ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে এবার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে সাদা দল ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
শনিবার ডাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউটিএল অভিযোগ করে, নির্বাচন পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্বে থেকেও অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেওয়া সাদা দলের পক্ষ থেকে ‘দ্বিচারিতা’ হয়েছে। সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশনের ১০ জন সদস্যের মধ্যে আটজনই সাদা দলের, পাশাপাশি অধিকাংশ প্রভোস্ট ও ডিনও তাদের সঙ্গে যুক্ত। ফলে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলার আগে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল।
অন্যদিকে, সম্প্রতি সাদা দল এক বিবৃতিতে ডাকসু ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে। তারা বলে, একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ভোটে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ভোট হয় ৯ সেপ্টেম্বর, যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ার দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠন অনিয়মের অভিযোগ তোলে এবং সিসিটিভি ভিডিও প্রকাশের দাবি জানায়। এ বিষয়ে কমিশন বলেছে, তাদের আবেদন ‘অস্পষ্ট ও সারবত্তাহীন’।
ইউটিএলের দাবি, ভোট সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ব্যালট বক্স সিল, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ও খোলামেলা ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়। সংগঠনটির মতে, নির্বাচন পরবর্তী সাদা দলের অভিযোগ শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষকে মর্মাহত করেছে।
জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা আরও বলেন, জয়-পরাজয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ, কিন্তু যেকোনো মূল্যে বিজয়ের মানসিকতা বিভাজন ও সংঘাত ডেকে আনে। তারা সাদা দলের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্বাচন নিয়ে অযৌক্তিক প্রশ্নের সুরাহা করার অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউটিএলের সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও অধ্যাপক মুনীরা জাহান উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে এবার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে সাদা দল ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
শনিবার ডাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউটিএল অভিযোগ করে, নির্বাচন পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্বে থেকেও অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিবৃতি দেওয়া সাদা দলের পক্ষ থেকে ‘দ্বিচারিতা’ হয়েছে। সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশনের ১০ জন সদস্যের মধ্যে আটজনই সাদা দলের, পাশাপাশি অধিকাংশ প্রভোস্ট ও ডিনও তাদের সঙ্গে যুক্ত। ফলে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলার আগে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল।
অন্যদিকে, সম্প্রতি সাদা দল এক বিবৃতিতে ডাকসু ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে। তারা বলে, একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ভোটে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ভোট হয় ৯ সেপ্টেম্বর, যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ার দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠন অনিয়মের অভিযোগ তোলে এবং সিসিটিভি ভিডিও প্রকাশের দাবি জানায়। এ বিষয়ে কমিশন বলেছে, তাদের আবেদন ‘অস্পষ্ট ও সারবত্তাহীন’।
ইউটিএলের দাবি, ভোট সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ব্যালট বক্স সিল, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ও খোলামেলা ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়। সংগঠনটির মতে, নির্বাচন পরবর্তী সাদা দলের অভিযোগ শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সাধারণ মানুষকে মর্মাহত করেছে।
জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা আরও বলেন, জয়-পরাজয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ, কিন্তু যেকোনো মূল্যে বিজয়ের মানসিকতা বিভাজন ও সংঘাত ডেকে আনে। তারা সাদা দলের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্বাচন নিয়ে অযৌক্তিক প্রশ্নের সুরাহা করার অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউটিএলের সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন ও অধ্যাপক মুনীরা জাহান উপস্থিত ছিলেন।