জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঐতিহাসিক ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পুলিশি হামলার ঘটনায় ‘১৫ জুলাইকে’ জাবির কালোরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও, জুলাই আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষক এবং ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে (শিক্ষার্থী) সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। শিক্ষার্থীদের ওপর তারা নানাভাবে হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছেন ও উস্কানি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের পেনশন সুবিধাও স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় এ দিনটিকে জাবির ‘কালোরাত’ হিসেবে ষোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এ হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার ও একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসরাফিল আহমেদ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. তাজউদ্দিন সিকদার।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।
এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল এবং শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঐতিহাসিক ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পুলিশি হামলার ঘটনায় ‘১৫ জুলাইকে’ জাবির কালোরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও, জুলাই আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষক এবং ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে (শিক্ষার্থী) সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। শিক্ষার্থীদের ওপর তারা নানাভাবে হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছেন ও উস্কানি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের পেনশন সুবিধাও স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় এ দিনটিকে জাবির ‘কালোরাত’ হিসেবে ষোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এ হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ২৮৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার ও একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন সাবেক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসরাফিল আহমেদ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. তাজউদ্দিন সিকদার।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাদের পেনশন সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।
এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে থাকা স্থাপনার নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল এবং শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।