জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করার চিন্তাভাবনা করছে। শিক্ষক মূল্যায়নে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে শিক্ষকদের পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে। শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করা, গুণগত মানোন্নয়ন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সাথে একাডেমিক কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা, অগ্রগতি এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে এক বিশেষ সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এসব কথা বলেন।
সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার যৌক্তিক গণ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রশাসন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে দ্রুত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা এবং স্নাতক ১ম পর্ব থেকে থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরের জন্য আলাদা একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে স্নাতক (সম্মান) ১ম পর্ব থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত একাডেমিক ক্যালেন্ডার করতে ইচ্ছুক। এই একাডেমিক ক্যালেন্ডার স্ব স্ব বিভাগের পাঠদান কার্যক্রম ও অন্যান্য তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং নিজ নিজ বিভাগের অনলাইনে আপলোড করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষার্থীরা ভর্তির পর থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সম্পূর্ণ একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার পাবে এবং পাঠদান থেকে পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সব ধরনের তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। এর ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে পড়ালেখার তাগিদও কাজ করবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও সেমিস্টারের ফলাফল তৈরিতে বিভাগীয় কমিটিকে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি একাডেমিক ভবনগুলোতে শ্রেণিকক্ষ ব্যবহারে বিভাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দুই মাস অন্তর অনুষদসমূহের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সাথে একাডেমিক কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করার চিন্তাভাবনা করছে। শিক্ষক মূল্যায়নে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে শিক্ষকদের পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে। শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করা, গুণগত মানোন্নয়ন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশাসন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সাথে একাডেমিক কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা, অগ্রগতি এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে এক বিশেষ সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এসব কথা বলেন।
সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার যৌক্তিক গণ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রশাসন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে দ্রুত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা এবং স্নাতক ১ম পর্ব থেকে থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরের জন্য আলাদা একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে স্নাতক (সম্মান) ১ম পর্ব থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত একাডেমিক ক্যালেন্ডার করতে ইচ্ছুক। এই একাডেমিক ক্যালেন্ডার স্ব স্ব বিভাগের পাঠদান কার্যক্রম ও অন্যান্য তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং নিজ নিজ বিভাগের অনলাইনে আপলোড করা প্রয়োজন। এতে শিক্ষার্থীরা ভর্তির পর থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সম্পূর্ণ একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার পাবে এবং পাঠদান থেকে পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সব ধরনের তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। এর ফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে পড়ালেখার তাগিদও কাজ করবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও সেমিস্টারের ফলাফল তৈরিতে বিভাগীয় কমিটিকে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি একাডেমিক ভবনগুলোতে শ্রেণিকক্ষ ব্যবহারে বিভাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়ন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দুই মাস অন্তর অনুষদসমূহের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের সাথে একাডেমিক কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।