মামলা থেকে অব্যাহতি পত্র দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের হাতে দুই ঘণ্টার জন্য আটক হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। পরে প্রক্টর অফিসে নেওয়ার পর দুই ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন।
আত্মীয় পরিচয় দেওয়া ‘জন’আবেদন জমা দেওয়ার পর শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ‘জন’। জন নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও ছাত্রদলে তার কোনো পদ নেই বলে জানা গেছে। তার মোবাইল ফোনে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকরের নম্বর পাওয়া যায়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার নামে ভিত্তিহীন দুটি মামলা হয়েছে। সেগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়ে আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন দিতে এসেছিলাম। কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ঘিরে ধরে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরে আসি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বলেন, ‘সে আমার কাছে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন নিয়ে আসে। আমি তাকে শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিতে বলি। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, তা আমরা হতে দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উনাকে যদি পুলিশ আটক করে কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়; শিক্ষার্থীদের এটা বুঝা উচিত।’
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
মামলা থেকে অব্যাহতি পত্র দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের হাতে দুই ঘণ্টার জন্য আটক হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। পরে প্রক্টর অফিসে নেওয়ার পর দুই ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন।
আত্মীয় পরিচয় দেওয়া ‘জন’আবেদন জমা দেওয়ার পর শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ‘জন’। জন নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও ছাত্রদলে তার কোনো পদ নেই বলে জানা গেছে। তার মোবাইল ফোনে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকরের নম্বর পাওয়া যায়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার নামে ভিত্তিহীন দুটি মামলা হয়েছে। সেগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়ে আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন দিতে এসেছিলাম। কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ঘিরে ধরে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরে আসি।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বলেন, ‘সে আমার কাছে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন নিয়ে আসে। আমি তাকে শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিতে বলি। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, তা আমরা হতে দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উনাকে যদি পুলিশ আটক করে কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়; শিক্ষার্থীদের এটা বুঝা উচিত।’