জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ-জাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা থাকলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের নবনির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) মাজহারুল ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যায় সিনেট হলে দুই দিন পর ঘোষিত ফলাফলের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি না যে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোট দিয়েছেন, যা শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রমাণ।”
উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বেশ কিছু প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। দীর্ঘ সময় ভোটগণনার প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব পালনরত এক শিক্ষকের মৃত্যুসহ নানা ঘটনায় নির্বাচনটি ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মূলত জামায়াত সংশ্লিষ্ট এক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন কেনার অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ফল প্রকাশে দুই দিন সময় লাগে।
মাজহারুল বলেন, “সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই বিজয় আসলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র শিক্ষার্থীদের বিজয়। আমরা দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আগামী জাকসু নির্বাচনের পথ সুগম করতে চাই।”
তিনি প্রয়াত সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “ম্যানুয়াল ভোটগণনায় আমাদের শিক্ষকদের প্রচণ্ড কষ্ট করতে হয়েছে, এমনকি একজন শিক্ষকের প্রাণও হারাতে হয়েছে। তারপরও গণনায় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি।”
ভুলত্রুটি স্বীকার করে ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, “মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে কিছু ক্রুটি বিচ্যুতি সত্ত্বেও আমরা মনে করি নির্বাচন সফল হয়েছে। জাকসু পরিচালনায় যে কোনো সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাব।”
ঘোষিত ফলে জিএস পদে মাজহারুল ৩ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগছাস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম পান ১ হাজার ২৩৮ ভোট। এ নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।
ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাজহারুল। তার প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ আদিবসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ-জাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা থাকলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের নবনির্বাচিত জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) মাজহারুল ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যায় সিনেট হলে দুই দিন পর ঘোষিত ফলাফলের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি না যে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোট দিয়েছেন, যা শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রমাণ।”
উল্লেখ্য, ভোটগ্রহণে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বেশ কিছু প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। দীর্ঘ সময় ভোটগণনার প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব পালনরত এক শিক্ষকের মৃত্যুসহ নানা ঘটনায় নির্বাচনটি ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মূলত জামায়াত সংশ্লিষ্ট এক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন কেনার অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে ফল প্রকাশে দুই দিন সময় লাগে।
মাজহারুল বলেন, “সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই বিজয় আসলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র শিক্ষার্থীদের বিজয়। আমরা দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আগামী জাকসু নির্বাচনের পথ সুগম করতে চাই।”
তিনি প্রয়াত সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “ম্যানুয়াল ভোটগণনায় আমাদের শিক্ষকদের প্রচণ্ড কষ্ট করতে হয়েছে, এমনকি একজন শিক্ষকের প্রাণও হারাতে হয়েছে। তারপরও গণনায় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি।”
ভুলত্রুটি স্বীকার করে ছাত্রশিবিরের এই নেতা বলেন, “মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবে কিছু ক্রুটি বিচ্যুতি সত্ত্বেও আমরা মনে করি নির্বাচন সফল হয়েছে। জাকসু পরিচালনায় যে কোনো সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাব।”
ঘোষিত ফলে জিএস পদে মাজহারুল ৩ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগছাস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম পান ১ হাজার ২৩৮ ভোট। এ নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।
ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাজহারুল। তার প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ আদিবসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।