রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটার তিন স্তরের যাচাই শেষে ভোট দেবেন। প্রতিটি ধাপে ‘ফুলপ্রুফ’ নিরাপত্তা ও ‘স্বচ্ছতা বজায়’ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। তাই প্রতিটি ধাপে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভোটার, প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ। তিনি বলেন, ‘ভোটে কারচুপি ঠেকাতে আমরা শুধুমাত্র অমোচনীয় কালির উপরে নির্ভর করছি না। আমরা থ্রিডি লেভেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। প্রথমত শিক্ষার্থী আইডির কার্ডের সত্যতা যাচাই করব। দ্বিতীয়ত, ভোটারের আইডির জন্য একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হয়েছে, সেটি যাচাই করবো। সবশেষে ভোটারের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা থেকে নিশ্চিত করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের সন্দেহ তৈরি হলে একটি বিশেষ গোপনীয় কিউআর কোড থাকবে। ফলে আমরা এটাকে নাম দিয়েছি থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি। প্রতিটি ধাপে ফুলপ্রুফ নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটাকে অগ্রাহ্য করে কোন অবস্থাতেই কোন ধরনের ভোটের জালিয়াতি করার কোন সুযোগ আমরা রাখিনি।’
ভোটের ফলাফল প্রস্ততে ৪৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হয়েছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকসু ও জাকসুর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েছি। রাকসুতে আমরা সেগুলোর বিষয়ে সতর্ক থেকেছি। নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তত করতে আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটি করেছি। তাড়াহুড়া করে ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য কোন ফলাফল আমরা প্রকাশ করবো না। আমরা ইতিমধ্যে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি কমিটি করেছি।’
১৭ ঘন্টার ভেতরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সকল কেন্দ্র থেকে ব্যবহৃত ব্যালটবাক্স সিলগালা করে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তানে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই ১৭ টি হলের ফলাফল ধারাবাহিকভাবে তৈরী করা হবে। ওএমআর মেশিনে এটি রিড করে যথাসম্ভব দ্রুত তার সাথে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে। মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা আশা করছি সর্বোচ্চ ১৭ ঘন্টার ভেতর ফল প্রকাশ করতে পারবো।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে ভোট পরিচালনায় ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১৯৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ২১২ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে একাধিক সভাও করেছে।
নির্বাচন কমিশন আরও জানায়, এবারের রাকসুতে মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার। নির্বাচনে মোট ৮৬০ জন প্রার্থী। এ ছাড়াও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির ৫ পদে মোট ৫৮ জন লড়বে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান, নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এনামুল হকসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটার তিন স্তরের যাচাই শেষে ভোট দেবেন। প্রতিটি ধাপে ‘ফুলপ্রুফ’ নিরাপত্তা ও ‘স্বচ্ছতা বজায়’ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। তাই প্রতিটি ধাপে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভোটার, প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ। তিনি বলেন, ‘ভোটে কারচুপি ঠেকাতে আমরা শুধুমাত্র অমোচনীয় কালির উপরে নির্ভর করছি না। আমরা থ্রিডি লেভেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। প্রথমত শিক্ষার্থী আইডির কার্ডের সত্যতা যাচাই করব। দ্বিতীয়ত, ভোটারের আইডির জন্য একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হয়েছে, সেটি যাচাই করবো। সবশেষে ভোটারের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা থেকে নিশ্চিত করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের সন্দেহ তৈরি হলে একটি বিশেষ গোপনীয় কিউআর কোড থাকবে। ফলে আমরা এটাকে নাম দিয়েছি থ্রি ডাইমেনশনাল সিকিউরিটি। প্রতিটি ধাপে ফুলপ্রুফ নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটাকে অগ্রাহ্য করে কোন অবস্থাতেই কোন ধরনের ভোটের জালিয়াতি করার কোন সুযোগ আমরা রাখিনি।’
ভোটের ফলাফল প্রস্ততে ৪৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হয়েছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকসু ও জাকসুর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েছি। রাকসুতে আমরা সেগুলোর বিষয়ে সতর্ক থেকেছি। নির্বাচনের ফলাফল প্রস্তত করতে আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটি করেছি। তাড়াহুড়া করে ভুল এবং অগ্রহণযোগ্য কোন ফলাফল আমরা প্রকাশ করবো না। আমরা ইতিমধ্যে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি কমিটি করেছি।’
১৭ ঘন্টার ভেতরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সকল কেন্দ্র থেকে ব্যবহৃত ব্যালটবাক্স সিলগালা করে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তানে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই ১৭ টি হলের ফলাফল ধারাবাহিকভাবে তৈরী করা হবে। ওএমআর মেশিনে এটি রিড করে যথাসম্ভব দ্রুত তার সাথে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে। মেশিনের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা আশা করছি সর্বোচ্চ ১৭ ঘন্টার ভেতর ফল প্রকাশ করতে পারবো।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে ভোট পরিচালনায় ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১৯৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ২১২ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে একাধিক সভাও করেছে।
নির্বাচন কমিশন আরও জানায়, এবারের রাকসুতে মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার। নির্বাচনে মোট ৮৬০ জন প্রার্থী। এ ছাড়াও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির ৫ পদে মোট ৫৮ জন লড়বে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান, নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এনামুল হকসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।