রাজশাহীর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনও পেছানো হয়েছে।
প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন তিন দিন পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব অধ্যাপক একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগে নির্ধারিত ১২ অক্টোবরের পরিবর্তে এখন ১৫ অক্টোবর ভোট গ্রহণ করা হবে।
এর আগে অধিকাংশ প্যানেলের দাবি মেনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৬ অক্টোবরে নেওয়া হয়। এখন চাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ায় পরপর দুই দিন দুই ছাত্র সংসদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক আরিফুল হক জানান, এদিন তাদের নির্বাচন কমিশনের সভায় নির্বাচন তিন দিন পিছানোর সিদ্ধান্ত হয়। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সোমবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় বেশিরভাগ প্রার্থী ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের তারিখ পিছানোর অনুরোধ করেছিলেন। তাদের ভাষ্য ছিল, প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর পরদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেদিন খুলবে, সেদিন থেকে মাত্র পাঁচ দিন সময় থাকবে প্রচারের জন্য।”
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, “প্রার্থীদের আশঙ্কা, ক্যাম্পাস শহর থেকে দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাস খোলার পর রোববার বা সোমবার সকল শিক্ষার্থী না পৌঁছাতে পারে। এ কারণে তারা প্রচারের জন্য দুই-এক দিন সময় চায়। আবার নির্বাচন কমিশনও মনে করে, পাঁচ কর্মদিবস প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। যেহেতু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবলের সম্পৃক্ততার বিষয় আছে। আগে নয় দিন বন্ধ থাকলেও ওয়ার্কিং ডেগুলো আমাদের জন্য বেশি জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন অফিসের প্রস্তুতি, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ—এসব মিলিয়ে আমরা উপাচার্যের সাথে মতবিনিময়ে আলোচনা করেছি। যাতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও থাকে।”
অধ্যাপক আরিফ জানান, কমিশনের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি উত্থাপন করার পর সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ভোটের তারিখ ১২ অক্টোবর রোববার থেকে পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর বুধবার নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় মঙ্গলবার থেকে বাড়িয়ে বুধবার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের কারণে ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও ভোটের আয়োজন হয়নি। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক দলবিহীন সরকারের অধীনে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২৮ অগাস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, যেখানে ১২ অক্টোবর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তফসিল অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র গ্রহণের এবং ১৭ সেপ্টেম্বর জমাদানের শেষ দিন ছিল। কিন্তু শেষ দিন ছাত্রদল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেওয়ার তারিখ বাড়ানোর আবেদন করে। এরপর কমিশন ফরম সংগ্রহের সময় একদিন এবং জমা দেওয়ার তারিখও একদিন বাড়ায়। এখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ও একদিন বাড়ানো হল।
বুধবারই প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজশাহীর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনও পেছানো হয়েছে।
প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন তিন দিন পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব অধ্যাপক একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগে নির্ধারিত ১২ অক্টোবরের পরিবর্তে এখন ১৫ অক্টোবর ভোট গ্রহণ করা হবে।
এর আগে অধিকাংশ প্যানেলের দাবি মেনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে ১৬ অক্টোবরে নেওয়া হয়। এখন চাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ায় পরপর দুই দিন দুই ছাত্র সংসদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক আরিফুল হক জানান, এদিন তাদের নির্বাচন কমিশনের সভায় নির্বাচন তিন দিন পিছানোর সিদ্ধান্ত হয়। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সোমবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় বেশিরভাগ প্রার্থী ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের তারিখ পিছানোর অনুরোধ করেছিলেন। তাদের ভাষ্য ছিল, প্রচারের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর পরদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেদিন খুলবে, সেদিন থেকে মাত্র পাঁচ দিন সময় থাকবে প্রচারের জন্য।”
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, “প্রার্থীদের আশঙ্কা, ক্যাম্পাস শহর থেকে দূরে হওয়ায় ক্যাম্পাস খোলার পর রোববার বা সোমবার সকল শিক্ষার্থী না পৌঁছাতে পারে। এ কারণে তারা প্রচারের জন্য দুই-এক দিন সময় চায়। আবার নির্বাচন কমিশনও মনে করে, পাঁচ কর্মদিবস প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। যেহেতু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবলের সম্পৃক্ততার বিষয় আছে। আগে নয় দিন বন্ধ থাকলেও ওয়ার্কিং ডেগুলো আমাদের জন্য বেশি জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন অফিসের প্রস্তুতি, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ—এসব মিলিয়ে আমরা উপাচার্যের সাথে মতবিনিময়ে আলোচনা করেছি। যাতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিও থাকে।”
অধ্যাপক আরিফ জানান, কমিশনের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি উত্থাপন করার পর সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ভোটের তারিখ ১২ অক্টোবর রোববার থেকে পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর বুধবার নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় মঙ্গলবার থেকে বাড়িয়ে বুধবার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের কারণে ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও ভোটের আয়োজন হয়নি। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক দলবিহীন সরকারের অধীনে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২৮ অগাস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, যেখানে ১২ অক্টোবর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তফসিল অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র গ্রহণের এবং ১৭ সেপ্টেম্বর জমাদানের শেষ দিন ছিল। কিন্তু শেষ দিন ছাত্রদল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেওয়ার তারিখ বাড়ানোর আবেদন করে। এরপর কমিশন ফরম সংগ্রহের সময় একদিন এবং জমা দেওয়ার তারিখও একদিন বাড়ায়। এখন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ও একদিন বাড়ানো হল।
বুধবারই প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।