ডাকসু নির্বাচনে ভোট মঙ্গলবার। তার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার ব্যালট বাক্স গোছানোর কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী -সংবাদ
ছয় বছর পর মঙ্গলবার সকাল আট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ডাকসু নির্বাচন। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে গঠিত হবে ৩৮তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ বা ডাকসু।
এবারের নির্বাচনে ১৮টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে স্থাপিত ৮টি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ভোট দেবে। এসব কেন্দ্রে হল সংসদের জন্য ২৪টি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য ৫৬টি ভোট বাক্স বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। সব মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদ এবং হল সংসদের ১৩টি পদ মিলিয়ে মোট ৪১টি পদে ভোট দেবে।
এবারের নির্বাচনে সংগঠনের নামে প্যানেল দিয়েছে শুধু ছাত্রদল। তবে অন্যান্য সংগঠনগুলো ভিন্ন ভিন্ন নামে প্যানেল করেছে। আর ডাকসু নির্বাচনে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যার দিক থেকেও রেকর্ড হয়েছে।
ভোটার মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪৭০। এছাড়া ১৮টি হল সংসদের ১৩টি পদে প্রার্থী ১ হাজার ৩৫ জন।
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৫ জন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন। তাছাড়াও গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।
ওএমআর ফরমে ব্যালট, ৬ ঘণ্টায় ফলাফল
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রেকগনিশন) ফরমে। ফলে ভোটগ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একাধিক ওএমআর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেউ ৬ ঘণ্টায়, আবার কেউ ৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রস্তুত করার সক্ষমতার কথা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মনে করছে, ওএমআর ব্যালট ব্যবহারের মাধ্যমে ফলাফল প্রক্রিয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি ভোটগ্রহণ ও গণনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করা যাবে।
ভোট গণনা দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে
ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাহিরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল রবিবার রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর ভোট গণনা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাহিরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে।
নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৬টায় টিএসসিতে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০৯৬ জন পুলিশ সদস্য নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সঙ্গে ডগ স্কোয়াড, সোয়াত টিম, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশসহ র্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ইতোমধ্যে ৮টি চেকপোস্ট চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল পেট্রোল, সিসিটিভি মনিটরিং সেল ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্সও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা বা সংশয় নাই বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। এক বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শঙ্কা নিয়ে কোনো প্রকার গুজবে কান না দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন তিনি।
সব প্রবেশপথ বন্ধ
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৩৪ ঘণ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাবির বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উক্ত সময়ে নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, তারা জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে চাইলে প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা পাস সংগ্রহ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে ভোট মঙ্গলবার। তার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার ব্যালট বাক্স গোছানোর কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী -সংবাদ
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছয় বছর পর মঙ্গলবার সকাল আট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ডাকসু নির্বাচন। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে গঠিত হবে ৩৮তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ বা ডাকসু।
এবারের নির্বাচনে ১৮টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে স্থাপিত ৮টি কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথে ভোট দেবে। এসব কেন্দ্রে হল সংসদের জন্য ২৪টি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য ৫৬টি ভোট বাক্স বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। সব মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদ এবং হল সংসদের ১৩টি পদ মিলিয়ে মোট ৪১টি পদে ভোট দেবে।
এবারের নির্বাচনে সংগঠনের নামে প্যানেল দিয়েছে শুধু ছাত্রদল। তবে অন্যান্য সংগঠনগুলো ভিন্ন ভিন্ন নামে প্যানেল করেছে। আর ডাকসু নির্বাচনে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যার দিক থেকেও রেকর্ড হয়েছে।
ভোটার মোট ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪৭০। এছাড়া ১৮টি হল সংসদের ১৩টি পদে প্রার্থী ১ হাজার ৩৫ জন।
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৫ জন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন। তাছাড়াও গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।
ওএমআর ফরমে ব্যালট, ৬ ঘণ্টায় ফলাফল
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রেকগনিশন) ফরমে। ফলে ভোটগ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একাধিক ওএমআর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেউ ৬ ঘণ্টায়, আবার কেউ ৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রস্তুত করার সক্ষমতার কথা জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মনে করছে, ওএমআর ব্যালট ব্যবহারের মাধ্যমে ফলাফল প্রক্রিয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি ভোটগ্রহণ ও গণনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করা যাবে।
ভোট গণনা দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে
ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাহিরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি দেখানো হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল রবিবার রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর ভোট গণনা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাহিরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে।
নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৬টায় টিএসসিতে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০৯৬ জন পুলিশ সদস্য নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সঙ্গে ডগ স্কোয়াড, সোয়াত টিম, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সাদা পোশাকের ডিবি পুলিশসহ র্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ইতোমধ্যে ৮টি চেকপোস্ট চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল পেট্রোল, সিসিটিভি মনিটরিং সেল ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্সও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা বা সংশয় নাই বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। এক বিজ্ঞপ্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শঙ্কা নিয়ে কোনো প্রকার গুজবে কান না দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন তিনি।
সব প্রবেশপথ বন্ধ
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৩৪ ঘণ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাবির বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উক্ত সময়ে নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, তারা জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করতে চাইলে প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা পাস সংগ্রহ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।