রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সভায় ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া, ফলাফল তৈরির ধাপ, নির্বাচনী আচরণবিধি, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ভোট দেওয়ার সময় ও প্রক্রিয়া
প্রতি ভোটারকে রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদ, হল সংসদে ১৫টি পদ এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫টি পদ মিলিয়ে মোট ৪৩টি ভোট দিতে হবে। ভোট দিতে সময় দেওয়া হবে ১০ মিনিট, অর্থাৎ গড়ে প্রতি ভোটে প্রায় ১৪ সেকেন্ড সময় লাগবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে পোলিং অফিসারের কাছে তালিকায় স্বাক্ষর করে ভিন্ন রঙের ছয়টি ব্যালট পেপার সংগ্রহ করবেন। প্রথম ব্যালটে থাকবে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থীর তালিকা; দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যালটে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদের প্রার্থীর নাম; পঞ্চম ব্যালটে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি; এবং ষষ্ঠ ব্যালটে হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর তালিকা। গোপন বুথে ভিন্ন রঙের ব্যালট পূরণ করে ভিন্ন রঙের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, ভোটারদের প্যানেলের তালিকা কাগজে নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাতে ৪৩ প্রার্থীর নাম মনে রাখা সম্ভব হয়। ভোটের সময় কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।
ফলাফল তৈরি ও গণনার ধাপ
ভোট গ্রহণ শেষে সব কেন্দ্রের ব্যালট পেপার কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আনা হবে। ব্যালটগুলোকে ১০০টি করে বান্ডেল করে ওএমআর মেশিনে গণনা করা হবে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল এ ফলাফল পর্যবেক্ষণ করবেন। চূড়ান্ত ফলাফল তিন ধাপে তৈরি হবে। এক হলের ফলাফল তৈরি হলে পরবর্তী হলের গণনা শুরু হবে। সম্পূর্ণ ফলাফলের কাজ ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় নিতে পারে।
নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ
৯ শতাধিক বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ভোট গ্রহণ শেষে মিলনায়তনে গণনা হবে এবং সাংবাদিকরা সম্প্রচার করতে পারবেন। সব প্রক্রিয়া বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে। ভোটকেন্দ্রের চারপাশ ৪০০ গজ দূরে চৌহদ্দি নির্ধারণ করা হয়েছে, যার ভেতরে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়ন করা হবে, প্রয়োজনে অন্যান্য বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে।
উপাচার্য ও অন্যান্যদের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। ছোটখাটো দুই-একটি ব্যত্যয় ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে সিন্ডিকেট দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী এবং ধৈর্যসহ কাজ করছে।
সভায় সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেতাউর রহমান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সভায় ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া, ফলাফল তৈরির ধাপ, নির্বাচনী আচরণবিধি, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ভোট দেওয়ার সময় ও প্রক্রিয়া
প্রতি ভোটারকে রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদ, হল সংসদে ১৫টি পদ এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫টি পদ মিলিয়ে মোট ৪৩টি ভোট দিতে হবে। ভোট দিতে সময় দেওয়া হবে ১০ মিনিট, অর্থাৎ গড়ে প্রতি ভোটে প্রায় ১৪ সেকেন্ড সময় লাগবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে পোলিং অফিসারের কাছে তালিকায় স্বাক্ষর করে ভিন্ন রঙের ছয়টি ব্যালট পেপার সংগ্রহ করবেন। প্রথম ব্যালটে থাকবে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থীর তালিকা; দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যালটে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদের প্রার্থীর নাম; পঞ্চম ব্যালটে সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি; এবং ষষ্ঠ ব্যালটে হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর তালিকা। গোপন বুথে ভিন্ন রঙের ব্যালট পূরণ করে ভিন্ন রঙের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, ভোটারদের প্যানেলের তালিকা কাগজে নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাতে ৪৩ প্রার্থীর নাম মনে রাখা সম্ভব হয়। ভোটের সময় কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।
ফলাফল তৈরি ও গণনার ধাপ
ভোট গ্রহণ শেষে সব কেন্দ্রের ব্যালট পেপার কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আনা হবে। ব্যালটগুলোকে ১০০টি করে বান্ডেল করে ওএমআর মেশিনে গণনা করা হবে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল এ ফলাফল পর্যবেক্ষণ করবেন। চূড়ান্ত ফলাফল তিন ধাপে তৈরি হবে। এক হলের ফলাফল তৈরি হলে পরবর্তী হলের গণনা শুরু হবে। সম্পূর্ণ ফলাফলের কাজ ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় নিতে পারে।
নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ
৯ শতাধিক বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ভোট গ্রহণ শেষে মিলনায়তনে গণনা হবে এবং সাংবাদিকরা সম্প্রচার করতে পারবেন। সব প্রক্রিয়া বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে। ভোটকেন্দ্রের চারপাশ ৪০০ গজ দূরে চৌহদ্দি নির্ধারণ করা হয়েছে, যার ভেতরে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়ন করা হবে, প্রয়োজনে অন্যান্য বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে।
উপাচার্য ও অন্যান্যদের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর এবং শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। ছোটখাটো দুই-একটি ব্যত্যয় ছাড়া বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে সিন্ডিকেট দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী এবং ধৈর্যসহ কাজ করছে।
সভায় সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেতাউর রহমান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।