গার্মেন্টস শ্রমিক সান্ত্বনা হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভের আয়োজক ছিলেন বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের কিছু নেতা–কর্মী।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চললে দেশের মেহনতি মানুষ বর্তমান সরকারকে আর চাইবে না।
তাঁরা দাবি করেন, শান্তনা বেগম একজন পোশাকশ্রমিক। তবে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল মিয়া প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, শান্তনা গৃহবধূ ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা বলেন, ‘গতকাল সোমবার বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি লাশ পাওয়া গিয়েছিল। তখন আমাদের মধ্যে অনেক উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। কিন্তু যখন জানা গেল যে লাশটি কোনো শিক্ষার্থীর নয়, তখন আমরা এটা ভুলে গেলাম। শ্রমিকেরা সব সময় নিপীড়িত হন।’
নারীদের নিরাপত্তা দিতে যে সরকার ব্যর্থ হয়, সেই সরকার চান না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারের আমলে একটা বিচারবহির্ভূত হত্যারও বিচার হতে দেখছি না। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে দেশের চাষা-শ্রমিক মেহনতি মানুষ আপনাদের (সরকার) আর চাইবে না।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন চিকিৎসক হারুন অর রশিদ। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নারীরা দাঁড়ালে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের চাওয়া খুব নগণ্য। আমরা সবার অধিকার চাই। সবার নিরাপত্তা চাই। কিন্তু সেটা এখনো নিশ্চিত হচ্ছে না।’ অন্তর্বর্তী সরকারকে শ্রমিকদের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
গার্মেন্টস শ্রমিক সান্ত্বনা হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভের আয়োজক ছিলেন বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের কিছু নেতা–কর্মী।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চললে দেশের মেহনতি মানুষ বর্তমান সরকারকে আর চাইবে না।
তাঁরা দাবি করেন, শান্তনা বেগম একজন পোশাকশ্রমিক। তবে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুয়েল মিয়া প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, শান্তনা গৃহবধূ ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা বলেন, ‘গতকাল সোমবার বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি লাশ পাওয়া গিয়েছিল। তখন আমাদের মধ্যে অনেক উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। কিন্তু যখন জানা গেল যে লাশটি কোনো শিক্ষার্থীর নয়, তখন আমরা এটা ভুলে গেলাম। শ্রমিকেরা সব সময় নিপীড়িত হন।’
নারীদের নিরাপত্তা দিতে যে সরকার ব্যর্থ হয়, সেই সরকার চান না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারের আমলে একটা বিচারবহির্ভূত হত্যারও বিচার হতে দেখছি না। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে দেশের চাষা-শ্রমিক মেহনতি মানুষ আপনাদের (সরকার) আর চাইবে না।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন চিকিৎসক হারুন অর রশিদ। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নারীরা দাঁড়ালে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ বলেন, ‘আমাদের চাওয়া খুব নগণ্য। আমরা সবার অধিকার চাই। সবার নিরাপত্তা চাই। কিন্তু সেটা এখনো নিশ্চিত হচ্ছে না।’ অন্তর্বর্তী সরকারকে শ্রমিকদের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।