প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘আবুল মনসুর আহমেদের সাংবাদিকতা সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। যে সাহসিকতার সাথে তিনি উপস্থাপনা করতেন তা থেকে বুঝা যায় সমাজের দু:খ-দুর্দশা দূর করতে তিনি কতটুকু ইচ্ছুক ছিলেন। মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার জন্য তার প্রবল আগ্রহ ছিল। সেজন্যই তিনি সাংবাদিকতা, রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চাকে বেছে নিয়েছেন।’
শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমেদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক আলোচনা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পরিষদ’ কর্তৃক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসংঙ্গতি বিদ্যমান। আবুল মনসুর বেঁচে থাকলে এ অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরতেন। তিনি যেভাবে তুলে ধরতেন আমরা সেভাবে পারছি না। তার মেরুদণ্ড খুব শক্ত ছিলো। যার অভাব আমাদের সমাজে অনেক পুরোনো।
তিনি আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশে বৈষম্যের কারণে দারিদ্র্য সৃষ্টি হয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে বৈষম্য নয়। আবুল মনসুর আহমেদ এটিকে বদল করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তিনি সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। যার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করা যাবে।
জনগণের সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আরো পতনের দিকে এগিয়ে যাবো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তখন তারা বসে বসে কি করবে! মারামারি-হানাহানিতে জড়িয়ে পড়বে। পণ্য-দ্রব্যের উৎপাদন বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থাকবে না। সেজন্য সমাজের রুপান্তর করে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন।
সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন বলেন, আবুল মনসুর আহমেদ বাইচান্স সাংবাদিক না, বাইচয়েজ সাংবাদিক ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার সাংবাদিক ও সম্পাদক। সাংবাদিকতার প্রতি তার ছিল নিষ্ঠা, প্রেম ও সাধনা। সংবাদপত্রের মালিক, সম্পাদক, অধ্যাপক, তাত্ত্বিক, দার্শনিক ও যুক্তিবাদী- সকলেরই আবুল মনসুর আহমেদের জীবনী থেকে অনেক কিছু শিখার আছে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দ্য নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজী, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ। এসময় আবুল মনসুর আহমেদ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘আবুল মনসুর আহমেদের সাংবাদিকতা সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। যে সাহসিকতার সাথে তিনি উপস্থাপনা করতেন তা থেকে বুঝা যায় সমাজের দু:খ-দুর্দশা দূর করতে তিনি কতটুকু ইচ্ছুক ছিলেন। মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার জন্য তার প্রবল আগ্রহ ছিল। সেজন্যই তিনি সাংবাদিকতা, রাজনীতি ও সাহিত্যচর্চাকে বেছে নিয়েছেন।’
শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমেদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা শীর্ষক আলোচনা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পরিষদ’ কর্তৃক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আজকে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসংঙ্গতি বিদ্যমান। আবুল মনসুর বেঁচে থাকলে এ অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরতেন। তিনি যেভাবে তুলে ধরতেন আমরা সেভাবে পারছি না। তার মেরুদণ্ড খুব শক্ত ছিলো। যার অভাব আমাদের সমাজে অনেক পুরোনো।
তিনি আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশে বৈষম্যের কারণে দারিদ্র্য সৃষ্টি হয়েছে। দারিদ্র্যের কারণে বৈষম্য নয়। আবুল মনসুর আহমেদ এটিকে বদল করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তিনি সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। যার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন করা যাবে।
জনগণের সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আরো পতনের দিকে এগিয়ে যাবো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তখন তারা বসে বসে কি করবে! মারামারি-হানাহানিতে জড়িয়ে পড়বে। পণ্য-দ্রব্যের উৎপাদন বাড়লেও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থাকবে না। সেজন্য সমাজের রুপান্তর করে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন।
সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন বলেন, আবুল মনসুর আহমেদ বাইচান্স সাংবাদিক না, বাইচয়েজ সাংবাদিক ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার সাংবাদিক ও সম্পাদক। সাংবাদিকতার প্রতি তার ছিল নিষ্ঠা, প্রেম ও সাধনা। সংবাদপত্রের মালিক, সম্পাদক, অধ্যাপক, তাত্ত্বিক, দার্শনিক ও যুক্তিবাদী- সকলেরই আবুল মনসুর আহমেদের জীবনী থেকে অনেক কিছু শিখার আছে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দ্য নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজী, সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ। এসময় আবুল মনসুর আহমেদ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।