের জীবন দান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা: ফরহাদ মজহার

ছবি

কুয়েট উপাচার্যের দায়িত্বে হযরত আলী

ছবি

রাকসু নির্বাচন: ধীরগতি, ঝুলে আছে বিধিমালা ও ভোটার তালিকা

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: গভীর রাতে রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৩১ জুলাই

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চার মাসে চারজনের আত্মহত্যা, প্রবণতা কি বাড়ছে? কী করছে কাউন্সেলিং সেন্টার?

ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পুলিশ হেফাজতে ১

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ইউআইইউ

ছবি

কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি

জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বুকশেলফ প্রদান

ছবি

পিএসসি সংস্কারে ৮ দফা দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি

জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি: ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম, কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি

‘এলাকার কলেজে পড়লে পারতে, … গেট আউট’, জবি শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার

ছবি

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

বাউবিতে ‘উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের জন্য মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রোডাকশন কৌশল’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

‎জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা

কুয়েট উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

ছবি

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণ, ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি

মে’র মধ্যে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি ও জুনে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

ছবি

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে

ছবি

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে স্মারকলিপি

ছবি

মায়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৩৫৪, নিখোঁজ ২২০

ছবি

পথ শিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার ঈদ উপহার বিতরণ

ছবি

মধ্যরাতে ঢাবি বিক্ষোভ: দাবি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের

ছবি

কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

ঢাবিতে হামলা ঘটনায় ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়, অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন

সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবিতে হামলায় অংশ নেওয়া ১২৮ জন ছাত্রলীগের তালিকা প্রকাশ

জাবিতে ‘১৫ জুলাইকে’ কালোরাত ঘোষণা; ৯ শিক্ষক এবং ২৮৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ঢাবি শিক্ষার্থীদের পাশে সাদা দল

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের দর্শন পরিবারের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছবি

সারা বছরই আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে: জবি উপাচার্য

ছবি

শেখ মুজিবুবের হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে পোস্ট: ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে হট্টগোল

ছবি

ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশালমিছিল

ছবি

ধর্ষণের বিরুদ্ধে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, তাঁতিবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ

ছবি

২৫০ রোজাদার নিয়ে জবি জালালাবাদ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল

tab

ক্যাম্পাস

এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর শাহবাগ থানায় গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্মমভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় অতি দ্রুত এডিসি হারুনকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালি উল্লাহ বলেন, আমি মনে করি এডিসি হারুন একজন অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ। তিনি প্রশাসনের এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় থেকেও পরকীয়ার মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন। পূর্বেও তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিকের নির্মমভাবে পিটিয়েছেন এবং গতকালকে তিনি ঢাবির দুইজন শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতন করেছেন। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম সাদী বলেন, এডিসি হারুনের যে ঘটনাটি গতকাল আমরা জেনেছি সেটা হলো তার নৈতিক স্খলনের কারণে। তার ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে সে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ভাবে, অনৈতিক ভাবে আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে, প্রশাসনিক পাওয়ার দেখিয়ে, নির্মমভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। যেটা কোনো ভাবেই কাম্য না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে অমানবিক এই নির্যাতনের জন্য এডিসি হারুনের দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে এনে সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি।

আইয়ুব মোড়ল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আপনি একজন সাধারণ মানুষকে কখনো হেনস্থা করতে পারেন না। সে যদি ভুল থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেন‌ কিন্তু আপনি নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই কিন্তু আমি জানি না তিনি কিভাবে অমানবিক নির্যাতন চালালেন। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ছাত্রলীগ নেতাদের সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান ও পুলিশ কর্মকর্তারা রাতেই থানায় ঘটনার মীমাংসা করেন।

এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এখনো কোন ধরনের প্রতিবাদলিপি ও কোন কর্মসূচি দেয়নি। এর ফলে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই রাজনীতি ছেড়ে দেয়ারও কথা জানান।

back to top