মঙ্গলবার ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ শেষে আবিদুল ইসলাম, তানভীর বারি হামিম, আব্দুল কাদের, উমামা ফাতেমা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন-সংবাদ
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা ‘অসঙ্গতি’ থাকলেও প্রশাসন তা নিয়ে ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত তিন ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, আব্দুল কাদের ও উমামা ফাতেমা।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তারা এ অভিযোগ করেন।
‘ডাকসু নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোটার টার্নআউট দেখানো হয়েছে, সে পরিমাণ উপস্থিতি মাঠে দেখতে পাইনি’
ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি
নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কনসার্নগুলো জানিয়েছি
এর আগের দিনও নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের বিপুলসংখ্যক ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে ব্যালটের একটি ছবি যা গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই মার্কেটে তোলা হয়েছে দাবি করে এর ব্যাখা চান তারা।
মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) একই অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা করেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম, জিএস প্রার্থী তানভীর বারি হামিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত প্যানেলের আব্দুল কাদের, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমাসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
এ সময় নির্বাচনের নানা ‘অসঙ্গতি’ থাকলেও প্রশাসন তা নিয়ে ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উমামা ফাতেমা বলেন, নির্বাচনের আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য চেয়েছি। আমরা ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি করেছি।
উমামা বলেন, ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসন কোনো জবাব দিতে পারেনি। ভোটারের তালিকা আগেও প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় ভোটারদের স্বাক্ষর রয়েছে; কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা উল্লেখ নেই। ফলে এখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষণ্য হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিষয়ে কনসার্ন এসেছে। এই দুই হলে এত পরিমাণ ভোট টার্নআউট হয়নি। কিন্তু সেখানে উপস্থিত উপাচার্য ও প্রক্টর বলছেন, এসব (তথ্য) দেয়ার সুযোগ নেই।
শেষে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কনসার্নগুলো জানিয়েছি। আমরা গাউসুল আজমে অরক্ষিত ব্যালটের বিষয়ে জানতে চেয়েছি, তারা বিষয়টি জানেই না।
তিনি বলেন, ভোটকাস্টিং তালিকা নিয়ে তারা গড়িমসি করছে। এটি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আব্দুল কাদের বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে ব্যালট পেপার ও স্বাক্ষর তালিকার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তাদের মধ্যে এসব বিষয়ে একটি অনীহা দেখতে পাচ্ছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ব্যালটের যে
ছবির কথা তারা বলছে এটাতো ভোটের আগে আমাদের জানানো উচিত ছিল। তাহলে আমরা তড়িৎ গতিতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এখন যেহেতু তারা অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টা দেখবে। এটার সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নাই। আর কারচুপির মতো কিছুই ঘটে নাই। এতো ক্যামেরা, এতো সাংবাদিক, এতো এনএসআই, এতো এজেন্সি -এরকম কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে কারও না কারও চোখে ধরা পড়তো।
গাউসুল আজম মার্কেটে ডাকসুর ব্যালট ছাপানো হয়েছে কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাউসুল আজম মার্কেট কি নিষিদ্ধ? ওরা ওদের সুবিধামতো কোনো এক জায়গায় হয়তো ছাপিয়েছে। তারা যথার্থ নিরাপত্তা মেনে চলেছে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, তাদের যে অভিযোগ এটা তদন্তের বিষয়। আমরা এটা নিশ্চিত করেছি আমাদের ব্যালট কারও হাতে যায়নি। এক্ষেত্রে সিকিউরিটির কোনো ঘাটতি হলে এটা সবার হাতে হাতে চলে যেতো। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্বাক্ষর করে ব্যালট নিয়ে ভোট দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের ভোটের ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা? এখন প্রপারলি ভোট হয়েছে। রেজাল্ট হয়েছে। সবাই রেজাল্ট মেনে নিয়েছে। সবাই আনন্দে আছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, কোথায় কে ছবি দিয়েছে এটাকে কেন্দ্র করে পুরো সিস্টেমকে অবিশ্বাস্য করা- এটা কি সম্ভব?
মঙ্গলবার ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ শেষে আবিদুল ইসলাম, তানভীর বারি হামিম, আব্দুল কাদের, উমামা ফাতেমা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন-সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা ‘অসঙ্গতি’ থাকলেও প্রশাসন তা নিয়ে ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত তিন ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, আব্দুল কাদের ও উমামা ফাতেমা।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তারা এ অভিযোগ করেন।
‘ডাকসু নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোটার টার্নআউট দেখানো হয়েছে, সে পরিমাণ উপস্থিতি মাঠে দেখতে পাইনি’
ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি
নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কনসার্নগুলো জানিয়েছি
এর আগের দিনও নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের বিপুলসংখ্যক ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে ব্যালটের একটি ছবি যা গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই মার্কেটে তোলা হয়েছে দাবি করে এর ব্যাখা চান তারা।
মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) একই অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা করেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম, জিএস প্রার্থী তানভীর বারি হামিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত প্যানেলের আব্দুল কাদের, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমাসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
এ সময় নির্বাচনের নানা ‘অসঙ্গতি’ থাকলেও প্রশাসন তা নিয়ে ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উমামা ফাতেমা বলেন, নির্বাচনের আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর গাউসুল আজম মার্কেটের একটি ছাপাখানায় ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য চেয়েছি। আমরা ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা প্রকাশের দাবি করেছি।
উমামা বলেন, ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসন কোনো জবাব দিতে পারেনি। ভোটারের তালিকা আগেও প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় ভোটারদের স্বাক্ষর রয়েছে; কে কাকে ভোট দিয়েছেন, তা উল্লেখ নেই। ফলে এখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষণ্য হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বিষয়ে কনসার্ন এসেছে। এই দুই হলে এত পরিমাণ ভোট টার্নআউট হয়নি। কিন্তু সেখানে উপস্থিত উপাচার্য ও প্রক্টর বলছেন, এসব (তথ্য) দেয়ার সুযোগ নেই।
শেষে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা কনসার্নগুলো জানিয়েছি। আমরা গাউসুল আজমে অরক্ষিত ব্যালটের বিষয়ে জানতে চেয়েছি, তারা বিষয়টি জানেই না।
তিনি বলেন, ভোটকাস্টিং তালিকা নিয়ে তারা গড়িমসি করছে। এটি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আব্দুল কাদের বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে ব্যালট পেপার ও স্বাক্ষর তালিকার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তাদের মধ্যে এসব বিষয়ে একটি অনীহা দেখতে পাচ্ছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ব্যালটের যে
ছবির কথা তারা বলছে এটাতো ভোটের আগে আমাদের জানানো উচিত ছিল। তাহলে আমরা তড়িৎ গতিতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। এখন যেহেতু তারা অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টা দেখবে। এটার সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নাই। আর কারচুপির মতো কিছুই ঘটে নাই। এতো ক্যামেরা, এতো সাংবাদিক, এতো এনএসআই, এতো এজেন্সি -এরকম কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে কারও না কারও চোখে ধরা পড়তো।
গাউসুল আজম মার্কেটে ডাকসুর ব্যালট ছাপানো হয়েছে কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাউসুল আজম মার্কেট কি নিষিদ্ধ? ওরা ওদের সুবিধামতো কোনো এক জায়গায় হয়তো ছাপিয়েছে। তারা যথার্থ নিরাপত্তা মেনে চলেছে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, তাদের যে অভিযোগ এটা তদন্তের বিষয়। আমরা এটা নিশ্চিত করেছি আমাদের ব্যালট কারও হাতে যায়নি। এক্ষেত্রে সিকিউরিটির কোনো ঘাটতি হলে এটা সবার হাতে হাতে চলে যেতো। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্বাক্ষর করে ব্যালট নিয়ে ভোট দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের ভোটের ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা? এখন প্রপারলি ভোট হয়েছে। রেজাল্ট হয়েছে। সবাই রেজাল্ট মেনে নিয়েছে। সবাই আনন্দে আছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, কোথায় কে ছবি দিয়েছে এটাকে কেন্দ্র করে পুরো সিস্টেমকে অবিশ্বাস্য করা- এটা কি সম্ভব?