সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী স্থানীয়দের হামলায় আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাশরাফি ও জোবায়েদ হাসান। মাশরাফি মাথা ও কানে এবং জোবায়েদ হাতে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা নয়াবাজার এলাকায় চা পান করতে গিয়েছিলেন। এ সময় মাশরাফি মুঠোফোনে কিছু ছবি ও ভিডিও করছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেন, সেখানে নারীদের ছবি তোলা হচ্ছে। পরে তাঁরা মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং দুই শিক্ষার্থীকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান বলেন, ‘এক সহপাঠীর জন্মদিন উদ্যাপন করে আমরা ১২ জন চা পানের জন্য নয়াবাজার এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে মাহফিল উপলক্ষে বিভিন্ন দোকান দেখে সেখানেও যাই। মাশরাফি মুঠোফোনে দোকানগুলোর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করছিল। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে দাবি করেন, মুঠোফোনে নারীর ছবি তোলা হয়েছে। এর একপর্যায়ে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেন। এ সময় মাশরাফিকে মারধর করলে অন্য সহপাঠীরা এগিয়ে গেলে আমাদের সবাইকে মারধর করেন স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ জন। হামলাকারীরা আমাদের বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। আক্রমণকারীদের হাতে ছুরিও দেখা গেছে। এ ঘটনায় আমাদের দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা ছিনতাইয়ের জন্য আমাদের কয়েকজনের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাঁদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
জালালবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যেরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। শিক্ষার্থী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী স্থানীয়দের হামলায় আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাশরাফি ও জোবায়েদ হাসান। মাশরাফি মাথা ও কানে এবং জোবায়েদ হাতে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা নয়াবাজার এলাকায় চা পান করতে গিয়েছিলেন। এ সময় মাশরাফি মুঠোফোনে কিছু ছবি ও ভিডিও করছিলেন। স্থানীয় কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেন, সেখানে নারীদের ছবি তোলা হচ্ছে। পরে তাঁরা মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং দুই শিক্ষার্থীকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান বলেন, ‘এক সহপাঠীর জন্মদিন উদ্যাপন করে আমরা ১২ জন চা পানের জন্য নয়াবাজার এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে মাহফিল উপলক্ষে বিভিন্ন দোকান দেখে সেখানেও যাই। মাশরাফি মুঠোফোনে দোকানগুলোর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করছিল। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে দাবি করেন, মুঠোফোনে নারীর ছবি তোলা হয়েছে। এর একপর্যায়ে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেন। এ সময় মাশরাফিকে মারধর করলে অন্য সহপাঠীরা এগিয়ে গেলে আমাদের সবাইকে মারধর করেন স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ জন। হামলাকারীরা আমাদের বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। আক্রমণকারীদের হাতে ছুরিও দেখা গেছে। এ ঘটনায় আমাদের দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা ছিনতাইয়ের জন্য আমাদের কয়েকজনের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাঁদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
জালালবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যেরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। শিক্ষার্থী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।