খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
মঙ্গলবার বিকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি এ অনুরোধ জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে এবং একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আলোচনা করবে বলে উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপদেষ্টা অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ অবস্থায় তাদের শারীরিক বিষয় বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শিগগিরই কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেবে।
উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে সোমবার বিকাল থেকে ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার’-এর বারান্দায় ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় ড. এম এ রশিদ হলের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন এবং বিকাল ৪টা থেকে অনশন শুরু করেন। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে অবস্থান করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীদের নাম উল্লেখ না করে দায়সারা একটি মামলা করে প্রশাসন এবং এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তারা বলেন, কিছুদিন আগে একজন বহিরাগত বাদী হয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে অনশনরত শিক্ষার্থীও রয়েছে। উপাচার্যকে বারবার জানানো হলেও তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন করেননি।
১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। কর্তৃপক্ষ সাড়া না দিলে ১৫ এপ্রিল তারা তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে তাদের জন্য খাবার, পানি এবং ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যার ফলে তারা অনশন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হন।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সংঘর্ষ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। রাতে প্রশাসন ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
মঙ্গলবার বিকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি এ অনুরোধ জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে সরকার সচেতন রয়েছে এবং একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আলোচনা করবে বলে উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপদেষ্টা অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এ অবস্থায় তাদের শারীরিক বিষয় বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল শিগগিরই কুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেবে।
উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে সোমবার বিকাল থেকে ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার’-এর বারান্দায় ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় ড. এম এ রশিদ হলের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন এবং বিকাল ৪টা থেকে অনশন শুরু করেন। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে অবস্থান করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীদের নাম উল্লেখ না করে দায়সারা একটি মামলা করে প্রশাসন এবং এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তারা বলেন, কিছুদিন আগে একজন বহিরাগত বাদী হয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে অনশনরত শিক্ষার্থীও রয়েছে। উপাচার্যকে বারবার জানানো হলেও তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন করেননি।
১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। কর্তৃপক্ষ সাড়া না দিলে ১৫ এপ্রিল তারা তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে তাদের জন্য খাবার, পানি এবং ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যার ফলে তারা অনশন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হন।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সংঘর্ষ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। রাতে প্রশাসন ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে।