ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় গভীর রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্রাফিতি মুছতে দেখে শিক্ষার্থীরা টিএসসি এলাকায় জড়ো হন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। পর শিক্ষার্থীরা প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা ইউসুফ আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গ্রাফিতি মুছা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা মন্ত্রণালয়ে ছবি পাঠানোর পর এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তখন আমরা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে গ্রাফিতি মুছে ফেলতে বলি। এটি একটি ভুল হয়েছে। প্রয়োজনে এই ভুলের জন্য তিনি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্ষমা চাইবেন। তবু যেন শিক্ষার্থীরা তাঁকে ভুল না বোঝেন। এটা ষড়যন্ত্র নয়, ভুল।
তবে শিক্ষার্থীরা এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন এবং দাবি করেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন ও ঐতিহাসিক চেতনার ওপর আঘাত।
‘প্রক্টর পদত্যাগ করো’, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের হুঁশিয়ারি’, ‘ঘৃণাস্তম্ভ মুছল কেন?’—এমন স্লোগানে রাজু ভাস্কর্যের পাশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত।
এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রক্টর এবং স্টেট অফিসার ফাতেমা বিনতে মোস্তফার পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা ঘৃণাস্তম্ভে আগের গ্রাফিতি পুনঃস্থাপনের দাবি জানান।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ পরবর্তীতে ঘোষণা দেন, ‘ঘৃণাস্তম্ভ’কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে গ্রাফিতি সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফেইসবুকে তাৎক্ষণিক পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি লিখেন, ‘২৪-এর ঘৃণাস্তম্ভ আবার আঁকানো হবে। জুলাইকে মুছে দে্য়া এত সহজ না।’ আরেক পোস্টে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন উমামা ফাতেমা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আশরেফা খাতুন আজ রোববার সকালে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, আগের ছবিটাই (গ্রাফিতি) চান। আগের ছবির মতো ঘৃণা আর কোনোটায় প্রকাশ পাবে না। আর যে বা যারা মুছেছেন, সবার খোঁজ চান।
আজ প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি “ঘৃণাস্তম্ভ” হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এটার উদ্বোধন করবেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের গ্রাফিতি সংরক্ষণ করবে। কেউ মুছে ফেললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ গ্রাফিতি মুছে ফেলার ঘটনায় গভীর রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গ্রাফিতি মুছতে দেখে শিক্ষার্থীরা টিএসসি এলাকায় জড়ো হন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। পর শিক্ষার্থীরা প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা ইউসুফ আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গ্রাফিতি মুছা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা মন্ত্রণালয়ে ছবি পাঠানোর পর এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তখন আমরা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে গ্রাফিতি মুছে ফেলতে বলি। এটি একটি ভুল হয়েছে। প্রয়োজনে এই ভুলের জন্য তিনি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্ষমা চাইবেন। তবু যেন শিক্ষার্থীরা তাঁকে ভুল না বোঝেন। এটা ষড়যন্ত্র নয়, ভুল।
তবে শিক্ষার্থীরা এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন এবং দাবি করেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন ও ঐতিহাসিক চেতনার ওপর আঘাত।
‘প্রক্টর পদত্যাগ করো’, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের হুঁশিয়ারি’, ‘ঘৃণাস্তম্ভ মুছল কেন?’—এমন স্লোগানে রাজু ভাস্কর্যের পাশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলে ভোর সাড়ে চারটা পর্যন্ত।
এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রক্টর এবং স্টেট অফিসার ফাতেমা বিনতে মোস্তফার পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা ঘৃণাস্তম্ভে আগের গ্রাফিতি পুনঃস্থাপনের দাবি জানান।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ পরবর্তীতে ঘোষণা দেন, ‘ঘৃণাস্তম্ভ’কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে গ্রাফিতি সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফেইসবুকে তাৎক্ষণিক পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি লিখেন, ‘২৪-এর ঘৃণাস্তম্ভ আবার আঁকানো হবে। জুলাইকে মুছে দে্য়া এত সহজ না।’ আরেক পোস্টে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন উমামা ফাতেমা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আশরেফা খাতুন আজ রোববার সকালে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, আগের ছবিটাই (গ্রাফিতি) চান। আগের ছবির মতো ঘৃণা আর কোনোটায় প্রকাশ পাবে না। আর যে বা যারা মুছেছেন, সবার খোঁজ চান।
আজ প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি “ঘৃণাস্তম্ভ” হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এটার উদ্বোধন করবেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের গ্রাফিতি সংরক্ষণ করবে। কেউ মুছে ফেললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’