alt

জবি শিক্ষার্থীদের হাতে দুই ঘণ্টা আটক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, পরে মুক্ত

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

https://sangbad.net.bd/images/2025/March/05Mar25/news/WhatsApp%20Image%202025-03-05%20at%2021.32.36.jpeg

মামলা থেকে অব্যাহতি পত্র দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের হাতে দুই ঘণ্টার জন্য আটক হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। পরে প্রক্টর অফিসে নেওয়ার পর দুই ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন।

https://sangbad.net.bd/images/2025/March/05Mar25/news/WhatsApp%20Image%202025-03-05%20at%2021.32.36%20%281%29.jpeg
আত্মীয় পরিচয় দেওয়া ‘জন’

আবেদন জমা দেওয়ার পর শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ‘জন’। জন নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও ছাত্রদলে তার কোনো পদ নেই বলে জানা গেছে। তার মোবাইল ফোনে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকরের নম্বর পাওয়া যায়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার নামে ভিত্তিহীন দুটি মামলা হয়েছে। সেগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়ে আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন দিতে এসেছিলাম। কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ঘিরে ধরে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরে আসি।’

https://sangbad.net.bd/images/2025/March/05Mar25/news/WhatsApp%20Image%202025-03-05%20at%2021.32.35%20%281%29.jpeg

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বলেন, ‘সে আমার কাছে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন নিয়ে আসে। আমি তাকে শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিতে বলি। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, তা আমরা হতে দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উনাকে যদি পুলিশ আটক করে কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়; শিক্ষার্থীদের এটা বুঝা উচিত।’

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

রাকসুতেও শিবিরের জয়-জয়কার জাহিদুল ইসলাম

ছবি

রাকসুতে শিবিরের প্যানেল থেকে বিজয়ী হলেন সনাতন ধর্মালম্বী সুজন

ছবি

রাকসু: কোন পদে কে জয়ী

ছবি

একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং, শৃঙ্খলাভঙ্গসহ বিভিন্ন দায়ে ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

ছবি

জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ হরণের অভিযোগ হিন্দু শিক্ষার্থীদের

ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

স্টামফোর্ডে সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কর্মশালা অনু‌ষ্ঠিত

ছবি

স্টামফোর্ডে নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা অনুষ্ঠান: পিসিওএস ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার আহ্বান

ছবি

আনন্দ, অভিযোগে রাকসুর ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ভোটার আসার আগেই শতাধিক ব্যালটে স্বাক্ষর, কারচুপির অভিযোগ

ছবি

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে শেষ হলো রাকসুর ভোট, ফলাফলের অপেক্ষা

ছবি

রাকসু: ৫ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ‘৬০ শতাংশ’

ছবি

রাকসুর ভোট: বাইরে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান

ছবি

রাকসু: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের

ছবি

রাকসুতে একচেটিয়া জয় শিবিরের, ছাত্রদলের ভরাডুবি

রাকসু: ভোট দিলেন ছাত্রশিবিরের ভিপি-জিএস প্রার্থী, তারপর যা বললেন

ছবি

রাকসু: ভোট দিয়ে যা বললেন ছাত্রদলের ভিপি-জিএস প্রার্থী

ছবি

রাকসু: আড়াই ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে একচেটিয়া জয় শিবিরের

ছবি

রাকসু: ভোট গ্রহণ শুরু

ছবি

রাকসু: ৩৫ বছর পর ভোট, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ

ছবি

চাকসু: উৎসবমুখর ভোট, অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি উত্তেজনা

ছবি

অনিয়মের অভিযোগ তুলেও ভোট বর্জন নয়: চবি ছাত্রদলের অবস্থান

ছবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

চাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ, বিচার ও তদন্তের দাবি

ছবি

রাকসু ভোটে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই, ১৭ ঘন্টায় ফল: নির্বাচন কমিশন

ছবি

রাকসু: ভোটে আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা ‘করছেন না’ আরএমপি কমিশনার

ছবি

রাকসু: ভোট পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের কমিটি

চাকসু: নানা অভিযোগ, ভোট বর্জন ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব’ শিক্ষার্থী সংগঠনের

চাকসু নির্বাচন: ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগত প্রবেশের’ অভিযোগ শিবির ও ছাত্রদলের

চাকসু নির্বাচন: ভোটের কালি ‘মুছে যাওয়ার’ অভিযোগ ছাত্রদলের তৌফিকের

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন, ‘মুক্ত ক্যাম্পাসের’ স্বপ্ন নিয়ে ভোট দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

tab

জবি শিক্ষার্থীদের হাতে দুই ঘণ্টা আটক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, পরে মুক্ত

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

https://sangbad.net.bd/images/2025/March/05Mar25/news/WhatsApp%20Image%202025-03-05%20at%2021.32.36.jpeg

মামলা থেকে অব্যাহতি পত্র দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের হাতে দুই ঘণ্টার জন্য আটক হন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। পরে প্রক্টর অফিসে নেওয়ার পর দুই ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের নামে দুটি মামলা রয়েছে। এসব মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে আসেন।

https://sangbad.net.bd/images/2025/March/05Mar25/news/WhatsApp%20Image%202025-03-05%20at%2021.32.36%20%281%29.jpeg
আত্মীয় পরিচয় দেওয়া ‘জন’

আবেদন জমা দেওয়ার পর শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ‘জন’। জন নিজেকে ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও ছাত্রদলে তার কোনো পদ নেই বলে জানা গেছে। তার মোবাইল ফোনে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকরের নম্বর পাওয়া যায়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার নামে ভিত্তিহীন দুটি মামলা হয়েছে। সেগুলো থেকে অব্যাহতি চেয়ে আমি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন দিতে এসেছিলাম। কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ঘিরে ধরে। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাস থেকে ফিরে আসি।’

https://sangbad.net.bd/images/2025/March/05Mar25/news/WhatsApp%20Image%202025-03-05%20at%2021.32.35%20%281%29.jpeg

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বলেন, ‘সে আমার কাছে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন নিয়ে আসে। আমি তাকে শিক্ষক সমিতির অফিসে জমা দিতে বলি। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। আমি স্পষ্টভাবেই বলছি, ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, তা আমরা হতে দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে উনাকে যদি পুলিশ আটক করে কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হয়; শিক্ষার্থীদের এটা বুঝা উচিত।’

back to top