দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাকসু নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু সুফিয়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট।
আরএমপি কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আমরা আশঙ্কা করছি না। তবুও কোনো মহল থেকে এ চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়াও সাইবার সুরক্ষায় আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।’
বুধবার( ১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করেছি। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। যে জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে সেগুলো পর্যালোচনা করে ইতিমধ্যে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ফোর্সের পাশাপাশি পুলিশের হেডকোয়ার্টারের থেকে চাহিদা দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে এক হাজার ফোর্স আনা হয়েছে।’
নির্বাচনে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কেন্দ্রিক তিন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। একটি হলো, ফ্রি মানে ফ্রি ইলেকশন। এর জন্য আমরা গত দুইদিন থেকে আমাদের ডিউটি চলতেছে, আলাদা প্রোগ্রামে। পরে আগামীকাল থেকে আমাদের দুইদিন আরেকটা প্রোগ্রামে আমাদের ডিউটি চলবে। সবশেষে চলবে পোস্ট ইলেকশন প্রোগ্রাম।’
সাইবার নিরাপত্তায় দুটি টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা সাইবার স্পেসে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। এটাকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আমাদের আলাদা সাইবার টিম কাজ করছে। দুইটি টিম আছে — যৌথভাবে কাজ করছে। যেকোনো অপপ্রচার বা অপতথ্য যেন না ছড়ায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। কোন ঘটনা আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সকলে প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা কোনো উস্কানিতে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আমাদের অবহিত করুন।’
নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন সাতটা গেট খোলা থাকবে। এই সাতটি ফটকেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ফটকগুলো দিয়ে বহিরাগত লোক প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কেন্দ্রিক যে সকল নিরাপত্তার বিষয় সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলাতে বহিরাগত আছে কিনা সেটা উনারা চেক করে দেখতেছে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমাদের জনবল আরও বেড়ে ২৩০০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছে। আমরা আমাদের ফোর্সের কর্মকর্তাদেরকে বারবার ব্রিফ করেছি যেন তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যেন কোন ধরনের খারাপ আচরণের অভিযোগ না আসে। সার্বিক পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা অবনীতির আমরা আশঙ্কা করছি না। তারপরও যদি কোন মহল চেষ্টা করে আমরা কিন্তু সেটাকে কঠোরভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাকসু নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু সুফিয়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট।
আরএমপি কমিশনার আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আমরা আশঙ্কা করছি না। তবুও কোনো মহল থেকে এ চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়াও সাইবার সুরক্ষায় আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।’
বুধবার( ১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করেছি। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। যে জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে সেগুলো পর্যালোচনা করে ইতিমধ্যে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ফোর্সের পাশাপাশি পুলিশের হেডকোয়ার্টারের থেকে চাহিদা দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে এক হাজার ফোর্স আনা হয়েছে।’
নির্বাচনে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কেন্দ্রিক তিন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। একটি হলো, ফ্রি মানে ফ্রি ইলেকশন। এর জন্য আমরা গত দুইদিন থেকে আমাদের ডিউটি চলতেছে, আলাদা প্রোগ্রামে। পরে আগামীকাল থেকে আমাদের দুইদিন আরেকটা প্রোগ্রামে আমাদের ডিউটি চলবে। সবশেষে চলবে পোস্ট ইলেকশন প্রোগ্রাম।’
সাইবার নিরাপত্তায় দুটি টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা সাইবার স্পেসে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। এটাকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আমাদের আলাদা সাইবার টিম কাজ করছে। দুইটি টিম আছে — যৌথভাবে কাজ করছে। যেকোনো অপপ্রচার বা অপতথ্য যেন না ছড়ায় সেজন্য আমরা কাজ করছি। কোন ঘটনা আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সকলে প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা কোনো উস্কানিতে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আমাদের অবহিত করুন।’
নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন সাতটা গেট খোলা থাকবে। এই সাতটি ফটকেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ফটকগুলো দিয়ে বহিরাগত লোক প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কেন্দ্রিক যে সকল নিরাপত্তার বিষয় সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলগুলাতে বহিরাগত আছে কিনা সেটা উনারা চেক করে দেখতেছে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমাদের জনবল আরও বেড়ে ২৩০০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছে। আমরা আমাদের ফোর্সের কর্মকর্তাদেরকে বারবার ব্রিফ করেছি যেন তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যেন কোন ধরনের খারাপ আচরণের অভিযোগ না আসে। সার্বিক পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা অবনীতির আমরা আশঙ্কা করছি না। তারপরও যদি কোন মহল চেষ্টা করে আমরা কিন্তু সেটাকে কঠোরভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’